আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৪ এএম
সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথে এ ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের অনুরোধে আমি যুদ্ধমন্ত্রী পেটে হেগসেথকে যুদ্ধবিধ্বস্ত পোর্টল্যান্ডে প্রয়োজনীয় সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিচ্ছি। সেখানে আমাদের আইসিই অবকাঠামোকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে অ্যান্টিফা ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীরা। আমি প্রয়োজনে সর্বশক্তি প্রয়োগের নির্দেশও দিচ্ছি।
তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়গুলো অ্যান্টিফা ও অন্যান্য ‘দেশীয় সন্ত্রাসীদের’ হামলার শিকার হচ্ছে। সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সিএনএন জানায়, হোয়াইট হাউজকে ‘সর্বশক্তি প্রয়োগ’ দিয়ে ট্রাম্প ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা জানতে অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
এ দিকে জানা যায়, আইসিই’র একটি অবকাঠামো পোর্টল্যান্ড থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে আছে এবং সেখানে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি—অভিবাসীদের ওপর নির্যাতন ও ধরপাকড় না করার দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন।
স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওরেগনের সিনেটর জেফ মার্কলে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি প্রেসিডেন্ট এখানে তার এজেন্ট পাঠিয়েছেন নৈরাজ্য ও দাঙ্গা সৃষ্টি করতে যেন একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যেন প্রতিবাদ হয়। যেন সংঘাত হয়। তার লক্ষ্য হলো পোর্টল্যান্ডকে ঠিক সেইরকম দেখানো, যেমন তিনি এটিকে বর্ণনা করছেন। আমাদের কাজ হলো বলা, আমরা এই ফাঁদে পা দেব না।
পোর্টল্যান্ডের মেয়র, সিটি কাউন্সিল সদস্য ও কিছু কনগ্রেস মেম্বারও শহরের মানুষকে শান্ত থাকার কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা পোর্টল্যান্ডে আগে থেকেই লক্ষ্য করা গেছে; এবারও সেই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের ঘোষণাকে দেখা হচ্ছে শহরে নিরাপত্তা, বিক্ষোভ ও কেন্দ্র-স্থানীয় পরিচালনার বিবাদ নতুন করে জোরালো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/তা.কা