দীর্ঘ ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে ছেলেকে সাথে নিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন গোপালগঞ্জের সাইফুল ইসলাম (৪৫)।শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী গ্রামে ব্যতিক্রমী এই ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার রোজিনা বেগমের সাথে সাইফুলের ১২ বছরের সংসার ছিল। তবে সংসার জীবনে নানা ধরনের কলহ ও নির্যাতনের কারণে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। অবশেষে শনিবার বিকেলে সাইফুল আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রীকে তালাক দেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ও তার ১০ বছরের ছেলে মিনহাজ শেখ দুধ দিয়ে গোসল করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।সাইফুলের দাবি, ১২ বছর তারা বাবা-ছেলে ভীষণ কষ্টে দিন কাটিয়েছেন। নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আট মাস আগে স্ত্রীর চাপে মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাই। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠি। স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সেই অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। তাই আনন্দ প্রকাশে তারা দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।এ ব্যাপারে স্ত্রী রোজিনা বেগম সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৭ আগস্ট ২০২৫ ১১:৫২ এএম
আশঙ্কামুক্ত উপদেষ্টা ফারুকী, দোয়া চাইলেন তিশা
কক্সবাজারে সরকারি সফরে এসে অসুস্থ হয়ে জরুরিভাবে ঢাকায় ফেরা সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী 'আশঙ্কামুক্ত' বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।তিশা লিখেছেন, “মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কক্সবাজারে মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়ার্কশপে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বর্তমানে হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।”“চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত কাজের প্রেশারের কারণে তিনি (উপদেষ্টা) অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আপাতত তিনি আশঙ্কামুক্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে চারদিনের সফরে কক্সবাজারে আসেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। পরদিন শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে অসুস্থতা অনুভব করলে সফর মুলতবি করে জরুরিভাবে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘কক্সবাজারে সংস্কৃতি হাব-বিষয়ক এবং জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন সংক্রান্ত কয়েকটি কর্মসূচিতে উপদেষ্টার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অবশিষ্ট কর্মসূচিগুলো বাতিল করা হয়েছে।’সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কক্সবাজারে থাকাকালীন স্থানীয় চিকিৎসকরা উপদেষ্টাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৬ এএম
কোরআন খতমের দাবি ওয়ালিউল্লাহর, স্ত্রী বললেন ‘ডাহা মিথ্যা’
‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ প্রবাদটা যেন সত্যি হয়ে গেল মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ নামে এক যুবকের ক্ষেত্রে। মিডিয়ার সামনে ওই যুবক বড় মুখ করে জানালেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্য তিনি দুইবার কোরআন খতম করেছেন। পরক্ষণেই স্বয়ং তার স্ত্রী হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়ে বললেন, ‘ডাহা মিথ্যা।’শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ এ শ্রদ্ধা জানাতে ও দোয়া করতে স্বপরিবারে হাজির হন মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ। কিন্তু পুলিশি বাধায় তিনি তা করতে পারেননি।এ কাজে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পথে রিকশায় বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মুখে লম্বা দাড়ি ও পাগড়ী পরিহিত ওই যুবক। তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।ওই ভিডিওতে যুবক ওয়ালিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে আমি অনেক ভালোবাসি। আমি তার জন্য দুইবার কোরআন খতম দিয়েছি।’ব্যস, এরপরই নিজের স্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন ওই যুবক। রিকশায় পাশে বসা বোরকা পরিহিত স্ত্রী এসময় হাটে হাড়ি ভেঙে বলেন, ‘এর (ওয়ালিউল্লাহ) মাথায় সমস্যা। সমস্যা না থাকলে এগুলো কেউ বলে? ডাহা মিথ্যা কথা, সারাবছর কোরআন খতমের কোনো খবরই নাই।’এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে যুবকের স্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা কি এগুলো (মাইক্রোফোন) সরাবেন? নাকি আপনারাও এর সাথে পাগল হয়ে গেছেন?’তারপরও থামানো যায়নি ওয়ালিউল্লাহকে। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য দোয়া ও তার বাড়ি জেয়ারত করতে ঢুকতে চাইলে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। তারা বাধা দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুকে খুব ভালোবাসি। খুব খারাপ লাগতেছে আমার।’এসময় তার স্ত্রী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আমার এখান থেকে নেমে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।’ যে কথা সেই কাজ। পরে তিনি রিকশা থেকে সত্যি সত্যি নেমে যান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশাহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারি বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে নিরুপায় হয়ে চলন্ত বাইকে স্ত্রীর নিথর দেহ বেঁধে বাড়ি ফিরেছিলেন। সম্প্রতি, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।মর্মান্তিক এই ভিডিওটি দেখে, সিনেমার কাহিনি মনে হতে পারে। কিন্তু এটি কোনো সিনেমার কাহিনি নয়। বাস্তবেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের নাগপুর-মধ্যপ্রদেশ হাইওয়ের দেওলাপার এলাকায়।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ আগস্ট দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে নাগপুরের লোনারা থেকে মধ্যপ্রদেশের কারানপুর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন অমিত বুমরা যাদব (৩৬) ও তার স্ত্রী জ্ঞ্যায়ার্সি যাদব (৩৫)। দেওলাপারের কাছে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে জ্ঞ্যায়ার্সি রাস্তায় পড়ে যান এবং ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় অমিত নিজেও আহত হন।দুর্ঘটনার পর অমিত পথচারীদের কাছে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করলেও, ভারি বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কোনো গাড়ি থামেনি। কোনো উপায় না দেখে তিনি স্ত্রীর মৃতদেহ মোটরসাইকেলের পেছনে বেঁধে লোনারার দিকে ফিরে আসছিলেন।হাইওয়ের একটি বনাঞ্চলে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দেওলাপার পুলিশ সেখানে পৌঁছালেও কোনো যানবাহন বা আহত ব্যক্তিকে খুঁজে পায়নি। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখে পুলিশ তাকে শনাক্ত করে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা অমিতকে খুমারি টোল প্লাজার কাছে থামানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি সেখানে না থেমে চলে যান। পরে পুলিশ তাকে ধাওয়া করে তার বাড়িতে গিয়ে থামে।নাগপুর গ্রামীণ অঞ্চলের পুলিশ সুপার হর্স এ পোদ্দার জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাগপুরের ইন্দিরা গান্ধী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১২ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪৬ এএম
শেরপুরে স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অসুস্থ স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারই স্বামী খলিলুর রহমান। আর এ ঘটনার ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত স্বামীর হলেন খোশালপুর মধ্যপাড়ার মৃত জহুর আলীর ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৮০)।ভুক্তভোগী খলিলের স্ত্রী খোশেদা বেগম (৭০)।স্থানীয়রা জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় অসুস্থ স্ত্রী বিছানায় মলত্যাগ করায় স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে নিজের বাড়ির উঠানে নিয়ে যান এবং কোদাল দিয়ে ছোট করে গর্ত খুঁড়ে তার গায়ে মাটি চাপা দিতে থাকেন। এ সময় তাকে হাত দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায়। এ সময় তারই নাতি মো. খোকন (১৯) ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা রাতে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে জেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রায় ছয় বছর ধরে শয্যাশায়ী খোশেদা বেগম।এলাকার বাসিন্দা হাফিজ বলেন, খলিলুর রহমান মানুষ হিসেবে মন্দ নন, তবে কারও সঙ্গে খুব বেশি মিশেন না। স্ত্রী বিছানায় পড়ার পর তিনি সেবা করতেন। আজকের ঘটনাটি দুঃখজনক।পাশের বাড়ির সুজন বলেন, তিনি তেমন ঝামেলায় জড়ান না, তবে গরিব মানুষ। গতকালই স্ত্রীর জন্য একটি চেয়ার কমোড কিনে আনেন। স্ত্রী চোখে ভালো দেখেন না। একটু কথা না শোনায় আজ এই ঘটনা ঘটে।শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টিম পাঠিয়েছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করেছেন। তারপরও লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ জানান, আমি ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি সত্যিই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৯ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪১ এএম
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া ৫ দিনের রিমান্ডে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নিয়েছে। পরে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ।গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে তার নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এরায় প্রদান করেন।এই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মাসুদুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।দন্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভায়াট গ্রামের বাহের আলীর ছেলে।মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ২ জুন মানিকগঞ্জ জেলার তেরদোনা শোর হেলাচিয়া বাজার এলাকার আব্দুল কাদেরের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিনের।বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আব্দুল মতিন স্থীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাবিনা ইয়াসমিনকে মাঝ মধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো আব্দুল মতিন।এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে তাড়াশ উপজেলার দক্ষিন মথুরাপুর গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে থেকে সাবিনা ইয়াসমিনের গলায় ওড়না পেচানো লাশ উদ্ধার করে তাড়াশ থানা পুলিশ।যৌতুকের ২ লাখ টাকা আদায় করতে ব্যর্থ স্বামী আব্দুল মতিন স্থী সাবিনা ইয়াসমিনকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করেছে বলে মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।এঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে আব্দুল মতিন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামী করে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।মামলা চলাকালে দীর্ঘ স্বাক্ষ প্রমাণ শেষে আজ আব্দুল মতিনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে আদালত।ভোরের আকাশ/জাআ
৩০ জুলাই ২০২৫ ০৫:২০ পিএম
চোরের হাতে ‘ধর্ষিত’ হলো পুলিশের স্ত্রী
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গভীর রাতে এক ভাড়া বাসায় ঢুকে চুরি এবং পরে পুলিশের এক কনস্টেবলের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় ওই পুলিশ সদস্য নিজ কর্মস্থলে ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীর স্বামী চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল একটি ধারালো দা ও একটি টর্চলাইট। ঘরে ঢুকেই তিনি ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুটি মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন।ওই সময় ঘরে থাকা ভুক্তভোগীর দুটি শিশু সন্তান আতঙ্কে কেঁদে ওঠে। দুর্বৃত্ত পালিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের ভাড়াটিয়ারা কান্নার শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।পরে রাতেই পুলিশ কনস্টেবল স্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্ত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে থানায় যান এবং পরদিন সকালে মামলা দায়ের করেন।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৬ জুলাই ২০২৫ ১২:২০ পিএম
স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী তার নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে আহত যুবক মোতালেব হোসেনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর রাতে সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোজিনা খাতুন (২৪) সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ও মোতালেবের স্ত্রী।আহত স্বামী মোতালেব হোসেন (২৮) বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।নিহত রোজিনার চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, রোজিনা ও মোতালেব হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তিন বছর আগে বিয়ে করেন। মোতালেবের পরিবার বিয়েটি মেনে না নেওয়ায় বিয়ের পর থেকে সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের শ্বশুড় বাড়িতেই থাকতেন মোতালেব।গত ৬ দিন আগে ফেনী জেলা থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে বাড়ীতে আসলে মোতালেব। রোজিনার মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে পাশে ঘর থেকে রোজিনার ভাতিজা বায়জিদ কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে রোজিনার ৮ মাসের ছোট বাচ্চা কান্নাকাটি করছে এবং তার ফুফুর গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ বিছানার উপর পড়ে আছে। পাশে তার ফুফা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে।পরবর্তীতে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা খুলে গলা কাটা রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। নিহতের স্বামী মোতালেব হোসেনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সলঙ্গা থানার এরান্দহ এলাকায় এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।ভোরের আকাশ/জাআ