তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫ ০৫:০৪ পিএম
এআই প্রকল্পে ২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বিক্রি করছে মেটা
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে জোরালোভাবে অবস্থান নিতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার–সম্পর্কিত জমি ও নির্মাণাধীন অবকাঠামো বিক্রি করবে, যা এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার খাতে যৌথ বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেটা চলমান ডেটা সেন্টার প্রকল্পের কিছু সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে নতুন আর্থিক অংশীদারদের যুক্ত করতে চায়। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি গত জুনে এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে এবং এসব সম্পদকে “হেল্ড ফর সেল” ক্যাটাগরিতে শ্রেণিকরণ করেছে, যার মানে হলো আগামী ১২ মাসের মধ্যে এগুলো বিক্রি করে দেওয়া হবে।
মেটার সর্বশেষ কোয়ার্টারলি ফাইলিং অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের মোট “হেল্ড ফর সেল” সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩.২৬ বিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সম্পদ বিক্রিতে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই, কারণ তা ‘বুক ভ্যালু’ ও ‘মার্কেট ভ্যালু’-এর মধ্যে যেটি কম, সেই অনুযায়ী মূল্যায়িত হয়েছে।
মেটার চিফ ফিনান্স অফিসার সুসান লি বলেন, “আমরা আমাদের ভবিষ্যতের ডেটা সেন্টার চাহিদা অনুযায়ী কিছু প্রকল্পে বাইরের বিনিয়োগ যুক্ত করতে চাই। যদিও অধিকাংশ ব্যয় আমরা নিজেরাই বহন করব।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এআই এবং সুপারইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির জন্য মেটা সুপারক্লাস্টার নামে বৃহৎ পরিসরে ডেটা সেন্টার নির্মাণ করছে। তার ভাষায়, এই সুপারক্লাস্টারের প্রতিটি “একটি পুরো ম্যানহাটনের বড় অংশের সমান।”
এই উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেটা তাদের বার্ষিক মূলধন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে ৬৬ থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞাপন খাতে এআই-নির্ভর কনটেন্ট ডেলিভারি এবং টার্গেটিংয়ের মাধ্যমে আয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তি খাতে এটি একটি নতুন ধারা। যেখানে একসময় গুগল ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো নিজেদের অর্থেই অবকাঠামো নির্মাণ করত, এখন তারা যৌথ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে—বিশেষ করে এআইভিত্তিক হাই-পারফরম্যান্স ডেটা সেন্টার তৈরির ক্ষেত্রে।
এআই খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, মেটার এই পদক্ষেপ তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত আধিপত্য বজায় রাখার কৌশল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভোরের আকাশ//র.ন