সংগৃহীত ছবি
পেশাগত কর্মদক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ আইএফআইসি ব্যাংকের ৯০ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পর্যায়ে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর আইএফআইসি টাওয়ার-এ আয়োজন করা হয় ‘সেলিব্রেটিং ক্যারিয়ার প্রগ্রেশন’ শীর্ষক পদোন্নতি প্রদান অনুষ্ঠানের।
হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা ও সিনিয়র ম্যানেজম্যান্ট টিমের সদস্যরা ১৬ জন কর্মকর্তার কাছে সরাসরি পদোন্নতি পত্র হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিভিন্ন শাখা-উপাশাখা থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আরো ৭৪ জন কর্মকর্তার কাছে ভার্চুয়ালি পদোন্নতি পত্র প্রদান করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সৈয়দ মনসুর মোস্তফা পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের অগ্রযাত্রার পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি আমাদের কর্মীবৃন্দ। প্রত্যয়ী, নিষ্ঠাবান ও কর্মদক্ষ কর্মীই আমাদের প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মেধা ও সাফল্যের স্বীকৃতি যেমন ব্যক্তিগত অর্জনের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে একটি সহযোগিতাপূর্ণ ও উদ্দীপনাময় পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখে, যা ভবিষ্যতের পথচলাকে আরও দৃঢ় করে।
উল্লেখ্য, আইএফআইসি ব্যাংকে চলতি বছর সর্বোমোট ৬৬২ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পর্যায়ে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ১.৪৩ বিলিয়ন (১৪৩ কোটি ৫০ লাখ) মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, যা প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে গণনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তার হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৩১ কোটি ডলার।চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯০২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-১৩ অক্টোবর, ২০২৪) রেমিট্যান্স ছিলো ৭৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাস ভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিলো, যা ছিলো ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিলো ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিলো- জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কর জাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।নতুন কাঠামোর আওতায় এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগে মোট ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ।বুধবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ।এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেছে সরকার। নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে আদেশ জারি করেছে।এনবিআর বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর জাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, সেবার মানোন্নয়ন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পরোক্ষ কর ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যেও এই সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রশাসনিক অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তিন ধাপে নতুন দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস, ৩টি বিশেষায়িত দপ্তর।এ ছাড়া বিদ্যমান কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউসগুলোর জনবল বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সম্প্রসারণ, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কাস্টমস কার্যক্রম, এবং কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই পুনর্গঠনের মাধ্যমে পরোক্ষ কর আহরণের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রাজস্ব প্রশাসন আরও আধুনিক, কার্যকর ও নাগরিকবান্ধব রূপ পাবে। যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২০৫ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০২ টাকায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১২৭ কোটি (১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকার প্রবাসী আয়। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।তিনি বলেন, গত বছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত ১৩ অক্টোবর একদিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের (জুলাই ২০২৪–অক্টোবর ২০২৫) প্রথম তিন মাস ১৩ দিন পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৮৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আগস্টে এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ ২৫ অর্থবছর জুড়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার), যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তির রেকর্ড।ভোরের আকাশ/এসএইচ