ছবি- সংগৃহীত
নেইমারের শৈশবের ক্লাব সান্তোস রেলিগেশনের শঙ্কায় ছিল। দলকে বাঁচাতে শেষ তিন ম্যাচে ইনজুরি নিয়েই খেললেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ক্রজেইরোর বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে সান্তোস রেলিগেশন থেকে টিকে গেল, তারপরই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিশ্চিত করলেন, বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার করাতে যাচ্ছেন তিনি।
২০২৩ সালের পর ক্লাব ইতিহাসে দ্বিতীয়বার রেলিগেশনের ঝুঁকিতে ছিল সান্তোস। শেষ লিগ ম্যাচ জিতে ব্রাজিলের প্রথম বিভাগে টিকে থাকা নিশ্চিত করল তারা। এই সাফল্য পেতে নেইমার রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। লিগের শেষ তিন পর্বে রেসিফের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে একটি গোল করেন তিনি। জুভেন্তুদের বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিক। আর সবশেষ ম্যাচ জয়ে কার্যকরী অবদান রেখেছেন প্লেমেকার হিসেবে। ৩৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম হয়ে মৌসুম শেষ করল সান্তোস।
লিগে ১৯ ম্যাচ খেলে আট গোল করা নেইমার ম্যাচ শেষে বললেন, এজন্যই এখানে এসেছিলাম আমি, ক্লাবকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে। আমার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ছিল কঠিন। যারা আমাকে উদ্বুদ্ধ রেখেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা সঙ্গে না থাকলে আমি এই ইনজুরি, হাঁটুর সমস্যা নিয়ে ম্যাচগুলো খেলতে পারতাম না। আমার বিশ্রাম প্রয়োজন, তারপর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাবো।
নেইমার অবশ্য হাঁটুর চোট ও অস্ত্রোপচার নিয়ে বিস্তারিত জানাননি। তবে তার আশা, বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিলের মূল স্কোয়াডে তার জায়গা হবে। যদিও কার্লো আনচেলত্তি মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাবেক অধিনায়ককে দলে রাখেননি। ইতালিয়ান কোচ বলেছিলেন, কেবল ফিট থাকলে নেইমারকে দলে নিবেন তিনি।
এবারের ব্রাজিলিয়ান লিগ শিরোপা জিতেছে ফ্লামেঙ্গো। ১-০ গোলে সিয়ারাকে হারিয়ে নবমবার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। গত মাসে কোপা লিবার্তাদোরেসও জিতেছিল রিও ডি জেনিরোর ক্লাব।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নেইমারের শৈশবের ক্লাব সান্তোস রেলিগেশনের শঙ্কায় ছিল। দলকে বাঁচাতে শেষ তিন ম্যাচে ইনজুরি নিয়েই খেললেন।রোববার (৮ ডিসেম্বর) ক্রজেইরোর বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে সান্তোস রেলিগেশন থেকে টিকে গেল, তারপরই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিশ্চিত করলেন, বাঁ পায়ে অস্ত্রোপচার করাতে যাচ্ছেন তিনি।২০২৩ সালের পর ক্লাব ইতিহাসে দ্বিতীয়বার রেলিগেশনের ঝুঁকিতে ছিল সান্তোস। শেষ লিগ ম্যাচ জিতে ব্রাজিলের প্রথম বিভাগে টিকে থাকা নিশ্চিত করল তারা। এই সাফল্য পেতে নেইমার রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। লিগের শেষ তিন পর্বে রেসিফের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে একটি গোল করেন তিনি। জুভেন্তুদের বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিক। আর সবশেষ ম্যাচ জয়ে কার্যকরী অবদান রেখেছেন প্লেমেকার হিসেবে। ৩৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম হয়ে মৌসুম শেষ করল সান্তোস।লিগে ১৯ ম্যাচ খেলে আট গোল করা নেইমার ম্যাচ শেষে বললেন, এজন্যই এখানে এসেছিলাম আমি, ক্লাবকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে। আমার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ছিল কঠিন। যারা আমাকে উদ্বুদ্ধ রেখেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা সঙ্গে না থাকলে আমি এই ইনজুরি, হাঁটুর সমস্যা নিয়ে ম্যাচগুলো খেলতে পারতাম না। আমার বিশ্রাম প্রয়োজন, তারপর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাবো।নেইমার অবশ্য হাঁটুর চোট ও অস্ত্রোপচার নিয়ে বিস্তারিত জানাননি। তবে তার আশা, বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিলের মূল স্কোয়াডে তার জায়গা হবে। যদিও কার্লো আনচেলত্তি মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাবেক অধিনায়ককে দলে রাখেননি। ইতালিয়ান কোচ বলেছিলেন, কেবল ফিট থাকলে নেইমারকে দলে নিবেন তিনি।এবারের ব্রাজিলিয়ান লিগ শিরোপা জিতেছে ফ্লামেঙ্গো। ১-০ গোলে সিয়ারাকে হারিয়ে নবমবার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। গত মাসে কোপা লিবার্তাদোরেসও জিতেছিল রিও ডি জেনিরোর ক্লাব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে দুশ্চিন্তা আজকের নয়, এটি দীর্ঘদিনের এক বাস্তবতা। ধারাবাহিক ব্যর্থতা, বড় স্কোর তাড়া করতে না পারার অক্ষমতা এবং মাঝের ওভারগুলোতে ইনিংস গড়তে না পারার দুর্বলতা বারবার আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বাস্তবতায়, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্যাটসম্যানদের আধুনিক ফরম্যাটের উপযোগী করে প্রস্তুত করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) হাতে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। ব্যাটিং দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পথে এটিকেই দেখা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে।মিরপুরে শুরু হয়েছে বিশেষ ব্যাটিং ক্যাম্প মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পুরো প্রশিক্ষণটি সাজানো হয়েছে সাদা বলের ক্রিকেট, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে কেন্দ্র করে। আধুনিক ক্রিকেটের উচ্চ স্ট্রাইক রেট, পাওয়ার হিটিং, দ্রুত স্কোরিং ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিংয়ের ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে এই ক্যাম্পে। এই প্রশিক্ষণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো-বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের পাশাপাশি ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন একসঙ্গে এই সেশনগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষ হলেও, বিশেষ অনুরোধে এই দুই কোচের সঙ্গেই থেকে গেছেন সিমন্স। কারণ, সিরিজ শেষে বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে কাক্সিক্ষত উন্নতি না আসায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি তত্ত্বাবধানে খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে চান তিনি।পরিসংখ্যানেই ধরা পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং সংকট বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলকে বিশ্লেষণ করলে ব্যাটিংয়ের দুর্বল চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ মোট ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে দলীয় গড় ছিল ২০-এরও নিচে, যা আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মান অনুযায়ী একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২০-এর নিচে, যেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক হতে হলে অন্তত ১৪০-এর কাছাকাছি থাকা জরুরি। ২০২৫ সালে ৩০টি ম্যাচ খেলে দলীয় রানের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও, শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে ধারাবাহিক উন্নতির প্রশ্নে এখনো বড় ধরনের সংশয় রয়েছে। সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা হলো- মূল ব্যাটসম্যানদের অনিয়মিত পারফরম্যান্স। লিটন দাসের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে যে বিস্ফোরক ও ধারাবাহিক শুরুর প্রত্যাশা করা হয়, তা প্রায়ই দেখা যায় না। তার টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট নিয়েও রয়েছে বিস্তর সমালোচনা। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো গড় থাকা অনেক ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসে সেই ছন্দ ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় বর্তমানে ২৮.৭৬-যা দলের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের তুলনায় মোটেও সন্তোষজনক নয়। এই পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে দেয়, কেন বিশ্বকাপের আগে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।মাঝের ওভার ও ডেথ ওভারে ব্যর্থতার গল্পবাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের মূল সমস্যা কেবল দ্রুত রান তুলতে না পারা নয়, বরং পুরো ইনিংস জুড়েই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়া। বিশেষ করে ৭ থেকে ১৫ ওভারের মাঝের সময়ে স্পিনারদের বিপক্ষে স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা এবং ডেথ ওভারে পর্যাপ্ত বাউন্ডারি হাঁকাতে না পারা বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সময় অতিরিক্ত ডট বল খেলে ফেলার কারণে রান রেট নেমে যায়, আর শেষ দিকে বড় শট খেলার জন্য অযথা চাপ তৈরি হয়। সেই চাপেই হুড়োহুড়ি করে শট খেলতে গিয়ে দ্রুত উইকেট হারানোর প্রবণতা দেখা যায়। ফলে বাধ্য হয়ে লোয়ার অর্ডার বা বোলারদের ব্যাটের দিকে তাকাতে হয়, যেখানে তানজিম সাকিবের মতো বোলার-অলরাউন্ডারদের ওপর অপ্রত্যাশিত ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব পড়ে যায়। তানজিম বোলিংয়ে দুর্দান্ত হলেও, নিয়মিত ব্যাটিং ভরসা হিসেবে তাকে নির্ভরযোগ্য ধরা যায় না-এই বাস্তবতা দল পরিচালনাও ভালোভাবেই জানে।ক্যাম্পে কী নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ফিল সিমন্স, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সমন্বিত প্রশিক্ষণে ব্যাটিংয়ের প্রতিটি সমস্যার গভীরে গিয়ে কাজ করা হচ্ছে। টাইমিং ঠিক রাখা, সঠিক শট নির্বাচন, সুইপ ও রিভার্স সুইপের মতো আধুনিক শট, পাওয়ার হিটিংয়ের কৌশল এবং পরিস্থিতি বুঝে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-সবকিছুর ওপরই আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্পিনের বিপক্ষে রান বের করার কৌশল, ডেথ ওভারে ইয়র্কার ও স্লোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যাটিং, ইনিংস গড়ার পাশাপাশি শেষের দিকে ফিনিশিং দক্ষতা বৃদ্ধির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানে প্রতি ওভারেই ১৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেট ধরে রাখা প্রায় বাধ্যতামূলক, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এখন ভয়ডরহীনভাবে বড় শট খেলার মানসিকতা তৈরি করাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর লড়াই ফেব্রুয়ারির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো একটি বৈশ্বিক মঞ্চের আগে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। প্রধান কোচের সরাসরি তত্ত্বাবধান এবং দেশের সেরা দুই ব্যাটিং কোচের নিবিড় পরিচর্যা মূল ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। এই ক্যাম্প কেবল স্কিল উন্নয়নের জায়গা নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষার মঞ্চও। বাংলাদেশ দলের বড় চ্যালেঞ্জ এখন ভয় ঝেড়ে ফেলে আধুনিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের গণ্ডি পেরিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস দেখাতেই হবে।ভক্তদের অপেক্ষা-পরিবর্তনের প্রতিফলন কবেবিশ্বকাপের আগে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে, সেটিই এখন কোটি ক্রিকেটভক্তের বড় প্রশ্ন। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকিয়ে আছেন-এই ক্লাস শেষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সত্যিই কি আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন? বড় দলের বিপক্ষে কি আর বারবার মুখ থুবড়ে পড়তে হবে, নাকি দেখা যাবে এক নতুন আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ? যদি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যাটিং লাইনআপ শক্ত ভিত গড়ে তুলতে পারে, তবেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের জন্য তৈরি হবে সত্যিকারের কঠিন চ্যালেঞ্জ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুখবর, আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় আসতে পারে ফিফা বিশ্বকাপের স্বর্ণালী ট্রফি। তবে সফর চূড়ান্তভাবে দেশের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জানুয়ারি এক দিনের সফরের প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে। ফিফা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বিষয়টি মৌখিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, এবারের ট্রফি সফরে দর্শক অংশগ্রহণ বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া ২০২৬ বিশ্বকাপে দেশ যেন বেশি টিকিট পেতে পারে, সে বিষয়েও ফিফার কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।এছাড়া, আগামী বছরে অন্তত পাঁচ প্রবাসী ফুটবলারের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা চলছে। তবে ইংলিশ ক্লাব ফুলহ্যামের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ফারহান আলী ওয়াহিদ এখনো দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন না।ফাহাদ করিম জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লাতিন বাংলা সুপার কাপের আয়োজনের অব্যবস্থাপনার কারণে ভবিষ্যতে এমন টুর্নামেন্টের অনুমোদনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
যার স্পর্শে রাতারাতি বদলাতে শুরু করেছিল ফুটবল বিশ্বে কিছুটা অপরিচিত আমেরিকান লিগ সকার (এমএলএস) ও ইন্টার মায়ামি। সেই লিওনেল মেসিই এবার সেখানকার সর্বোচ্চ লিগ টাইটেল জিতলেন। আর্জেন্টাইন মহাতারকার আগমনে অভিষেক মৌসুমেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ট্রফি জিতেছিল মায়ামি।সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে একাধিক টাইটেল। মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে এবার প্রথমবারের মতো মায়ামি এমএলএস কাপ–ও জিতে নিয়েছে।বিশ্বকাপজয়ী আলবিসেলেস্তে তারকা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ দিয়েই ক্যারিয়ারের ষোলোকলা পূর্ণ করেছিলেন। তবুও পেশাদার ক্যারিয়ার চলমান থাকাবস্থায় চ্যালেঞ্জ তো মেসি নেবেন–ই। সেই চ্যালেঞ্জে অনেকটা আনকোরা দল থেকে এমএলএসের শিরোপা জেতার মতো দল হয়ে ওঠে মায়ামি। দলে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে ঠিক–ই, তবে আলবা-বুসকেটস-সুয়ারেজ এবং শেষমেষ রদ্রিগো ডি পলকে দলে ভেড়াতে মূল প্রেরণায় ছিলেন মেসি।দলগতভাবে আগেই সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই সংখ্যাটিকে এবার তিনি ৪৮–এ পরিণত করলেন। এমএলএস কাপের হিসাবটা একটু জটিল। দুটি ভিন্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ অবস্থানধারীরা পরস্পর সিরিজে মুখোমুখি হয়। সেখানেও আধিপত্য দেখিয়ে ফাইনালে উঠেই ইস্টার্ন কনফারেন্সের ট্রফি জেতে মায়ামি।এবার পুরো এমএলএসেরই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঠল ফ্লোরিডার ক্লাবটির মাথায়। যেখানে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল ৩-১ গোলে টমাস মুলারদের ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে হারিয়েছে।ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) দিবাগত রাতে প্রায় সমান তালেই লড়েছে মায়ামি ও ভ্যাঙ্কুভার। তবে গোল ব্যবধানটাই ম্যাচের ফল গড়ে দিলো। যেখানে মাত্র ৮ মিনিটেই ফুলব্যাক এডিয়ার ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ভ্যাঙ্কুভার।এরপর ম্যাচ ফিরতে তাদের ৬০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে আলি আহমেদের সেই গোল যেন আরও তাতিয়ে দেয় মায়ামিকে। ৭১ মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের গোলে লিড নেওয়ার পর যোগ করা সময়ে মায়ামির বড় জয় নিশ্চিত করেন তাদেও আলেন্দে।মায়ামির করা দুটি গোলেই বলের যোগান দিয়েছেন মেসি। এরপর এমএলএস কাপে জিতে স্মরণ করলেন গত মৌসুমের বাজে পরিস্থিতিকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেন, ‘গত বছর আমাদের জন্য লিগ বেশ আগেভাগেই শেষ হয়েছিল, আমরা বিদায় নিয়েছিলাম প্রথম রাউন্ড থেকেই।এই বছর আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল এমএলএস জেতা। এজন্য দল অনেক শ্রম দিয়েছে– বছরটা ছিল অনেক লম্বা, অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে এবং সবশেষে আমরা চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছি।’১২ বছর আগে ইন্টার মায়ামির মালিকানায় যুক্ত হয়েছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম। যদিও খেলার মাঠে দলটির যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে, এর তিন বছর পর যুক্ত হন মেসি। তখন থেকেই যেন তাদের কপাল খুলতে শুরু করে।সেই তারকাকেই কৃতিত্ব দিলেন মায়ামির সহ-মালিক বেকহ্যাম, ‘এটি অবিশ্বাস্য একটি যাত্রা। সে (মেসি) কেবল মায়ামিতে উপভোগ করতেই আসেনি। তার স্ত্রী–বাচ্চারাও এই ঠিকানাটাকে ভালোবাসে, তবে মেসি জিততেই এসেছিল। জয়ের তাড়নায় সে নিবেদন, সতীর্থ, শহর ও ক্লাবের প্রতি আন্তরিক ও অনুগত ভাববিনিময় দেখিয়েছে। লিও একজন বিজয়ী, এটি এমনই স্বাভাবিক বিষয়।’ভোরের আকাশ/মো.আ.