ফাইনাল নিশ্চিত হল শেফিল্ডের, ফিরতি লেগেও দুর্দান্ত হামজা
ব্রিস্টল সিটিকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে হার এড়াতে পারলেই ফাইনাল নিশ্চিত হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডের। এমন এক সমীকরণের ম্যাচেও দাপুটে খেলা উপহার দিয়েছে ক্রিস ওয়াইল্ডারের শিষ্যরা। প্রথম লেগের মতো এবারেও জয় এসেছে ৩-০ গোলে।
আর এই ম্যাচ দিয়েই প্লে-অফের ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা। তাদের প্রতিপক্ষ থেকে সান্দারল্যান্ড কিংবা কভেন্ট্রি সিটি। দুই দলের অন্য সেমিতে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে সান্দারল্যান্ড। আজ ফিরতি লেগ শেষে জানা যাবে কারা হবে শেফিল্ডের ফাইনালের প্রতিপক্ষ। যে ম্যাচ জিতলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেবে শেফিল্ড ও হামজা।
বিগত কয়েক ম্যাচের মতো এদিনও শেফিল্ডের রাইটব্যাকের ভূমিকায় বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী। ডিফেন্সে তিনি ঠিক কতটা কার্যকর, সেটার প্রমাণ দিয়েছেন মৌসুমের পুরোটা জুড়ে। গতকালও তাই ঘটল। দারুণ পারফরম্যান্সে আরও একবার ঘরের মাঠে দর্শকদের ভালোবাসায় হলেন সিক্ত।
ইএফএল প্লে-অফের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রক্ষণে হামজা ছিলেন রক-সলিড। ম্যাচে সফলভাবে করেছেন ৪ ট্যাকেল। একটি ক্লিয়ারেন্স এবং দুইবার বল রিকোভারি করে ব্রিস্টলের ম্যাচে ফেরার রাস্তাটাই বন্ধ করেছেন। গ্রাউন্ড ডুয়েলে বরাবরের মতোই সফল হামজা। এদিন সাফল্যের হার ছিল ৮৩ শতাংশ। আর এরিয়াল ডুয়েলে একবার পরাস্ত হলেও জিতেছেন একবার।
তবে রাইটব্যাক হিসেবে দলের আক্রমণ রচনাতেও কম ভূমিকা রাখেননি। প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে ৪টি সফল পাস। ৯৩ শতাংশ পাসিং অ্যাকুরিসি হামজাকে এই ম্যাচে আলাদা করে চিনিয়েছে আবার। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট না থাকলেও ম্যাচে নিজের নিয়ন্ত্রণের ছাপ রেখেছেন পুরোটা সময় জুড়ে।
অবশ্য কলাম ও’হারা, কেইফার মুর কিংবা গুস্তাভো হ্যামারদের কল্যাণে গোলের জন্য মরিয়া হতে হয়নি হামজাকে। ৩-০ গোলে বেশ সহজ এক জয় এসেছে ব্রিস্টলের বিপক্ষে। নিশ্চিত হলো প্লে-অফের ফাইনাল। সেই ম্যাচ জিতলেই হামজার দল চলে যাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
আগামী আগস্টে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টির দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ভারতের। চলতি বছরের এপ্রিলে সূচিও ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে নির্ধারিত সময়সূচিতে এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।সোমবার (৩০ জুন) রাতে অনুষ্ঠিত বিসিবির বোর্ড সভা শেষে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সিরিজ আয়োজন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যদি কোনো কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সিরিজ আয়োজন সম্ভব না হয়, তাহলে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য উইন্ডোতে তা অনুষ্ঠিত হবে।বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আগস্ট-সেপ্টেম্বর সময়কাল মাথায় রেখে আলোচনা চলছে—কীভাবে সিরিজটি আয়োজন করা যায়। যদি এই সময়ে সম্ভব না হয়, তাহলে অন্য সম্ভাব্য উইন্ডোতে তা হবে।’নির্ধারিত সূচি ছিল: সূচি অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ভারতীয় দলের। এরপর ১৭ আগস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ওয়ানডে ২০ আগস্ট, একই ভেন্যুতে।এরপর চট্টগ্রামে গিয়ে শেষ ওয়ানডে খেলবে দুই দল। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৬ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে টাইগার ও মেন ইন ব্লুদের। এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম)।শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়টি হবে ঢাকায়, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এই সিরিজই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ।সিরিজ শেষে ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মাটি ছাড়বে ভারতীয় দল।ভোরের আকাশ//হ.র
নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতি নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যদিও বিশ্বকাপের আগে এখনো কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নিশ্চিত হয়নি, তবুও প্রস্তুতির দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ প্রেক্ষিতে নারী ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ এক পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি—প্রথমবারের মতো নারী নির্বাচক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।সোমবার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত বিসিবির বোর্ড সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি জানান, মেয়েদের ক্রিকেটে বর্তমানে যে সিলেকশন কমিটি রয়েছে, সেখানে নীতিগতভাবে একজন নারী নির্বাচক যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, ‘মেয়েদের সিলেকশন টিমে আমরা নারী সিলেক্টর যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধীরে ধীরে নারী হাই পারফরম্যান্স বিভাগসহ নারীদের জন্য যেসব কাঠামো আছে, সেগুলো আরও সমৃদ্ধ করার কাজ চলছে।’বর্তমানে নারী দলের নির্বাচকের দায়িত্বে আছেন সাবেক ক্রিকেটার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। তবে এবার নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুনের নাম। যদিও তিনি এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছেন, তবুও নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন তিনি।সালমা খাতুন বলেন, ‘অনেক আগে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল। এখন যদি প্রস্তাব আসে, সব কিছু ভেবে দেখব। সুযোগ পেলে অবশ্যই কাজ করতে আগ্রহী। বোর্ডের হয়ে কাজ করা তো গর্বের ব্যাপার।’এছাড়া বোর্ড সভায় আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি—অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর লক্ষ্যে পাঁচ বছরের জন্য ব্র্যাক আইটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।বুলবুল জানান, ‘ব্র্যাক আইটির সঙ্গে আমরা অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য চুক্তি করেছি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন খেলোয়াড় ২৪ ঘণ্টা কী করছে, তা মনিটর করা যাবে। সব তথ্য জমা হবে একটি ডেটা সেন্টারে। শুরুতে এটি পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ বছরের জন্য চালু করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত করতে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলবে।’নারী ক্রিকেটে এই উদ্যোগগুলো নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের পথকে আরও সুগম করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে যাচ্ছেন আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার সাইমন টোফেল। দেশি আম্পায়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিবি তাকে তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। সোমবার (৩০ জুন) বিসিবির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। টোফেল মূলত দেশের মাঠে মান উন্নয়ন এবং নতুন আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়নে কাজ করবেন। সাইমন টোফেলকে যুক্ত করা প্রসঙ্গে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, সম্প্রতি আমরা আইসিসির সাবেক এলিট আম্পায়ার সাইমন টোফেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সে নানান দেশের আম্পায়ারদের উন্নতি নিয়ে কাজ করে। এমনকি সে আইসিসির সঙ্গেও যুক্ত। তার সঙ্গে আমরা ৪-৫ মাস অনেকদিন ধরেই কথা বলছিলাম, এটা এখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বোর্ডে।তিনি আরও বলেন, সাইমন টোফেলের সঙ্গে আমাদের ৩ বছরের চুক্তি। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে কাজ করা হবে। এটা নিয়ে আমরা ১০-১৫ জন আম্পায়ার ট্রেনার তৈরি করব যারা সারাদেশে আম্পায়ারদের উন্নতিতে কাজ করবে। এখানে উনার প্রতিনিধি দল আসবেন এবং পুরো প্রোগ্রামটা করবেন। তবে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন তিনিও। এখনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। সে নিজেও এটার মধ্যে আছেন। এখন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ হবে সেটা আসলে আপনাদের সামনে নিয়ে আসব এবং আপনারা প্রশ্ন করতে পারবেন।উল্লেখ্য, সাইমন টোফেল টানা পাঁচবার (২০০৪–২০০৮) আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব বিসিবির আম্পায়ারিং কাঠামোকে আরও পেশাদার ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলবে বলে মনে করছে বোর্ড। সবমিলিয়ে ৭৪ টেস্ট, ১৭৪ ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন সাইমন টোফেল। ২০০৩ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন সাবেক এই অজি ক্রিকেটার। এর পরের প্রায় এক দশক তিনি ছিলেন বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের একজন।ভোরের আকাশ/জাআ
ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না বরুণ চক্রবর্তীর। পড়াশোনা শেষে তিনি চাকরি করতেন, এমনকি সিনেমাজগতেও কাজ করেছেন। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে নিয়ে এসেছে ক্রিকেটে—যেখানে তাঁর আয় বেড়েছে প্রায় ৪২০০ শতাংশ!ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব শো-তে নিজের অতীত জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন আইপিএলে কেকেআরের হয়ে খেলা বরুণ। তিনি জানান, “কলেজ শেষ করে দেড় বছর চাকরি করেছি। শুরুতে মাসে ১৪ হাজার, ছাড়ার সময় ১৮ হাজার রুপি পেতাম।”এরপর তিনি গিটার শেখা শুরু করেন, তবে সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এরপর অভিনয়জগতে পা রাখেন। কয়েকটি ছবিতে জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ এবং কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। দিনে ৬০০ টাকা আয় হতো তাঁর তখন।বরুণ বলেন, “অভিনয়ে বেশি আয় ছিল না। তবে তখন শুধু শখের বশে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতাম। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে সুযোগ আসে প্রফেশনাল ক্রিকেটে।”ক্রিকেটে বরুণের উত্থান শুরু আইপিএল দিয়ে, বিশেষ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে। সেখান থেকে সুযোগ পান জাতীয় দলে—ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলেছেন, জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও।বর্তমানে তাঁর বেতন কত? এই প্রশ্নের জবাবে বরুণ জানান, “দৈনিক হিসেবে এখন আমার আয় প্রায় ২৬ হাজার টাকা।” অশ্বিন হেসে বলেন, “তবে তো তোমার আয় বেড়েছে ৪২০০ শতাংশ!”অভিনয় আর চাকরি পেরিয়ে ক্রিকেট—বরুণ চক্রবর্তীর জীবন এখন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা।ভোরের আকাশ//হ.র