প্রতীকী ছবি
রাজধানীর আরও কয়েকটি স্থানে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার (১৩ জুলাই) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউট ভবনের সম্মুখে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এ ছাড়া বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
সবশেষ ৮ জুলাইয়ের গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয় ও যমুনার আশপাশের এলাকা হিসেবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড় ও মিন্টু রোডের কথা বলা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ কমিশনার লিখিত আদেশ দিয়ে যেকোনো সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে সরকারের অনুমোদন ছাড়া এমন নিষেধাজ্ঞা ৩০ দিনের বেশি বলবৎ রাখার সুযোগ নেই।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর আরও কয়েকটি স্থানে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার (১৩ জুলাই) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউট ভবনের সম্মুখে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।এ ছাড়া বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করেছে ডিএমপি।সবশেষ ৮ জুলাইয়ের গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয় ও যমুনার আশপাশের এলাকা হিসেবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড় ও মিন্টু রোডের কথা বলা হয়।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ কমিশনার লিখিত আদেশ দিয়ে যেকোনো সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে সরকারের অনুমোদন ছাড়া এমন নিষেধাজ্ঞা ৩০ দিনের বেশি বলবৎ রাখার সুযোগ নেই।ভোরের আকাশ/আজাসা
কেনাকাটা করতে আমরা প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গিয়ে থাকি। দেখা গেল, রাজধানীতে আজ আপনি যেখানে কেনাকাটা করতে যাবেন, ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ। তখনই পড়তে হবে বিড়ম্বনায়। তাই ব্যস্ত এই শহরের মার্কেটে বের হওয়ার আগেই জেনে নিতে পারেন রোববার (১৩ জুলাই) কোন কোন মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট: বিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লি, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ এবং ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, মিতালি অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট: আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকা, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টার সিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ী একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা হঠাৎ করে এ বিস্ফোরণ ঘটায়।বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারী ও আশেপাশের যানবাহনের যাত্রীরা আতঙ্কে ছুটোছুটি করতে শুরু করেন।এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমীনও গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।কালের সমাজ//হ.র
দেশের একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরন ও বীভৎসতা। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মানুষের শরীরের জামা-কাপড়ও। রাজধানীর শ্যামলীতে ঘটে গেছে এক চরম নৃশংস ও চমকে দেওয়ার মতো এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা শুধু টাকা-পয়সা বা ব্যাগই নয়, ভুক্তভোগীর গায়ের জামা ও পায়ের জুতাও ছিনিয়ে নিয়েছে। পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় এবং সেই ভিডিও ফুটেজ এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে শ্যামলী ২ নম্বর রোডে এমন ঘটনা ঘটে। তিন ছিনতাইকারী একটি মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটায়। আজ শেরে বাংলা নগর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী যুবকের নাম শিমিয়ন (২৭)। তিনি একমি ল্যাবলেটরিতে কেমিস্ট হিসেবে চাকরি করেন। শ্যামলী দুই নম্বর রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। শুক্রবার সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন।ওসি ইমাউল হক বলেন, ‘তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, টাকা, মোবাইল, এমনকি তার জামা ও জুতা ছিনিয়ে নেয়। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং ছিনতাইকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’এদিকে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছাতা হাতে এক যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে তিন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘিরে ফেলে। দুই জন হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে যুবকের মুখোমুখি অবস্থান নেয়, অন্য একজন মোটরসাইকেল ইউটার্ন করে সামনে এসে পথ আটকে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে দুই জনের মাথায় হেলমেট ছিল, আর একজন ছিল খালি গায়ে। এরপর তারা ভুক্তভোগী যুবকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে ভুক্তভোগীর শরীরের জামা ও পায়ের জুতা খুলিয়ে নেয়। ছিনতাই শেষে তিন জন আবার মোটরসাইকেলে ওঠে দ্রুত পালিয়ে যায়।এ ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে- রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় এভাবে একজন মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া, এমনকি জামা-জুতা পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস কোথা থেকে পায় দুর্বৃত্তরা? এটি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতির চিত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি দাবি করলেও ছিনতাইকারীরা যেন দিনে-দুপুরেও বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।ওসি ইমাউল হক আরও বলেন, ‘এই ঘটনার ভুক্তভোগী শিমিয়ন শনিবার সন্ধ্যায় থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ