ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুদিন পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। অনেকেই পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দিন কোরবানি না করে দ্বিতীয় দিন তা সম্পন্ন করছেন। রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, কসাইয়ের সংকট, ও হাট থেকে গরু বাড়িতে পৌঁছাতে দেরি হওয়াসহ নানা ব্যস্ততায় অনেকেই গতকাল শনিবার ঈদের দিন পশু কোরবানি করতে পারেননি। তারা আজ রোববার কোরবানি করছেন।
রামপুরার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ ঈদের দিন কোরবানি দেন। এতে কসাইদের অনেক ব্যস্ততা থাকে। দেখা দেয় কসাই সংকট। তাই আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছি দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করবো। আজ খুব নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি। ফজরের নামাজের পরে হুজুর এসে গরু জবাই দিয়ে গেছেন। কসাইরা মাংস বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
খিলগাঁওয়ে বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, ঈদের দিন এবং পরের দুদিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়। কোরবানি দেওয়া জন্য এই তিনদিনই সমান। কোনদিন সওয়াব বেশি কম হওয়ায় সুযোগ নেই। গতকাল শনিবার যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, আজ আমরা যারা কোরবানি দিচ্ছি তাদের উদ্দেশ্যও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
তিনি বলেন, কোরবানির মাংস তিনভাগ করতে হয়। আমরা ধর্মীয় বিধান মেনে মাংস তিনভাগ করে, যার যা অংশ বুঝিয়ে দেবো। এখন কবুল করার মালিক আল্লাহ।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে তা মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ফেলা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ডাম্প করা হয়েছে। এ কাজে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ হাজারের বেশি জনবল অংশ নিয়েছে। মাঠে আছে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ মোট ২০৭৯টি যানবাহন। ৭৫টি ওয়ার্ডেই এসব যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে শিশুসহ অনেকের হতাহতের ঘটনায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাদ জোহর অনুষ্ঠিত এ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মুহিউদ্দীন কাসেম।এতে দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।এসময় নিহতদের রূহের মাগফিরাত ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।এর আগে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত ও চিকিৎসারত আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করার জন্য সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বোন নাজিয়ার পর এবার না ফেরার দেশে চলে গেল ভাই নাফি (৯)। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জাতীয় বার্নে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১০ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আমাদের এখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নাফি (৯) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।তিনি জানান, প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি দগ্ধ অবস্থায় এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে জাতীয় বার্নে ১১ জন ও ঢাকা মেডিকেল একজনের মৃত্যু হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় মেট্রো স্টেশনের পাশের একটি ভবনে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগা ওই ভবনটিতে ফ্যামিলি বাসা এবং মার্কেট উভয় রয়েছে। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে হঠাৎ করে ভবনটিতে আগুন ধরে যায়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।ডিউটি অফিসার রাফি জানান, শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের পাশের একটি ভবনে আগুন লাগার খবরে দুটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। তবে কোন ভবন সেটি এখনো জানা যায়নি।প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের( ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালকদের জন্য মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নগরভবন অডিটোরিয়ামে ই-রিক্সা প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় প্রথম পর্যায়ে ২২-৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি সেন্টারে ই-রিক্সা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য ১৫০ জন প্রশিক্ষককে নিযুক্ত করা হয়েছে, যারা পর্যায়ক্রমে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ধাপে ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫০০ জন রিক্সা চালককে ট্রেনিং প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণার্থী রিক্সা চালকদের সম্মানী ও খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।উদ্বোধনকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "অনিয়ন্ত্রিত ও অনিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচলের জন্য নগরজীবন যানজটের কবলে পড়ে স্থবির ও নাগরিকদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।সরকার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ই-রিক্সা চলাচলের চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে যার ফলে যানজট নিরসণের পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে নগরবাসী রক্ষা পাবে।"মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী রিক্সা চালকগণ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত হবেন উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন পর্যায়ক্রমে ই-রিক্সা খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মহা-ব্যবস্থাপক (পরিবহন) মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ প্রমুখগণ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ