সংগৃহীত ছবি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ হাজার ৫ জনে পৌঁছেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় প্রায় দু’বছর ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬২ জন ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ৩৭৯ জন। আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৬৬ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৬৬ এবং আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৬৯ জনে।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। তবুও থেমে নেই তাদের বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্নিঝড় রাগাসার আঘাতের ধকল কেটে যাওয়ার আগেই মৌসুমি ঝড় বুয়ালোই আঘাত হেনেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে। এই ঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন ৩৩ জন এবং এখনও নিখোঁজ অবস্থায় আছেন কমপক্ষে ১৪ জন।রোববার এক বিবৃতিতে ফিলিপাইনের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ঝড় আঘাত হানলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিকোল প্রশাসনিক অঞ্চল, কাগায়ান উপত্যকা, কর্ডিল্লেরা প্রশাসনিক অঞ্চল, ল্যুজোন প্রদেশ এবং ভিসায়াস প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চল।বিকোলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ জন, কাগায়ান থেকে ৮ জন, কর্ডিল্লেরা থেকে ৪ জন, ল্যুজোনে ২ জন, ভিসায়াস থেকে ৩ জনের রদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তার। নিহত, আহত এবং নিখোঁজদের সবাই ভারী বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসের শিকার হয়েছেনশনিবার আঘাত হানার আগের দিন শুক্রবার ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছিল ফিলিপাইনের বিভিন্ন প্রদেশ এবং অঞ্চলে। শুক্রবার থেকে উদ্ধার অভিযানে নামেন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্র ও শনিবার উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৪টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝড়ের প্রাথমিক ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও এখনও ২ হাজার ৬৮০টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৪৬ হাজার ৬১১টি পরিবারের মোট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৭ জন সদস্য।এছাড়া প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ঝড়ো বাতাস ও ভূমিধসের জেরে মোট ৮ হাজার ৯১৬টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা প্রদান শুরু করেছে সরকার। স্থানীয় সরকার ইউনিট এবং বিভিন্ন জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭৫টি পরিবারকে ত্রাণ ও এককালীন অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে।গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাগাসা। ফিলিপাইন এবং প্রতিবেশী দেশ ভিয়েত নামে ২০ জন নিহত হয়েছিল সেই ঝড়ে।ভোরের আকাশ/তা.কা
ভারতের সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশসহ হাজারো ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হ্যাকাররা দাবি করেছে, এটি বাংলাদেশের ওয়েবসাইট হ্যাকের প্রতিক্রিয়ায় এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।হ্যাকড ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে হরিয়ানা বিধানসভার সরকারি সাইটও রয়েছে। এসব সাইটে হ্যাকাররা ‘হ্যাকড বাই শেখ হাসিনা’ ব্যানার প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতার দেওয়া শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্নক স্লোগানও জুড়ে দিয়েছে হ্যাকাররা।হ্যাকড সাইটগুলিতে ভারতীয় হ্যাকারদের অবজ্ঞাসূচক মন্তব্যও রাখা হয়েছে। সতর্ক করে বলা হয়েছে, আর যদি কোনো বাংলাদেশি আইটি অবকাঠামো তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে ভারতীয় সাইবার স্পেসকে নরক বানিয়ে দেওয়া হবে। হ্যাকাররা ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘কোন দেশের ওয়েবসাইট সব চাইতে বেশি দুর্বল সেটা সবাই জানে।’গত কয়েক দিন ধরে ভারতীয় হ্যাকাররা বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোকে নিয়মিত আক্রমণ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রতিক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের হ্যাকাররা।প্রমাণ হিসেবে হ্যাকাররা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘https://t.me/OpChaWala’-এ হ্যাকিংয়ের লিংকসহ পোস্ট দিয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লিংকগুলোতে হ্যাকের নোটিশ দেখা যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ হাজার ৫ জনে পৌঁছেছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় প্রায় দু’বছর ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬২ জন ফিলিস্তিনি।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ৩৭৯ জন। আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৬৬ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৬৬ এবং আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৬৯ জনে।এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। তবুও থেমে নেই তাদের বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ১২ বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। কিয়েভের আকাশসীমায় সর্তকবার্তা জারি হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববারের এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে নতুন করে হামলা শুরু করার পর একে ‘অপরিকল্পিত সামরিক কার্যকলাপ’ উল্লেখ করে পোল্যান্ড রাজধানী ওয়ারশের দক্ষিণ-পূর্বে আকাশসীমার কিছু অংশ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।আলজাজিরা লিখেছে, ডেনমার্ক এবং নরওয়েতে রুশ বাহিনীর ড্রোনের উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় বাল্টিক সাগরে ন্যাটোর প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগের পর রোববার পোল্যান্ডের আকাশসীমা বন্ধ করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।কিয়েভের সামরিক প্রশাসন বলছে, একজনের লাশ উদ্ধারের পর আরও তিনজনের নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলায় অন্তত ১৫টি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে।সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, সকালেও আক্রমণ অব্যাহত থাকায় কিয়েভের কিছু বাসিন্দা নিরাপত্তার জন্য গভীর ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে পালিয়ে যান।এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেছেন, রাশিয়া রাতভর শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হামলায় আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং বেসামরিক লোক আহত ও নিহত হয়েছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা