ছবি: ভোরের আকাশ
পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম-ছাত্র জনতা নামে একটি সংগঠনের এ অবরোধের কারণে জেলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচল। এ ছাড়া প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অবরোধের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করছেন অবরোধকারীরা। অবরোধের তৃতীয় দিনে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাজার ও বাজারের আশপাশে কোনো দোকানপাট খোলেনি। প্রয়োজনীয় কাজে যারা বের হচ্ছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলায় অবরোধের সমর্থনকারীদের অবস্থান নেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম-ছাত্র জনতার ব্যানারে গত শনিবার ভোর পাঁচটায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
মাগুরা বাস টার্মিনাল থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেন সড়কের ডিভাইডারের সৌন্দর্যবর্ধনে স্থাপিত লোহার গ্রীল ধারাবাহিকভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিষয়টি এখনো প্রশাসনের নজরে আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কজুড়ে অধিকাংশ স্থানে গ্রীল নেই। যেখানেই গ্রীল ছিল, সেখানেই এখন ফাঁকা জায়গা। কেউ বা কারা রাতের আঁধারে এই গ্রীলগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই চুরি চললেও এখনও কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করছে না, বরং সড়কের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে ফেলছে। চুরি হওয়া এসব লোহার গ্রীল কোটি টাকার সরকারি সম্পদ, যা জনগণের করের টাকায় নির্মিত হয়েছিল।তারা আরও বলেন, দিনের পর দিন গ্রীল চুরি হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাগুরা সড়ক বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করেছি। এদিকে পুলিশের সদর থানা ওসি আইয়ুব আলী জানান বিষয়টা আমরা অবগত নয় এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি বিতর্কে জড়াতে চাই না। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও গ্রীল চুরি রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণ জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক ও সড়ক ব্যবহারকারীরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী কৈতুরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী হানিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে কৈতুরীর মৃত্যু হয়। নিহত কৈতুরীর সাত মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।ঘাতক হানিফ কালমেঘা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকার চান মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন চা বিক্রেতা এবং অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। নিহত কৈতুরী চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া এলাকার মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের মেয়ে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে কৈতুরী ও হানিফের পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের আপত্তি থাকলেও কৈতুরীর জেদের কারণে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম বছর সংসার স্বাভাবিক থাকলেও কন্যা সন্তানের জন্মের পর হানিফ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন এবং টাকার জন্য স্ত্রীর কাছে নিয়মিত যৌতুক দাবি করতে থাকেন।যৌতুক না পেয়ে তিনি স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। প্রতিবেশীরা একাধিকবার বাধা দিলেও হানিফ থামেননি। সংসার ভাঙনের ভয়ে কৈতুরীও পরিবারকে কিছু জানাননি।গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও নির্মম নির্যাতনের শিকার হন কৈতুরী। এ সময় এক প্রতিবেশী গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে হানিফকে স্ত্রীকে নির্দয়ভাবে মারধর করতে দেখা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা কৈতুরীকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই হানিফ পালিয়ে যান।পরবর্তীতে জানা যায়, হানিফ এর আগে আরও সাতটি বিয়ে করেছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭ দিন পর খাগড়াছড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “ঘাতক হানিফকে ধরতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তাকে খাগড়াছড়ি থেকে পাথরঘাটায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।”ভোরের আকাশ/মো.আ.
পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম-ছাত্র জনতা নামে একটি সংগঠনের এ অবরোধের কারণে জেলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচল। এ ছাড়া প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অবরোধের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করছেন অবরোধকারীরা। অবরোধের তৃতীয় দিনে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাজার ও বাজারের আশপাশে কোনো দোকানপাট খোলেনি। প্রয়োজনীয় কাজে যারা বের হচ্ছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলায় অবরোধের সমর্থনকারীদের অবস্থান নেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম-ছাত্র জনতার ব্যানারে গত শনিবার ভোর পাঁচটায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।ভোরের আকাশ/তা.কা
আখাউড়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন।মোরাদ হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, তিনি বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মামলা থাকার কারণে ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে। পরে আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে রাতেই আনার জন্য ঢাকার পথে রওনা হয়।এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মোরাদ হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত মোরাদ পটপরিবর্তনের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.