এফডব্লিউভি পদে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশ, চেম্বার আদালতে বহাল
নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৭ এএম
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এখন কী করবে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাড়ে তিন বছর পর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলপ্রকাশ। ১ হাজার ৮০টি পদের বিপরীতে ‘চাকরিযুদ্ধে’ অংশ নেয় তিন লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৭ হাজার ৬২১ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন প্রার্থীরা যখন মৌখিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন হঠাৎ একদিন কর্তৃপক্ষের তরফে ঘোষণা আসে, লিখিত পরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের। এরপর শুরু হয় নানা জটিলতা, ক্ষনে ক্ষনে পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আইনি লড়াইয়ে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।
উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষে রায় দিলেও এখনও চূড়ান্ত নিয়োগ পায়নি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) চাকরি প্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা আবারও আন্দোলন নামলে তাদের আশ্বস্ত করলেও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আবেদন করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
লিভ টু আপিলটি গত ২৫ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। এর ফলে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরকে।
পাঁচ বছর আগে ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ২০২০ সালের ১০ মার্চের সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) অনুসারে রিট আবেদনকারীসহ ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে আইন অনুসারে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের (স্বাস্থ্যসচিব ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) নির্দেশ দেওয়া হলো।
রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ভোরের আকাশকে বলেন, মৌখিক পরীক্ষা হলেও ফলাফল প্রকাশ না করে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়নপ্রক্রিয়া বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, যে কারণে রিট করা হয়। হাইকোর্ট নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়নপ্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে এখন নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপ্রক্রিয়া শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তিন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন-এটিই প্রত্যাশা।
এফডব্লিউভি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কানিজ মারিয়া ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ হয়, এজন্য বারবার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরও দুর্নীতির অজুহাতে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল।
নিয়োগটি বাতিল করা হয় যেভাবে
২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ১ হাজার ৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। এর পর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম লোকমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১ হাজার ৮০ পদে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এটি স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছিল উল্লেখ করে ফৌজিয়া আক্তার বলেন, নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য হয়-এটি সবার জানা। যারা ওই টাকার ভাগ পায় না, তারা বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিয়োগ বাতিল করে-পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘাটলে এটি স্পষ্ট হবে। বছরের পর বছর ধরে আদালতে মামলা চলে নিয়োগ নিয়ে। কোন কোন নিয়োগ বাতিল হয়ে যায় আবার কোন কোন নিয়োগের রায় চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে আসে।
আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা কাটল
সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৯ জানুয়ারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জারি করা নোটিশের কাযকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা কেটে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চারকিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকাশিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আলোকে আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। আর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এরপর নানা আইনি বাধা শেষে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আওতাধীন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর ১ হাজার ৮০টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রিটকারীরাসহ সারা দেশ থেকে আবেদনকারীরা আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভাইভা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টেও আদেশের মধ্য দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা দূর হলো।
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ভূমিকা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে রিট আবেদনকারীসহ অনেক প্রার্থীর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বয়সসীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নির্দিষ্টভাবে শিশুর জন্মের সময় মা ও শিশুর মৃত্যু রোধ নিশ্চিতে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ভূমিকা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে (পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা) যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আবশ্যিক দায়িত্ব।
দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ১০ মার্চের সার্কুলার অনুসারে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ ছাড়া বর্তমানে আর কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া নেই। এ অবস্থায় পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মনোনয়নপ্রক্রিয়া কেন শেষ করা হবে না-এর কারণ খুঁজে পাইনি।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি নিস্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
এফডব্লিউভি পদে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশ, চেম্বার আদালতে বহাল
নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ২ দিন আগে
আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এখন কী করবে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাড়ে তিন বছর পর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলপ্রকাশ। ১ হাজার ৮০টি পদের বিপরীতে ‘চাকরিযুদ্ধে’ অংশ নেয় তিন লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৭ হাজার ৬২১ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন প্রার্থীরা যখন মৌখিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন হঠাৎ একদিন কর্তৃপক্ষের তরফে ঘোষণা আসে, লিখিত পরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের। এরপর শুরু হয় নানা জটিলতা, ক্ষনে ক্ষনে পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আইনি লড়াইয়ে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।
উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষে রায় দিলেও এখনও চূড়ান্ত নিয়োগ পায়নি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) চাকরি প্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা আবারও আন্দোলন নামলে তাদের আশ্বস্ত করলেও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আবেদন করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
লিভ টু আপিলটি গত ২৫ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। এর ফলে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরকে।
পাঁচ বছর আগে ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ২০২০ সালের ১০ মার্চের সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) অনুসারে রিট আবেদনকারীসহ ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে আইন অনুসারে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের (স্বাস্থ্যসচিব ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) নির্দেশ দেওয়া হলো।
রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ভোরের আকাশকে বলেন, মৌখিক পরীক্ষা হলেও ফলাফল প্রকাশ না করে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়নপ্রক্রিয়া বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, যে কারণে রিট করা হয়। হাইকোর্ট নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়নপ্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে এখন নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে মনোনয়নপ্রক্রিয়া শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তিন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন-এটিই প্রত্যাশা।
এফডব্লিউভি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কানিজ মারিয়া ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে এক হাজার ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ওই বছরের ১১ মে প্রকাশ করা হয় এবং ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ হয়, এজন্য বারবার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরও দুর্নীতির অজুহাতে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল।
নিয়োগটি বাতিল করা হয় যেভাবে
২০২০ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ১ হাজার ৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। এর পর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম লোকমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১ হাজার ৮০ পদে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এটি স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ছিল উল্লেখ করে ফৌজিয়া আক্তার বলেন, নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য হয়-এটি সবার জানা। যারা ওই টাকার ভাগ পায় না, তারা বিভিন্ন অজুহাত তুলে নিয়োগ বাতিল করে-পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘাটলে এটি স্পষ্ট হবে। বছরের পর বছর ধরে আদালতে মামলা চলে নিয়োগ নিয়ে। কোন কোন নিয়োগ বাতিল হয়ে যায় আবার কোন কোন নিয়োগের রায় চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে আসে।
আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা কাটল
সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৯ জানুয়ারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জারি করা নোটিশের কাযকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা কেটে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চারকিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকাশিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আলোকে আবেদকারীদের লিখিত পরীক্ষা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করা হয়। আর ২০২৩ সালের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর পরে এসে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরীক্ষাটি বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগের জন্য সবাই যখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় তখন পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীরা। প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তারা। রিটে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরও পরীক্ষা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এরপর নানা আইনি বাধা শেষে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আওতাধীন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর ১ হাজার ৮০টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রিটকারীরাসহ সারা দেশ থেকে আবেদনকারীরা আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভাইভা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টেও আদেশের মধ্য দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা দূর হলো।
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ভূমিকা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে রিট আবেদনকারীসহ অনেক প্রার্থীর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বয়সসীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নির্দিষ্টভাবে শিশুর জন্মের সময় মা ও শিশুর মৃত্যু রোধ নিশ্চিতে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ভূমিকা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে (পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা) যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আবশ্যিক দায়িত্ব।
দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ১০ মার্চের সার্কুলার অনুসারে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ ছাড়া বর্তমানে আর কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া নেই। এ অবস্থায় পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মনোনয়নপ্রক্রিয়া কেন শেষ করা হবে না-এর কারণ খুঁজে পাইনি।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি নিস্পত্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ