নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। গতকাল রোববার রাজধানীর বৌদ্ধ বিহারগুলোতে শান্তি শোভাযাত্রা, প্রদীপ প্রজ¦লন, সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি।আড়াই হাজার বছর আগে নেপালের কপিলাবস্তু রাজ্যের লুম্বিনি কাননে রাজা শুদ্ধধনের স্ত্রী মহামায়ার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন মহামতি গৌতম বুদ্ধ। এরপর বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষের নিচে দীর্ঘ ছয় বছর কঠোর সাধনার মধ্য দিয়ে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে বুদ্ধত্ব লাভ করেন তিনি। আশি বছর বয়সে একই দিনে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতেই মহাপরিনির্বাণ বা দেহত্যাগ করেন গৌতম বুদ্ধ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার পবিত্র দিন এটি। রাজধানীর বাসাবোতে ধর্মরাজিক মহাবিহারে সমবেত ভক্তরা সকল প্রাণীর কল্যাণ কামনায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে গৌতম বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বুদ্ধ পূজা, পিন্ডদান, পঞ্চশীল, অষ্টশীল গ্রহণ, ধর্মশ্রবণ ও দান দক্ষিণাসহ নানা আয়োজন ছিল ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে।এদিকে, রাজধানীর বাসাবোর বুদ্ধপূর্ণিমার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যেকোনো উৎসবে পাশে থাকার কথা জানান ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও বিশৃঙ্খলার বিপক্ষে তার দেশ। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান আর মহাপরিনির্বাণ- এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ দিন আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটুসহ কৃষকলীগ নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানমকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১০ মে) রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।শামীমা আক্তার একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।আশরাফ সিদ্দিকী বিটু আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (সিআরআই) পরিচালক ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তাকে আরও তিনবছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২ দিন আগে
এখনো অধরা সন্ধ্যানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার খোকন শীল। খোকন শীলের বিরুদ্ধে ডিএমপির লোগো লাগিয়ে প্রতিবেশীর জায়গা দখল, জমির কাগজ জালিয়াতি, নারী পাচার, মাদক পাচার, ধর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো, বিমা করে দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শ্যামলী কল্যান সমিতির ১নং রোডের বাসায় থাকেন তিনি। খোকন শীলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানা রায়পুর ইউনিয়নের চুন্নাপাড়া ওয়ার্ডের হাজিরপাড়ার শীল বাড়িতে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জায়গা দখল, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জুন খোকন শীলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লোগো ব্যবহার করে ফেঁসে যান শিরোনামে জাতীয় পত্রিকায় নিউজ হয়। সে সময়ে পুলিশ তার ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় রেখেছিল। এ ঘটনায় খোকন শীলের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছিল।তৎকালীন ডিএমপি তেজঁগাও জোনের ডিসি বিপ্লব সরকার ও লালবাগ ট্রাফিক বিভাগের এডিসি জয়িতা দাস, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীলের সহযোগিতায় মুছলেকা দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়ে নেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আবারো খোকন নিজ গাড়িতে ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সব ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন চট্টগ্রামের আনোয়ারার চুন্নাপাড়ায় খোকন শীলের সঙ্গে প্রতিবেশীর জমিজমাসংক্রান্ত বিষয়ে সালিশি বৈঠক ছিল। সে কারণে গত ২৪ জুন ঢাকা থেকে আসার সময় তিনি ডিএমপির লোগো সংবলিত একটি প্রাইভেটকার নিয়ে বাড়িতে আসেন। গাড়িতে ডিএমপি ছাড়াও আরেকটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার লোগো লাগানো ছিল। গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬০০৪।গাড়িটি ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত খোকন শীলের চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চুন্নাপাড়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গাড়িতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার লোগো থাকার অভিযোগ জমা পড়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে। পুলিশ সন্ধান নিয়ে জানতে পারে গাড়িটি পুলিশের নয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য প্রতারণামূলকভাবে ডিএমপির লোগোটি ব্যবহার করা হয়েছে। খোকন শীল ঢাকা উত্তর মহানগরের শ্যামলী ইউনিট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এহাসানুল হক টিটুর মালিকানাধীন সন্ধ্যানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার।ইয়াবা সম্রাট বদি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, দিনাজপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের সঙ্গে ব্যক্তিগত সর্ম্পক রয়েছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে নারী পাচার, ভূমিদখল, টেন্ডারবাজি, কেসিনো ব্যবসা, মাদক পাচার ব্যবসার সঙ্গে সে জড়িত। সে সময়ে তৎকালীন তেজগাঁও জোন পুলিশের ডিসি বিপ্লব সরকার, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের সহযোগিতায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গাড়িটা ছাড়িয়ে নেন। মুচলেকার বিনিময়ে গাড়িটা ছাড়িয়ে নেয়। খোকন শীলের সঙ্গে তৎকালীন পুলিশের লালবাগ ট্রাফিকের এসি জয়িতা দাস ও তার স্বামী ব্যাংকার সুজন রায়ের সঙ্গে সখ্য ছিল।প্রাথমিকভাবে জানা যায়, সুজন রায় ও জয়িতা দাসের বিয়ের ঘটক ছিলেন ভূমিদস্যু খোকন শীল। সে সময়ে গাড়িটা যখন প্রতিবেশীর বাড়িতে সালিশি বৈঠকে নিয়ে গিয়েছিল তার সঙ্গে সুজন রায় ছিল। খোকন শীল এই গাড়িযোগে মাদক পাচারের কাজও করতো। সে বিখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী বদি ভাইয়ের মাদক ব্যবসার পার্টনার ছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার ভালো সখ্য ছিল। এছাড়া জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ছাত্র হত্যার সঙ্গে যুক্ত খোকন শীল। তার মালিক সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটুর নেতৃত্বে সে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের গুলি করে প্রতিহত করে।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খোকন শীল নারীলোভী ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে খোকন এলাকার মেয়েদের সঙ্গে মিশে সন্ধ্যানী লাইফে বিমা করার প্রস্তাব দেয়। মেয়েদের খুঁজে-খুঁজে টার্গেট করে সে। পরে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর সুয়োগ বুঝে কু-প্রস্তাব দিয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোক্তভোগী বলেন, খোকন শীল আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। কাগজ-জালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের সব জায়গা দখল করে নিয়েছে। জায়গার কথা বললেই অস্ত্রের ভয় দেখায়। গুলি করে দেওয়ার ভয় দেখায়।স্থানীয় জহরলাল শীল বলেন, খোকন শীল গং চলাচলের রাস্তা দখল করে নিজের বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছে। রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেই তিনি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এটা মূলত মন্দিরের পুকুরে যাওয়ার রাস্তা। এখানে বাড়ির মহিলারা স্থান করতে এবং পূজার সামগ্রী নিয়ে ফুল তুলতে ও প্রয়োজনীয় বিশেষ কাজ করতে প্রতিদিন চলাচল করেন। এছাড়া এখানে সুপেয় পানি আনতে হলেও এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়।আরেক ভুক্তভোগী দিলু রানী শীল বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করি। এখানে ভোরবেলা ফুল তুলতে যেতে হয়। এছাড়া পূজার সমস্ত কাজ এই পুকুর ও টিউওয়েলে এসে করতে হয়। সে এই রাস্তায় চলাচলে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতা করছে। রাস্তার মধ্যে ময়লা, আবর্জনা, বিষ্ঠা, কাঁচের বোতল, ইনসুলিনের খালি সুইজসহ সব বিষাক্ত জিনিস রাস্তায় ফেলে রাখে।স্থানীয় হাসান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা ধান কাটতে ও তুলতে যায়। এই রাস্তা এই এলাকার হিন্দু মুসলিম সকলের প্রয়োজন। খোকন শীল সামাজিক রাস্তা জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের দাবি করতে পারে না।স্থানীয় ভুক্তভোগী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ বিলে-খালে ও বাজারে য়ায়। খোকন শীল প্রভাবশালীদের প্রভাব কাটিয়ে এই রাস্তা দখল করেছে। সে দশজনের চলাচলের রাস্তা কোনোভাবে বন্ধ করতে পারে না। তার বিরুদ্ধে বাড়ির ভেতরে চলাচলের রাস্তা দখল করারও অভিযোগ রয়েছে। আর.এস মতে যদি রাস্তা থাকে তাহলে বি.এসে কেন বসতভিটা ? এর মাধ্যমে বুঝা গেল খোকন শীল জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত।স্থানীয় বাসিন্দা মো. ছৈয়দ হুজুর বলেন, খোকন শীল আমাদের জায়গা জালিয়াতি করে দখল করে আছে। আমাদের আর.এসে জায়গা আছে কিন্তু বি.এসে নেই। বি.এসে তার গংদের নামে হলো কীভাবে ? আমার প্রশ্ন সেখানে। তার বিচার হওয়া উচিত।ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক জায়গা সে দখল করে আছে। আমরা তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ। সে কথায় কথায় পুলিশের ভয় দেখায়। তার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করি।এ বিষয়ে খোকন শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩ দিন আগে
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বয়স্ক দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুজনে সম্পর্কে আপন বোন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মী। শুক্রবার (৯ মে) রাতে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে প্রতিহিংসামূলক বর্বরতা মনে হয়। মিরপুরের পশ্চিম শেওয়াপাড়া তোরাব আলী মসজিদের পাশের ৬৪৯ নম্বর এই বাড়িতে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। দিবাগত রাত ৯টার দিকে বাড়ির দ্বিতীয় তলার বি-১ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় ষাটোর্ধ্ব মরিয়ম বেগম ও তার ৫২ বছর বয়সী বোন সুফিয়া বেগমের মরদেহ। স্বজনরা জানান, নিহত মরিয়ম ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মী, স্বামীও সরকারি চাকরি করতেন, থাকেন বরিশাল। এক মেয়ে মিষ্টি থাকেন কর্মব্যস্ত তাই ছোট বোন সুফিয়াকে নিয়েই শেষ সময় অতিবাহিত করতেন। পরিচিতজনরা বলেন শত্রুতা সৃষ্টি হয় এমন লোক ছিলেন না তারা। তবুও এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার কীভাবে তা একটি রহস্য। পুলিশ, পিআইবি ও সিআইডির সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে আলামত সংগ্রহ করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার দারোয়ানকে নেন হেফাজতে।মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সাজ্জাদ আলী বলেন, হত্যাকারীরা বাসায় ঢুকেছিল শুধু দুজনকে মারার জন্যেই, হত্যার ধরনেও হিংস্রতা স্পষ্ট। তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের আশ্বাস দেন তিনি।পরে দুজনের মরদেহ নেওয়া হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।ভোরের আকাশ/আজাসা
৩ দিন আগে
