ছবি- সংগৃহীত
চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। পরে প্রিজনভ্যান থেকে একে একে নামিয়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের হাজতখানায় নিয়ে যান।
ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বেসরকারি শিল্প-বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এর মধ্যে সালমান, আনিসুল, ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে পৃথক ফরমাল চার্জ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-১। একই আদেশে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে কারফিউ জারি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা আদালত আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর পৃথক মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল-১। সেদিন প্রসিকিউশন দুই মাস সময় চাইলে আদালত নির্দেশ দেন। এরও আগে ২০ জুলাই তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করে প্রসিকিউশন। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল নতুন করে সময় দেয়।
আজ সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন এবং তল্লাশি শেষে সবাইকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। সেদিন প্রসিকিউশন তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় চায় এবং পরবর্তী দিন হিসেবে ২০ জুলাই নির্ধারণ করা হয়।
এরআগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন আসামিকে আনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একসময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। পরে প্রিজনভ্যান থেকে একে একে নামিয়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের হাজতখানায় নিয়ে যান।ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বেসরকারি শিল্প-বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।এর মধ্যে সালমান, আনিসুল, ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে পৃথক ফরমাল চার্জ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-১। একই আদেশে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে কারফিউ জারি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা আদালত আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে।এর আগে গত ১৫ অক্টোবর পৃথক মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল-১। সেদিন প্রসিকিউশন দুই মাস সময় চাইলে আদালত নির্দেশ দেন। এরও আগে ২০ জুলাই তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করে প্রসিকিউশন। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল নতুন করে সময় দেয়।আজ সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন এবং তল্লাশি শেষে সবাইকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। সেদিন প্রসিকিউশন তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় চায় এবং পরবর্তী দিন হিসেবে ২০ জুলাই নির্ধারণ করা হয়।এরআগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন আসামিকে আনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একসময়ের হেভিওয়েট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলায় দৈনিক নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।রোববার (৭ ডিসেম্বর) আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করলে তা নাকচ করে দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাহবুবুর রহমান।এর আগে, গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শামসুল হক দুররানী। তার পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম জামিন চেয়ে শুনানি করেন।আইনজীবী খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নওরোজ সম্পাদক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বর্তমান আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা চাপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ হিসেবে থাকাকালে ১০ কেজি হেরোইন মামলায়, সাড়ে তিন কেজি হেরোইনের মামলায়, এমনকি বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের মামলায় আসামিদের জামিন দেন। আমি তার বিরুদ্ধে নিউজ করি। নিউজ করার কারণে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করা হয়। এ কারণে লিয়াকত আলী এবং উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’তিনি বলেন, ‘বিচারকরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না, কিছু লেখা যাবে না।’আইন সচিবই মামলা করিয়েছেন কীভাবে বুঝলেন প্রশ্নের জবাবে এ সম্পাদক বলেন, ‘এটা পুলিশ আমাকে বলেছে, তার নাম আমি বলবো না।’মামলার বিবরণ অনুযায়ী, জামালপুরের মেলান্দহে উপজেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে এক কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার ঠিকাদারি কাজ করছেন রাজিবুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে কিছু অচেনা ব্যক্তি কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন।এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিকালে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে সাক্ষাৎ করতে বলেন। ওই ব্যক্তি জামালপুরের সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।এজাহারে বলা হয়, রাজিবুল ঢাকা থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে ৭টায় পৌঁছান; সেখানে তাদের দেখা হয়। তখন জামালপুরের ঝামেলা মেটাতে ২০ লাখ টাকা চান দুররানী। টাকা না দিলে কাজ করতে পারবে না বলে হুমকি দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে গুমের ঘটনার নির্দেশ শেখ হাসিনা সরাসরি দিয়েছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। হাসিনার গুমের নির্দেশ তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বাস্তবায়ন করতেন বলে জানান তিনি।রবিবার (৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা সংক্রান্ত অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় এসব কথা বলেন তিনি।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই বিচারক ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।তাজুল ইসলাম বলেন, হাসিনার আমলের গুমের সব অপারেশনের দায়িত্ব পালন করতেন লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুর হক, অবসরে গিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।দুপুর ১২টায় শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিক, পলাতক ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৪ মহাপরিচালক ও গ্রেপ্তার তিন সেনা সদস্যসহ ১৩ জনের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর।ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন তিন সেনা সদস্য। এদিন সকালে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের হাজির করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার সেনা সদস্যরা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ ও লে. কর্নেল (অব) মখসুরুল হক।এর আগে, ২৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে পলাতকদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। স্বেচ্ছায় লড়তে চাইলে শেখ হাসিনার আইনজীবী হন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। তবে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করলে মো. আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা এ মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সাতদিনের মধ্যে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।গত ৮ অক্টোবর এ মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।ভোরের আকাশ/তা.কা
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।রোববার (৭ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশ হবে। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।শুনানির লক্ষ্যে রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার (সাবজেল) থেকে তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনালের আশপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সগত ২৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন।জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুমের মামলার গ্রেফতার আসামি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী কারাগারে আছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম, খুনের মামলায় গত ২২ অক্টোবর এই তিনজনসহ দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তাদের ঢাকা ক্যান্টমেন্টে সরকার ঘোষিত বিশেষ কারাগারে রাখা হয়।গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের ঘটনায় ৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়। শুনানি শেষে সেদিন ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুমের অভিযোগে আসামি শেখ হাসিনা ও তারেক সিদ্দিকীসহ ১৭ জন। জয়েন্ট ইন্টারোগেশন (জেআইসি) সেলে গুমের ঘটনায় আসামি শেখ হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকীসহ ১৩ জন। এই ৩০ জনের মধ্যে হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকী দুটি মামলায়ই আসামি। ফলে আসামি সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮। এদের মধ্যে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন, বাকিরা পলাতক।মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ ও লে. কর্নেল (অব) মখসুরুল হক।ভোরের আকাশ/মো.আ.