ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৩ পিএম
৫ মে দেশে ফিরতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ৪ বা ৫ মে দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন। এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরবেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্সিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সবাই দোয়া করি আগামী দিনগুলোতে যেন দলের চেয়ারপারসন আরো সুস্থ হয়ে উঠুক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন আগামী নির্বাচন করতে পারি। একটা সুন্দর পার্লামেন্ট যেন দেখতে পারি। এ লক্ষ্য নিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দ্রুত নির্বাচন দিন, কারণ আপনাকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। জনগণ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। নির্বাচন দিতে যত দেরি করবেন ততই হাসিনা দিল্লি থেকে নানা ষড়যন্ত্র করবে।
তিনি বলেন, ভারতকে বার বার বলছি, হাসিনাকে ফেরত দিতে। কারণ, তিনি হাজার হাজার মানুষকে মেরেছেন। আয়নাঘর তৈরি করছে, আমার ভাই, মা-বোনের নির্মম নির্যাতন করেছেন। আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে। জবাবদিহি তাকে করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র যে চালায় তার মনটা অনেক বড় হতে হবে। সকলকে সমানভাবে দেখতে হবে, ভালোবাসতে হবে। তাই আমরা সব সময়ই বলি আমরা সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গড়তে চায়। আগামীতের বাংলাদেশে সবাই নিরাপদ হবে বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো পালায়নি, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জেল খাটছে ৬ বছর। কিন্তু পালিয়ে যাননি। আমিও ১১ বার জেলে গেছি, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তারপরও দেশ ছেড়ে যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রফেসর ইউনূস দয়া করে নির্বাচনটা তাাড়াতাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সংস্কারগুলো শেষ করেন। অনেক ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাগুলো দেশের জন্য ক্ষতির কারণ।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন একটা বিচার ব্যবস্থা চাই। সরকারের কথা না শুনে বিচারক রায় না দেয় সেই ব্যবস্থা আমরা চাই না।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের সাথে আছি, যতদিন বাঁচবো আপনাদের সাথেই থাকবো। আমি হারি বা জিতি আপনাদের সাথেই থাকব। আমি হিন্দু ভাই-বোনদের বলতে চাই আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না, আমরা সবাই এক। আমরা হিন্দু, মসুলমান, বৌদ্ধ -খ্রিস্টান একসাথে এই দেশটাকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলবো।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।
ভোরের আকাশ/এসআই
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
৫ মে দেশে ফিরতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ৪ বা ৫ মে দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন। এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরবেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্সিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সবাই দোয়া করি আগামী দিনগুলোতে যেন দলের চেয়ারপারসন আরো সুস্থ হয়ে উঠুক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন আগামী নির্বাচন করতে পারি। একটা সুন্দর পার্লামেন্ট যেন দেখতে পারি। এ লক্ষ্য নিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দ্রুত নির্বাচন দিন, কারণ আপনাকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। জনগণ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। নির্বাচন দিতে যত দেরি করবেন ততই হাসিনা দিল্লি থেকে নানা ষড়যন্ত্র করবে।
তিনি বলেন, ভারতকে বার বার বলছি, হাসিনাকে ফেরত দিতে। কারণ, তিনি হাজার হাজার মানুষকে মেরেছেন। আয়নাঘর তৈরি করছে, আমার ভাই, মা-বোনের নির্মম নির্যাতন করেছেন। আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে। জবাবদিহি তাকে করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র যে চালায় তার মনটা অনেক বড় হতে হবে। সকলকে সমানভাবে দেখতে হবে, ভালোবাসতে হবে। তাই আমরা সব সময়ই বলি আমরা সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গড়তে চায়। আগামীতের বাংলাদেশে সবাই নিরাপদ হবে বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো পালায়নি, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জেল খাটছে ৬ বছর। কিন্তু পালিয়ে যাননি। আমিও ১১ বার জেলে গেছি, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তারপরও দেশ ছেড়ে যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রফেসর ইউনূস দয়া করে নির্বাচনটা তাাড়াতাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সংস্কারগুলো শেষ করেন। অনেক ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাগুলো দেশের জন্য ক্ষতির কারণ।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন একটা বিচার ব্যবস্থা চাই। সরকারের কথা না শুনে বিচারক রায় না দেয় সেই ব্যবস্থা আমরা চাই না।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের সাথে আছি, যতদিন বাঁচবো আপনাদের সাথেই থাকবো। আমি হারি বা জিতি আপনাদের সাথেই থাকব। আমি হিন্দু ভাই-বোনদের বলতে চাই আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না, আমরা সবাই এক। আমরা হিন্দু, মসুলমান, বৌদ্ধ -খ্রিস্টান একসাথে এই দেশটাকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলবো।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।
ভোরের আকাশ/এসআই