গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:২১ পিএম
বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড নয়, সাহেবগঞ্জে উত্তাল সাঁওতালরা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগের বিরুদ্ধে আবারও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী। বাপ-দাদার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া তিন ফসলি জমি রক্ষায় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সাহেবগঞ্জে তীর-ধনুক, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন শত শত আদিবাসী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী।
সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় প্রস্তাবিত ইপিজেড প্রকল্পের বিরুদ্ধে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “এই জমি শহীদ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডির রক্তে ভেজা। এখানে ইপিজেড নয়, আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ও স্বত্ব রক্ষা করতে হবে। ”তারা ১,৮৪২ একর জমি আদিবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান এবং বলেন, “নির্যাতন ও উচ্ছেদের এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আমরা দেশান্তরে বাধ্য হবো। এর ফলে হারিয়ে যাবে ভাষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল চৌধুরী, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, এএলআরডি পরিচালক শামসুল হুদা, আইন কর্মকর্তা অ্যাড. রফিক সিরাজী, সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, এবং আরও অনেকে।
সমাবেশে জানানো হয়, সাঁওতাল পল্লীতে অতীতে সংঘটিত হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় দোষীদের এখনো শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। বক্তারা নিহত ও আহত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ, জমি পুনরুদ্ধার চুক্তির বাস্তবায়ন এবং চিহ্নিত হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন। বিশেষভাবে নাম তুলে দাবি করা হয়, “সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ সকল অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।”
প্রতিবাদ মিছিলটি শুরু হয় ইক্ষু খামারের পাশের মাদারপুর, জয়পুরপাড়া ও সাহেবগঞ্জ মেরীসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল করে তাঁরা সভাস্থলে পৌঁছান।
সমাবেশ পরিচালনা করেন আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু ও আইনজীবী অ্যাড. ফারুক কবীর।
ভোরের আকাশ/মি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৪ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড নয়, সাহেবগঞ্জে উত্তাল সাঁওতালরা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগের বিরুদ্ধে আবারও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী। বাপ-দাদার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া তিন ফসলি জমি রক্ষায় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সাহেবগঞ্জে তীর-ধনুক, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন শত শত আদিবাসী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী।
সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় প্রস্তাবিত ইপিজেড প্রকল্পের বিরুদ্ধে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “এই জমি শহীদ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডির রক্তে ভেজা। এখানে ইপিজেড নয়, আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ও স্বত্ব রক্ষা করতে হবে। ”তারা ১,৮৪২ একর জমি আদিবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান এবং বলেন, “নির্যাতন ও উচ্ছেদের এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আমরা দেশান্তরে বাধ্য হবো। এর ফলে হারিয়ে যাবে ভাষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল চৌধুরী, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, এএলআরডি পরিচালক শামসুল হুদা, আইন কর্মকর্তা অ্যাড. রফিক সিরাজী, সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, এবং আরও অনেকে।
সমাবেশে জানানো হয়, সাঁওতাল পল্লীতে অতীতে সংঘটিত হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় দোষীদের এখনো শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। বক্তারা নিহত ও আহত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ, জমি পুনরুদ্ধার চুক্তির বাস্তবায়ন এবং চিহ্নিত হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন। বিশেষভাবে নাম তুলে দাবি করা হয়, “সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ সকল অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।”
প্রতিবাদ মিছিলটি শুরু হয় ইক্ষু খামারের পাশের মাদারপুর, জয়পুরপাড়া ও সাহেবগঞ্জ মেরীসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিল করে তাঁরা সভাস্থলে পৌঁছান।
সমাবেশ পরিচালনা করেন আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু ও আইনজীবী অ্যাড. ফারুক কবীর।
ভোরের আকাশ/মি