বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল
বাজেটে উন্নয়ন খাতের ৪০% কৃষিতে বরাদ্দের দাবিতে গাইবান্ধা জেলা কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ জুন) দুপুরে জেলা শহরের ১নং রেলগেট থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক বর্মনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা নেতা গোলাম রাব্বানী, কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠনের নেতা নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর কৃষক ফ্রন্টের জেলা নেতা জাহেদুল হক, ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সভাপতি ময়নুল হোসেন মন্ডল, জাতীয় কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির মো. সাব্বির রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন সংশ্লিষ্ট খাত, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ও জীবনমান উন্নয়ন খাতে উন্নয়ন বাজেটের ৪০% বরাদ্দ, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টন ধান ক্রয়ের দাবি জানান। সেইসাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু, ভুমিহীন কৃষকসহ প্রকৃত উৎপাদক কৃষকদের কৃষি কার্ড বিতরণ, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে কৃষক সমবায় বাজার চালুরও দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভাসমান সবজি চাষ কীভাবে শুরু হয়েছিল, নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেননি। মুগারঝোড় গ্রামের কৃষক মো. ফেরদাউস (৫০) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ভাসমান সবজি চাষ করে আসছি। আমাদের বাবা-দাদারা এইভাবে চাষ করতেন।পিরোজপুরের নাজিরপুরের প্রত্যন্ত এলাকা দেউলবাড়ী দোবড়া, কলার দোয়ানিয়া ও মালিখালী ইউনিয়নের অধিকাংশই বিল। এখানকার বাসিন্দারা বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দি থাকে। এক মৌসুমের ফসলে তাদের অভাব-অনটনের মধ্যে থাকতে হয়। তবে তাদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিয়েছে ভাসমান সবজি চাষ। লাভজনক হওয়ায় সহস্রাধিক কৃষক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জলাশয়ে ভাসমান সবজি চাষ হচ্ছে। দুইশ’ বছরেরও আগে থেকে চলে আসা এ বিরল কৃষি পদ্ধতি আজ দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জন করেছে।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্বীকৃতিপত্র বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরাও বর্তমানে জলমগ্ন জলাভূমিতে এ ধরনের বিশেষ পদ্ধতির চাষাবাদের প্রশিক্ষণসহ কৃষকদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছেন।নাজিরপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে বৈঠাকাটা বাজার সন্নিহিত মুগারঝোর গ্রামের জলাভূমিসহ বিলাঞ্চলের ১৮০ হেক্টর জমিতে নয়নাভিরাম ব্যতিক্রমী এ চাষাবাদের ব্যাপকতা দেখা মেলে। ভাসমান বেড তৈরি: বর্ষার শুরু অর্থাৎ আষাঢ় থেকে কার্তিক পর্যন্ত এ পাঁচ মাস কৃষকদের ভাসমান ধাপের ওপর ৪১ প্রজাতির শাক-সবজির চারা উৎপাদন ও তা বিক্রির সময়। আষাঢ়ে এসব গ্রামের নিচু জমি পানিতে প্লাবিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা নেমে পড়ে ধাপ চাষে। কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যাওলা, টেপাপানা, গুঁড়িপানা ইত্যাদি জলজ উদ্ভিদের সঙ্গে খড়কুটা এবং নারিকেলের ছোবড়াগুঁড়া মিলিয়ে স্তরে স্তরে সাজিয়ে তৈরি করা হয় ভাসমান বীজতলা বা ধাপ। যা পচে তৈরি হয় জৈবসার। ১০০-১৮০ ফুট লম্বা, ৫-৬ ফুট চওড়া এবং এক-দেড় ফুট পুরু বীজতলা পানিতে তৈরি হয়, যা থাকে ৮-১০ ফুট পানিতে ভাসমান।পুরুষরা ধাপ তৈরি, চারা স্থাপন, পরিচর্যা ও চারা বিক্রির কাজ করে। নারীরা ও ছোট ছেলেমেয়েরা বাড়িতে বসে চারা তৈরির প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ বীজের অঙ্কুরোদ্গম ঘটানোর কাজ করে। শ্যাওলা, নারিকেলে ছোবড়া ও কেঁচো সার ইত্যাদি দিয়ে ছোট ছোট বল আকারের বস্তু তৈরি করে থাকে। স্থানীয় ভাষায় একে টেমা বা দৌল্লা বলে। এর মধ্যে বীজ রেখে অঙ্কুরোদ্গম ঘটানো হয়। যা পরে ভাসমান বীজতলা বা ধাপের উপর স্থাপন করে নির্দিষ্ট সময় পরিচর্যার পর চারায় পরিণত করা হয়। সরজমিন দেখা যায়, বিলাঞ্চলের বিলের পানির উপর ভাসমান বেডে শসা, কাঁকরোল, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, মরিচের চারা এ ছাড়া লালশাক, পালংশাক, মুলাসহ নানা প্রকার সবজির সমারোহ। বিলের পানি ছাড়াও এই পদ্ধতিতে বাড়ির পাশে জলাশয়ে সবজি চাষ করা হচ্ছে। সরজমিন আরও দেখা যায়, শীতের সিজনে বিলের পানি অনেকটা কমে গেছে এবং এ সবজি চারা বিক্রি করার পরে এখানেই রোপণ করা হবে বো?রো ধান। মুগারঝোর গ্রামের ইব্রাহীম (৬০) বলেন, এলাকার অধিকাংশ জমিতে এক ফসল হয়। বছরে প্রায় ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে। আগে অভাব অনাটন লেগেই থাকতো।পরে ভাসমান সবজি চাষ শুরু করার পরে এখন আর আমাদের পেছনে ফিরে তাকানো লাগে না। এই সবজি চারা এবং সবজি তোলা হলেই বিরি ধান রোপণ করা হবে। এবার ২০টি বেডে সবজি চারা চাষ করেছি। বেড প্রতি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা, চারা বিক্রি গেল বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছু বৃদ্ধি থাকায় আশাকরি বেড প্রতি ২০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারবো। দেউলবাড়ী গ্রামের রাজে আলী বলেন ‘সপ্তাহে দু’দিন গাওখালী ভাসমান নৌকায় হাট এবং গাওখালী বাজারে সবজি নিয়ে বিক্রি করি। কখনো কখনো ব্যবসায়ীরা এসে বাড়ি থেকেই সবজি কিনে নিয়ে যান। বিষমুক্ত হওয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে এসব সবজির। এখান থেকে সবজি এবং চারা ট্রাকে এবং নদী পথে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়, ঢাকায়ও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতুন্নেছা এশা বলেন, উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে ২১৭৫টি ভাসমান বেড রয়েছে। পরিবেশবান্ধব ও জৈব পদ্ধতিতে এ ফসল আবাদ করা হয়। চাষের খরচ তুলনামূলকভাবে খুবই কম। সেচের প্রয়োজন পড়ে না। খুব কম সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা যায়ভোরের আকাশ/জাআ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন, দ্রুত ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, কোষাধ্যক্ষ,শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ স্থানীয়রা।রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা বারটা পর্যন্ত উপজেলার বিসিক বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। একই সাথে চলে মানববন্ধন কর্মসূচি।ছবি : ভোরের আকাশমানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ চলাকালে বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ নয় বছর অতিবাহিত হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। ভাড়া ভবনে কোন রকমে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। নেই কোন আবাসিক হল, খেলার মাঠ। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ৫১৯ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও একনেকে ডিপিপি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। অতিদ্রুত ডিপিপি অনুমোদন দিয়ে ক্যাম্পাস নির্মানের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।ছবি : ভোরের আকাশএ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ার জন্য বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে দায়ি করে তার পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার ফিরোজ আহম্মেদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়রা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার অন্তত ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছোট ফেনী নদীর পানি কয়েক ফুট বেড়ে গিয়ে তীরবর্তী গ্রামগুলোর অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক ডুবে গেছে।শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেনী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতায় প্রবেশ করায় নদীতীরবর্তী সায়েদপুর, চর ইঞ্জিমান, মাদরাসা পাড়া, আমতলী, ইতালি মার্কেট, রহমতপুর, তেল্লার ঘাট, কাজীর হাটসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।সায়েদপুরের আব্দুর রহিম নামে এক বাসিন্দা বলেন, শনিবারের জোয়ার ছিল অস্বাভাবিক। এমন উচ্চতার পানি আগে কখনো দেখিনি। আমরা এ অবস্থার দ্রুত সমাধান চাই। একটি টেকসই রেগুলেটর নির্মাণ না হলে ভবিষ্যতে এ জনপদে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।কাজীর হাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুছাপুর রেগুলেটর না থাকায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের সবকিছুই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রোববারও জেলাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, জোয়ারের পানি নদী হয়ে খালে প্রবেশ করে চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, বগাদানা ও চর মজলিশপুর এলাকার কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি এসব এলাকায় চাষাবাদ না করে উঁচু জমিতে ফসল আবাদ করতে। জেলা কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছেন।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. আবু মুসা রকি বলেন, আমরা স্লুইস গেটসহ প্লাবিত অঞ্চলগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১৪৬ মিটার। অমাবস্যায় এমনিতেই পানি বাড়ে, তার মধ্যে রেগুলেটর না থাকায় সাগরের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন ও চাকরির শর্তসংশ্লিষ্ট ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যাপক ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। তাঁদের ছাত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস (টিয়ার গ্যাস) ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গাজীপুর ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক শত শ্রমিক।শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘ সাত মাসের চুক্তি (অ্যাগ্রিমেন্ট) অনুযায়ী বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ নয়, কাল- এমন করে আমাদের শ্রমিকদের ঘুরাচ্ছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করছে না? বাধ্য হয়ে কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছি। দাবি আদায় করে ফিরব।আরএকে সিরামিক কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাদের দাবিগুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকেরা আমাদের কথা না শুনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানার পুলিশ, শিল্প পুলিশের একটি দল শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।ভোরের আকাশ/এসএইচ