গাজীপুরের শ্রীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের আগে এক বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার ও বিচার বিভাগ যারা আছেন তাদের সবাইকে আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই, বর্তমানে আওয়ামীলীগের বিচারের অত্যন্ত ধীরগতি দেখতে পাচ্ছি। ৮মাস পরেও এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের কোন স্পষ্ট বিচার আমাদের চোখে পড়েনি। এই বিচার ব্যবস্থাকে দ্রুততর করার জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন আমি বিশ্বাস করি আপনারা নিবেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মুহিম, শ্রীপুর উপজেলা এনসিপি’র সভাপতি প্রার্থী আবু রায়হান মিসবাহ্ প্রমুখ।

মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরও বলেন, কিছু দুর্বত্তকারীরা আমাদের কিছু রাজনৈতিক নেতারা এখনো আওয়ামীলীগকে পুনবার্সন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা তাদের স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই, মাওনার মাটিতে যদি আওয়ামীলীগের মাটিতে যদি সবচেয়ে বড় আন্দোলন হতে পারে, সেই আওয়ামীলীগকে পুনবার্সনের বিরুদ্ধে এবং অন্য কোন ফ্যাসি দল হয়ে আসতে চায় তাহলে তাকে রুখে দিতে এই মাওনাতেই আবার রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।

যদি আপনারা সেই ব্যবস্থা না করে তাহলে জনগণই সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, কিভাবে আওয়ামীলীগের বিচার করতে হয়, কিভাবে তাদের সামাজিক ভাবে বিচার করতে হয় এবং আওয়ামীলীগকে প্রত্যেকটা পদে পদে সামাজিক তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হয় সেই ব্যবস্থা জনগণ গ্রহণ করবে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে যদি কোন মানুষ রক্তাক্ত হয়, রক্তক্ষয় হয় তাহলে সেই দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মুহিম বলেন, এই মাওনায় শহীদদের রক্ত এখনো লেগে আছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। এই আওয়ামীলীগ আমাদের হাজারো মানুষের রক্ত ঝড়িয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।এই রাজপথে রক্ত লেগে আছে, এই রাজপথেই শহীদ হয়েছে আমাদের ভাইয়েরা।যতক্ষণ না পর্যন্ত সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ না করা হবে, আমরা রাজপথে সক্রিয় থাকবো। প্রত্যেক ভাইয়ের রক্তের বদলা নিতে হবে।

এই শহীদ ভাইদের আমরা প্রত্যেকেই দায়বদ্ধ। তাদের প্রত্যেকে আইনের আওতায় এনে সঠিক ভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে অবশ্যই আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ যারা জড়িত ছিল প্রত্যেকেই আইনের আওতায় আনতে হবে। আজকের সমাবেশ থেকে ঘোষণা করতে চাই আমরা কিন্তু বসে পড়িনি, আমরা কিন্তু হেরে যাইনি।

এনসিপি যতদিন আছে, ২৪ এর পক্ষে যারা শহীদ তাদের পক্ষে কথা চলবে। হয় আওয়ামীলীগ থাকবে না হয় এনসিপি থাকবে। দুইটা এক সাথে চলতে পারে না। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ না করলে বাংলার মানুষ আবারো রাজপথে নামবে।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ