স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৩ পিএম
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তর
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে যৌথ বাজার মনিটরিং করেছে উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ৫টি প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা মূলক জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন ও এন এস আই'র নির্দেশনা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার জন্য সকাল ১১ টায় ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পেঁয়াজ রসুনের আড়োতে, কাঁচা বাজারে ও ভ্যারাইটি স্টোরে তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী ও দিনাজপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বোরহানউদ্দিন।
অভিযানে যুক্ত ছিলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ও ফুলবাড়ী উপজেলা ক্যাব'র সভাপতি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাসউদ রানা, উপজেলা ক্যাব'র সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন ফুলবাড়ী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. জুলফিকার আলী সহ থানার পুলিশ ফোর্স। বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন না মানার জন্য জরিমানা ও করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বোরহানউদ্দিন জানান, অভিযান চলাকালে দোকানে মূল্য তালিকা না রাখার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৮ ধারায় ৪টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে। তন্মধ্যে টিটির মোড়ে সুমন স্টোরে টিসিবি'র তেল রাখার দায়ে এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা, মিমি স্টোরে ২ হাজার টাকা, অংকিতা ভ্যারাইটি স্টোরে ২ হাজার, পৌর কাচা বাজারের রমা সবজি ভান্ডারে ১ হাজার টাকা এবং জনতা ব্যাংকের নিচে গোবিন্দ দধি ভান্ডারে ঘোলের বোতলে ও দইয়ের পাত্রে মেয়াদ, ওজন, মূল্য ও উৎপাদনের স্থান উল্লেখ না থাকার অপরাধে ৩৭ ধারায় ২ হাজার টাকা সচেতনতামূলক অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের আড়তে ক্রয় ভাউচার পরিবিক্ষণ করে পেঁয়াজ বিক্রয়ের কোন গরমিল পরিলক্ষিত হয়নি। পেঁয়াজ পাইকাড়ি ৪২, খুচরা ৪৫ টাকা, রসুন পাইকাড়ি ৯০ খুচরা ১শত টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জেলা ক্যাব ও সুজন''র প্রতিনিধি মামউদ রানা বলেন, সরকার নিয়মিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী বলেন, ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণে জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর
প্রকাশ : ৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তর
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে যৌথ বাজার মনিটরিং করেছে উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ৫টি প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা মূলক জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন ও এন এস আই'র নির্দেশনা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার জন্য সকাল ১১ টায় ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পেঁয়াজ রসুনের আড়োতে, কাঁচা বাজারে ও ভ্যারাইটি স্টোরে তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী ও দিনাজপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বোরহানউদ্দিন।
অভিযানে যুক্ত ছিলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ও ফুলবাড়ী উপজেলা ক্যাব'র সভাপতি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাসউদ রানা, উপজেলা ক্যাব'র সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন ফুলবাড়ী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. জুলফিকার আলী সহ থানার পুলিশ ফোর্স। বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন না মানার জন্য জরিমানা ও করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বোরহানউদ্দিন জানান, অভিযান চলাকালে দোকানে মূল্য তালিকা না রাখার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৮ ধারায় ৪টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে। তন্মধ্যে টিটির মোড়ে সুমন স্টোরে টিসিবি'র তেল রাখার দায়ে এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা, মিমি স্টোরে ২ হাজার টাকা, অংকিতা ভ্যারাইটি স্টোরে ২ হাজার, পৌর কাচা বাজারের রমা সবজি ভান্ডারে ১ হাজার টাকা এবং জনতা ব্যাংকের নিচে গোবিন্দ দধি ভান্ডারে ঘোলের বোতলে ও দইয়ের পাত্রে মেয়াদ, ওজন, মূল্য ও উৎপাদনের স্থান উল্লেখ না থাকার অপরাধে ৩৭ ধারায় ২ হাজার টাকা সচেতনতামূলক অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের আড়তে ক্রয় ভাউচার পরিবিক্ষণ করে পেঁয়াজ বিক্রয়ের কোন গরমিল পরিলক্ষিত হয়নি। পেঁয়াজ পাইকাড়ি ৪২, খুচরা ৪৫ টাকা, রসুন পাইকাড়ি ৯০ খুচরা ১শত টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জেলা ক্যাব ও সুজন''র প্রতিনিধি মামউদ রানা বলেন, সরকার নিয়মিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী বলেন, ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণে জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ