ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টিএসসি) এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায়।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক থেকে টিএসসির দিকে এই ককটেল দুটি নিক্ষেপ করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কে বা কারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল দুটি ছোড়ে। টিএসসির সামনে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরেই ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। এ সময় ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’ স্লোগান দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেউ একজন ককটেলগুলো ছুড়েছে। আমরা প্রক্টোরিয়াল টিম পাঠিয়েছি। পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টিএসসি) এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায়।বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক থেকে টিএসসির দিকে এই ককটেল দুটি নিক্ষেপ করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কে বা কারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল দুটি ছোড়ে। টিএসসির সামনে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরেই ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। এ সময় ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’ স্লোগান দেন তারা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেউ একজন ককটেলগুলো ছুড়েছে। আমরা প্রক্টোরিয়াল টিম পাঠিয়েছি। পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটির নাম জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে ধোলাইপাড়ে একটি বাসে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পাওয়ার পর আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।তিনি জানান, আগুন কীভাবে লেগেছে বা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন দিয়েছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কথিত লকডাউন উপেক্ষা করে ঢাকাসহ দেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি আগামীকাল বৃহস্পতিবার খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির স্ট্যান্ডিং কমিটির যৌথ সভায় আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা থাকবে।গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে অনেকটা ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটির কার্যক্রমও ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে দলটির অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এই অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা দেশের নেতাকর্মীদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামানোর পাঁয়তারা করছেন।গণহত্যার অভিযোগে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাচ্ছে। দলটি অনলাইনে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু স্থানে ঝটিকা মিছিল ছাড়া তেমন কোনো তৎপরতা কোথাও নেই।তবে গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যেকোনো মূল্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রুখতে সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর, ধানমণ্ডি ৩২, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কাকরাইল, হাইকোর্টসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন বিজিবি।রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। অভিযানে ঢাকা মহানগর ডিবি আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর বাইরেও ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগ পৃথক অভিযানে আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খোঁজে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউ, ফকিরাপুল, কাকরাইল, এলিফ্যান্ট রোডসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা হোটেলে ও মেসে অভিযান চালাচ্ছি। গতরাতে কলাবাগানের একটি মেস থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে; যারা নাশকতার জন্য ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।পুলিশ জানিয়েছে, কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের আগে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে তার তথ্য পুলিশের যে সিডিএমএস (অপরাধীদের ডাটাবেজ) আছে, সেখানে যাচাই-বাছাই করা হয়। তাতেই দেখা যায়, বেশিরভাগের ক্ষেত্রে আগের মামলা পাওয়া যায়।বিজিবি বলছে, আগামীকালকে ঘিরে ডাকা লকডাউন কর্মসূচিতে কেউ যাতে কোন নাশকতা করতে না পারে তার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলেও জানানো হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ