অর্থনীতি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রবাসী আয় ও রপ্তানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্রয় করেছে। মাল্টিপল প্রাইস অকশন (এমপিএ) পদ্ধতিতে এই ক্রয়ে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট প্রতি ডলারে ১২১.৭৮ থেকে ১২১.৮০ টাকা ছিল। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ব্যাংকটি মোট ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ডলারের চাহিদা সামান্য কমার ফলে দাম কিছুটা নিচের দিকে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় ডলারের দর আরও কমে গেলে রেমিট্যান্স পাঠানো ও রপ্তানিকারকরা অনুৎসাহিত হতে পারেন। তাই বাজারে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ডলারের দর একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমপিএ পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচার ফলে বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক দাম স্থাপন সম্ভব হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও আমদানি নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫ অক্টোবর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার, যার বিপিএম–৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ২৬.৬২ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ৭.৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
ভোরের আকাশ//হ.র