ছবি: ভোরের আকাশ
যশোরের শার্শা উপজেলার দাউদখালী গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোঁসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন উপজেলার গোগা কালীয়ানী গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে ইমরান হোসেন (৩৪) এবং পাঁচভুলোট গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আরিফ পারভেজ (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, দাউদখালী গ্রামের নিকিরি পাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদেরসহ কয়েকটি পরিবারকে বিএনপি নেতা কুদ্দুস আলী বিশ্বাসের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, কুদ্দুস আলী বিশ্বাস আওয়ামী লীগপন্থীদের সহায়তা করছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ঘোষণা দেন যে, ওই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে থাকতে পারবেন না।
এ ঘোষণায় ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস আলী বিশ্বাসের নির্দেশে গোগা ইউনিয়নের পাঁচভুলোট গ্রামের সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আজিবর বদ্দীর ছেলে সাজু বদ্দির নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দাউদখালী গ্রামে হামলা চালায়। তারা স্থানীয় বিএনপি কর্মী জাহান আলী ধাবকের ছেলে আলী হোসেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। বাধা দিতে গেলে তার ভাই জাকির হোসেনকেও মারধর করা হয়।
পরে গ্রামবাসী প্রতিহত করতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী সাজু বদ্দি পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে আরও লোকজন ছুটে এলে তারা আবারও গুলি ছুড়ে এবং নিজেদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পালানোর সময় গ্রামবাসী দুজন সন্ত্রাসী ইমরান ও আরিফকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
খবর পেয়ে নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, আটক দুই সন্ত্রাসীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের আটক ও আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে খুলনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।সেমিনারের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন,> “ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার প্রসারই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল চাবিকাঠি। নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ ও স্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে Bangla QR পেমেন্ট সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি আরও যোগ করেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে আধুনিক পেমেন্ট সিস্টেম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও বাংলা কিউ আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএসডি বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. রুকনুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ শাহ, সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা।সেমিনারে ডিজিটাল লেনদেন সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।ভোরের আকাশ//হর
প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার্থে একই দোকানে সার ও বীজ বিক্রয়ের অনুমতি প্রদানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলা বিএডিসি বীজ ডিলাররা। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিএডিসি বীজ ডিলার টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলার বিএডিসি বীজ ডিলাররা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মোঃ আরিফুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক বিপ্লব হোসেন, সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১০ সালের নীতিমালা অনুযায়ী বীজ ডিলার ১ বছর পর সার ডিলারে রূপান্তরিত হতে পারবে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে সারের ডিলারশিপ পাননি তারা। সারের ডিলারশিপ পেলে কৃষকরা একই জায়গা থেকে সার ও বীজ কিনতে পারবে, ফলে কৃষকরাও উপকৃত হবে। কৃষকদের সারের জন্য তখন আলাদা আলাদা দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কৃষকের চাওয়া-পাওয়া যেহেতু বিএডিসির মানসম্মত বীজ ডিলাররা পৌঁছে দেন, তাই যদি একই দোকান থেকে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়, তাহলে কৃষকরা অনেক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। তারা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের একটাই দাবি কৃষকের সুবিধার্থে বিএডিসির বীজ ডিলার থেকে সার ডিলারের নিবন্ধন যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বীজ ডিলাররা । ভোরের আকাশ//হর
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার যৌথ গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম (সিআরজিপি) বাস্তবায়নে উদ্যোগ জোরদার করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণামূলক কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এই প্রোগ্রামকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যাডভাইজারি কমিটি (আরএসি)-এর ২২তম সভা মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সিআরজিপি এবং একই অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ের রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম (আরজিপি)-এর আওতাধীন প্রকল্প প্রস্তাবনার অনুমোদন ও বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।সভায় উপাচার্য প্রফেসর রেজাউল করিম বলেন, “দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রামের আওতায় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে যৌথ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদেরও যৌথ গবেষণার ঐতিহ্য গড়ে তুলতে হবে। গবেষণার ফলাফলকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং এজন্য প্রতি বছর ‘একাডেমিক ফেয়ার’-এর মতো আয়োজনের মাধ্যমে গবেষণার অর্জনগুলো প্রদর্শনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। এছাড়া, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে জ্ঞান বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দেন, যা যৌথ গবেষণাকে আরও গতিশীল করবে।সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, “সিআরজিপি প্রকল্পে ইন্ডাস্ট্রির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র একাডেমিয়া নয়, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করলে তার ফলাফল আরও বাস্তবভিত্তিক ও প্রয়োগযোগ্য হবে।”তিনি আরও বলেন, অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুললে গবেষণা প্রকল্পগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে।গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক এবং সভার সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর শেখ শারাফাত হোসেন, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ উদ-দারাইন এবং অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার।ভোরের আকাশ//হর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)-এর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদকে সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করেছে তার নিজ এলাকা নীলফামারীর কচুকাটার দোন্দুরীর স্থানীয় জনতা, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে দোন্দুরী বাজার এলাকায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।ফুল দিয়ে রাকসু ভিপিকে বরণ করে নেন নীলফামারী-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, রংপুর মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি নুরুল হুদা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি আহমদ রায়হান, এবং নীলফামারী শহর ছাত্রশিবির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মোস্তাকুর রহমান জাহিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ন্যায়, আদর্শ ও শিক্ষাবান্ধব নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। রাকসুর নির্বাচনে তার বিজয় তরুণ প্রজন্মের নৈতিক নেতৃত্বে আস্থার প্রতিফলন।এ সময় বক্তারা শিক্ষাঙ্গনে ইতিবাচক ও গঠনমূলক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখতে জাহিদের প্রতি আহ্বান জানান এবং তার সফলতা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে দেশের কল্যাণে অবদান রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।সংবর্ধনা শেষে উপস্থিত জনতার করতালিতে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই ভালোবাসা আমার প্রেরণা। আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখবো।”অনুষ্ঠান শেষে দোন্দুরী বাজারে স্থানীয়দের অংশগ্রহণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।ভোরের আকাশ//হর