রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির নির্বাচনী সংলাপ শুরু ১৩ নভেম্বর
মো. রেজাউর রহিম
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
আগামি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বহুল প্রতিক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংলাপের মূল উদ্দেশ্য- সংসদ নির্বাচনের যথাযথ প্রস্তুতি এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন। আগামী ১৩ নভেম্বর এ সংলাপ শুরু হবে। তবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত ১৪ দলীয় জোটভুক্ত কোনো রাজনৈতিক দলকে এ সংলাপে ডাকা হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশও করা হচ্ছে আগামী ১৮ নভেম্বর। এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে দুইদিন পিছিয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর ‘প্রবাসী ভোটার অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হচ্ছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ১৩ নভেম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যথাযথভাবে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এবং সহযোগিতার বিষয় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে এ সংলাপে বিস্তারিত আলোচনা হবে। একই দিনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশ করা হবে। এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েনের প্রাথমিক প্রস্তাবনা দিয়েছে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের এ সংলাপে জাতীয় পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটের কাউকে না ডাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংলাপের প্রতি সেশনে ৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এ সংলাপে প্রতিদিন দুটি সেশনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে ডাকার চিন্তা করছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর সংলাপ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর সর্বশেষ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া এ সংলাপের আগে শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে গত ১ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা সাক্ষাৎ করেন, যেখানে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া আসন্ন নির্বাচন বানচালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের কোনো ধরনের প্রচেষ্টা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে ৯০ হাজার সেনা, আড়াই হাজার নৌবাহিনী এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে। আর নির্বাচন যাতে নিñিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে সেজন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে থাকছে। দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে- সেটিকে নাকট করে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত যা ছড়িয়েছে সেটা গুজব, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল রোববার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক ঘোষিত কিছু কর্মসূচিতে সরকার শঙ্কিত কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তারা লকডাউন বা শাটডাউনের যে কর্মসূচি রেখেছে সেই বিষয়ে সরকার শঙ্কিত নয়।
নির্বাচনে অধিক ঝুঁঁকিপূর্ণ ও ঝুঁঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র সাড়ে ২৮ হাজার
এদিকে, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় কেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েনের সুবিধার্থে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্র বিবেচনায় নিয়ে সেখানে অধিক ঝুঁঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা জানানো হয়। সভায় অধিক ঝুঁঁকিপূর্ণ ৮ হাজার ২২৬টি কেন্দ্র, ঝুঁঁকিপূর্ণ ২০ হাজার ৪৩৭টি কেন্দ্র ও সাধারণ ১৩ হাজার ৪০০টি কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কেন্দ্র ঝুঁঁকিপূর্ণ বা অধিক ঝুঁঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে ইসি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। ভৌত অবকাঠামো, থানা থেকে দূরত্ব, প্রভাবশালীদের বাসস্থান, সীমান্ত এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা বিবেচনায় কেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার প্রায় ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে ইসি। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে তালিকা গেজেট করা হবে। আর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্রকে প্রাথমিকভাবে ‘ঝুঁঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বিপরীতে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েনের প্রাথমিক প্রস্তাবনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তবে ঝুঁঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের চূড়ান্ত সংখ্যা, কেন্দ্রে কতজন নিরাপত্তা সদস্য থাকবেন এবং বাহিনী মাঠে কতদিন মোতায়েন থাকবে এসব বিষয় নিয়ে ইসি এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এগুলো কমিশন সভায় চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সংখ্যা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ভোরের আকাশকে জানান, এখনও এ বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত ম্যাপিংটা আমরা করিনি। আরেকটু সময় আছে আমাদের হাতে। এটা নিয়ে আমরা কমিশনের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অবশ্য, এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে জানিয়েছিলেন, এবার মোট ৬৪টি জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১। কক্ষের হিসাবে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে গত ৯ জুলাই নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। বৈঠকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে ও ঝুঁঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ঝুঁঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে নিরাপত্তা রক্ষা করা হবে- কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশের সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবেন, স্ট্রাইক ফোর্স হিসেবে কীভাবে থাকবেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে।
বৈঠকে বলা হয়, ৮ লাখের মধ্যে ৫ লাখ ৭০ হাজার হচ্ছেন আনসার এবং ১ লাখ ৪১ হাজার হচ্ছেন পুলিশের সদস্য। বলা হয়েছে, ৪৭ হাজারের মতো পুলিশ ভোটিং কেন্দ্রে থাকবে এবং তারা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ঝুঁঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট নেওয়া যায়- সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রেস সচিব জানান, তার মধ্যে কিছু মেজর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেটা হচ্ছে যে, পুলিশের বডি ক্যাম রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে, এজন্য একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘প্রবাসী ভোটার অ্যাপ’ উদ্বোধন পেছালো দুইদিন
এদিকে, ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, প্রবাসী ভোটার অ্যাপ’ লঞ্চের তারিখ পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন। পূর্বনির্ধারিত ১৬ নভেম্বরের পরিবর্তে এখন ১৮ নভেম্বর অ্যাপটি উদ্বোধন করা হবে। একই দিনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম ১৬ নভেম্বর ‘আউট অব কন্ট্রিবিউটিং’ এবং ‘আইসি অ্যাপ’ লঞ্চ করা হবে। কিন্তু ১৬ নভেম্বর রোববার বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা এখন ১৮ নভেম্বর অ্যাপটি লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি জানান, যেহেতু একই দিনে ইসি চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশ করবে, তাই দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে লঞ্চিংয়ের সুনির্দিষ্ট সময় পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন করেন তিনি।
নিবন্ধন সংক্রান্ত ঘাটতি এবং আবেদন না মঞ্জুর হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা আইনের আলোকে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। যাদের নিবন্ধন সংক্রান্ত কিছু ঘাটতি আছে, তারা চাইলে আপিল বা সংশোধনের আবেদন করতে পারেন। কমিশন তাদের আবেদন বিবেচনায় নেবে কি না, সেটা পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে আমজনতার দলের তারেক রহমানের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, যদি নিবন্ধন ছাড়াই কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, সেটি আইনগতভাবে কমিশন বিবেচনা করবে। আপিল ছাড়া নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই, তাই আমি আপিলের কথাই বলেছি।
আপিল করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানিয়ে সচিব বলেন, আপিল করতে হলে সচিবালয়ের মাধ্যমে সিনিয়র সচিব বা কমিশন সচিব বরাবর আবেদন করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনের বাইরে কিছু করছি না। কিছু আবেদন না মঞ্জুর করা হয়েছে- নির্দিষ্ট শর্তের আওতায়। কেউ যদি সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হন- পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারেন।
এছাড়া কেপিআই এলাকায় রাজনৈতিক সমাবেশ বিষয়ে তিনি বলেন, কেপিআই একটি সংবেদনশীল স্থান। এজন্য কেপিআইভুক্ত এলাকাগুলোতে সবাইকে আইন ও নিরাপত্তাবিধি মেনে চলতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ