ছবি- সংগৃহীত
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে এক হাজার ১৭২ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে শনাক্ত করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। সবচেয়ে বেশি জাল সনদধারী শিক্ষক পাওয়া গেছে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে। এ বিভাগে ৭৭৯ জন জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের শাস্তির সুপারিশ করা হবে।
ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জাল সনদধারীদের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে।
ডিআইএর নথির তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি জাল সনদধারী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগের ৭৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ১২০ জন, ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জনের সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এক হাজার ১৭২ জন জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০০ জনের সনদ সম্পূর্ণ ভুয়া। এরমধ্যে প্রায় ৩০০ জনের সনদ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাল সনদধারী হিসেবে শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৪০০ শিক্ষকের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ডিআইএ। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, অন্যথায় এ ধরনের শৃঙ্খলা-বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতি এবং ৩ ডিসেম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে। দাবিগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয় আগেই পদক্ষেপ নিয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন, ১০ ও ১৬ বছর চাকরি শেষে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা বেতন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।গত ৭ আগস্ট জাতীয় বেতন কমিশন–২০২৫–কেও বেতন স্কেল ১৩তম থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরে ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়, পে–কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বেতন–গ্রেড উন্নীতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব উদ্যোগের পরও সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন স্থানে বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। কোথাও কোথাও পরীক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ঝুঁকিতে ফেলে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ সরকারি চাকরি আইন ও আচরণবিধির পরিপন্থি এবং ফৌজদারি আইনে শাস্তিযোগ্য।এ পরিস্থিতিতে সব সহকারী শিক্ষককে অবিলম্বে কাজে যোগ দিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা যথাযথভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে এক হাজার ১৭২ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে শনাক্ত করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। সবচেয়ে বেশি জাল সনদধারী শিক্ষক পাওয়া গেছে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে। এ বিভাগে ৭৭৯ জন জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের শাস্তির সুপারিশ করা হবে।ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জাল সনদধারীদের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে।ডিআইএর নথির তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি জাল সনদধারী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগের ৭৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ১২০ জন, ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জনের সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।জানা গেছে, এক হাজার ১৭২ জন জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০০ জনের সনদ সম্পূর্ণ ভুয়া। এরমধ্যে প্রায় ৩০০ জনের সনদ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাল সনদধারী হিসেবে শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৪০০ শিক্ষকের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ডিআইএ। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স সংক্রান্ত বিধি সংশোধন করা হয়েছে।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ভর্তিতে বয়সসীমা বিষয়ে নেয়া নির্দেশনার কথা জানানো হয়। এতে সই করেছেন মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে বয়সসীমা তুলে দেয়া হয়েছে। এতে যারা বয়সসীমার কারণে আবেদন করতে পারছিল না, তারা এখন আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত বয়সের দিকে অভিভাবকদের নজর রাখার কথা বলেছে মাউশি।ভর্তির সংশোধিত এ নীতিামালায় ‘পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে’ অংশটি বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা আর থাকছে না।মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনলাইন আবেদন চলমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তির যে নীতিমালা প্রকাশ করেছিল, তার অনুচ্ছেদ-২ -এ থাকা বয়স নির্ধারণ অংশে পরিবর্তন আনা হয়েছে।সংশোধিত নীতিমালা বয়স নির্ধারণ অংশ বলা হয়, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া যাবে।জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচারক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, বয়সসীমা নিয়ে জটিলতা ছিল। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। অনেক অভিভাবক জানাচ্ছিলেন, তাদের সন্তানের ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না। এজন্য দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির বয়সসীমাটা এক রকম তুলে দেয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশকে ঘিরে সহশিক্ষার বিরোধিতা করে ইডেন মহিলা কলেজের স্বতন্ত্রতা রক্ষায় ৫ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কলেজের ২ নম্বর গেটের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে আজিমপুর থেকে নীলক্ষেত অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তোমার দাবি আমার দাবি, ৫ দফা’, ‘সহশিক্ষার ঠিকানা, ইডেন কলেজে হবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো-১. ইডেনকে শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা।২. ইডেন মহিলা কলেজের কোনো ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্ত করা যাবে না।৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় ১টা থেকে ৭টা না, ২৪ ঘণ্টা রাখতে হবে।৪. ইডেনকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখা, ইন্টারমিডিয়েট চালু না করা।৫. ইডেন কলেজ মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার যোগ্যতা রাখে, সেখানে ইডেনকে শুধুমাত্র একটি ফ্যাকাল্টিতে রূপান্তর করা যাবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ