জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ১ টাকা কমল
পরপর দুই মাস দাম অপরিবর্তিত থাকার পর মে মাসের জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১ টাকা কমিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নুতন এ দাম ১ মে থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী:
ডিজেল ও কেরোসিন: ১০৫ → ১০৪ টাকা
অকটেন: ১২৬ → ১২৫ টাকা
পেট্রোল: ১২২ → ১২১ টাকা
গত বছরের মার্চ থেকে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থায় প্রতি মাসে তেলের দাম নির্ধারণ করছে সরকার। কোনো মাসে দাম কমছে, কোনো মাসে অপরিবর্তিত থাকছে, আবার কোনো মাসে বাড়ছে।
সর্বশেষ, ফেব্রুয়ারিতে তেলের দাম এক টাকা বাড়ানো হয়েছিল। মার্চ ও এপ্রিল মাসে দাম অপরিবর্তিত ছিল। এবার মে মাসে লিটারপ্রতি এক টাকা কমানো হলো। গত বছরের ৩১ আগস্ট প্রথমবার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেদিন সেপ্টেম্বর মাসের জন্য পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ৬ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১ টাকা ২৫ পয়সা করে কমানো হয়।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে অন্তর্র্বর্তী সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ২২ জুন বাজেটের সংশোধিত অধ্যাদেশে এ ঘোষণা আসতে পারে।এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢালাওভাবে এবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আসেনি। নানান জটিলতায় আবাসন খাতে অনেক সময় বৈধ অর্থ অপ্রদর্শিত থাকে। এই বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলেও এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে সরকার।জানা গেছে, বাজেট ঘোষণার পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। পরে তা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া অপরিদর্শিত অর্থে আবাসন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেভাবে কর বাড়ানো হয়েছে তা দিয়ে কেউ এলেও সুবিধা নিতে পারবে না।এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় পদ্ধতিগত জটিলতায় কালো টাকা সৃষ্টি হয়। এজন্য এবার জরিমানা বাড়িয়ে তা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।গত ২ জুন নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়। তবে এর জন্য আগের তুলনায় পাঁচ গুণ পর্যন্ত বেশি কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। বাজেট ঘোষণার পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন অর্থ উপদেষ্টা।তিনি বলেন, এটা নিয়ে যেতেতু প্রশ্ন উঠেছে। আমরা বাতিলের চিন্তা-ভাবনা করছি। ওই সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যানও একই রকমের আভাস দেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেদিন অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকের একটা প্রশ্ন যে কালো টাকা সাদা করতে দেওয়া হলো কেন? কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না। আমরা যেটা বলেছি যে অপ্রদর্শিত টাকা। কোনো কারণে যদি আপনার কাছে থাকে, শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেওয়া হয়েছে। দুটো দিক আছে। একটা নৈতিক দিক হলো কালো টাকা সাদা করা। আরেকটা হলো প্র্যাক্টিক্যাল দিক- টাকা-পয়সা, আমরা ট্যাক্স পাব কিনা। দুই দিকেই কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে অবশ্যই কিছুৃ সেটা আমরা বিবেচনা করবো।ওই সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ২০২৪ সালে আগস্টের পর থেকে কালো টাকা বৈধ করার বিশেষ সুযোগ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এবারও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে কোনো ফ্ল্যাট বা জমি কেনেন, তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা বাড়তি হারে কর দিয়ে সেটি বৈধ করতে পারবেন। একই সঙ্গে যদি কেউ নিজের নামে থাকা জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থে বাড়ি নির্মাণ করেন, তাহলে তাকে দ্বিগুণ হারে কর দিতে হবে। এই অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলেই তার বিনিয়োগ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।তিনি বলেন, এটা মূলত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নয়। বরং নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর দিয়ে যেকোনো অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের একটা পথ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত ২০০ বর্গমিটারের আয়তনের ভবন বা অ্যাপার্টমেন্টে প্রতি বর্গমিটারে ছয় হাজার টাকা বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। বাজেটে বলা হয়েছিল, আগামী অর্থবছর থেকে প্রতি বর্গফুটে দুই হাজার টাকা খরচ করলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ, নগদ টাকা ও শেয়ারসহ যেকোনো বিনিয়োগ ঢালাওভাবে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনে থাকলেও এলাকা অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া কর দিয়ে প্রশ্ন ছাড়াই সেগুলো বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছিল।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করে। তবে তখন আবাসন খাতে বিনিয়োগের এ সুযোগ রেখে দেওয়া হয়েছিল।বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই সুযোগ নৈতিক করদাতাদের প্রতি অবিচার, যা বৈধ আয় করা মানুষের প্লট বা ফ্ল্যাট কেনা কঠিন করে দেবে। এছাড়া এতে রাজস্ব আদায়ের খুব বেশি সম্ভাবনাও নেই। অপ্রদর্শিত আয় দিয়ে ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনার সুযোগ সমাজে আরও বৈষম্য তৈরি করবে। কালো টাকা সাদা করার নীতি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা এটি সমর্থন করি না। আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের অঙ্গীকার উপেক্ষা করে রিয়েল এস্টেট লবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অনুপার্জিত আয় রাষ্ট্র দ্বারা বৈধ হতে পারে না। অথচ এই সুযোগ সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার সৃষ্টি করছে এবং ভবিষ্যৎ দুর্নীতিকে উৎসাহ দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর অনেকবারই কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১-৭৫ সাল পর্যন্ত দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা সাদা করা হয়। সেখান থেকে তৎকালীন সময়ে সরকার মাত্র ১৯ লাখ টাকা আয়কর পায়। এ পর্যন্ত ২০ বারের বেশি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ৩২ হাজার ৫৫৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই সুযোগ নিয়েছিল। তখন রেকর্ড পরিমাণ ৯ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা বৈধ করা হয়েছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, এই বাজেটটা আমাদের যথেষ্ট সন্তুষ্ট করতে পারেনি। যে স্পিরিটটা আমরা বাজেটে দেখতে চেয়েছি, সেটা দেখিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, এই বাজেটে তারা বলছে তারা থ্রি জিরো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এটার জন্য আমরা গণঅভ্যুত্থান করিনি। এ সরকার নির্বাচিত সরকার, তবে অন্তর্বর্তী বটে। আমাদের লুটেরা-মাফিয়াতন্ত্রওয়ালারা বলে এটা অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারকে আমরা মেনে নিয়েছি কেন, যেহেতু আমরা মনে করি জনগণ তাদের এটা দিয়েছে। কাজেই এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।গণঅভ্যুত্থানের পরে কালো টাকা সাদা হয় কোন যুক্তিতে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, লুটপাটতন্ত্রের সবচেয়ে দৃশ্যমান বিষয় হলো কালো টাকা সাদা করা। অবশ্যই এটাকে সংশোধন করতে হবে। কালো টাকা এখন সাদা হয় কোন যুক্তি? গণঅভ্যুত্থানের পরে এটা করার কোনো যুক্তি নেই।ফরহাদ মজহার বলেন, বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য আমরা কীভাবে খরচ করি তার কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নাই। এটা হতে পারে না। আমাদের এদিকে মিয়ানমার, ওদিকে ভারত। তার মধ্যে যদি আমরা টিকে থাকতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাকে জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আর তা করতে হলে এর জন্য খরচ আছে। এটা একটা ন্যায্য খরচ। সেই খরচ আমি কোথা থেকে তুলব, কে দেবে? এটা থাকতে হবে যে টাকাটা কোথায় খরচ হচ্ছে? বাজেটে খরচ কোথায় হচ্ছে, এটা লুকিয়ে রাখা একটি খারাপ লক্ষণ।তিনি বলেন, ৮ তারিখে (গত বছরের ৮ আগস্ট) যে সরকার গঠন করলেন, লুটপাটতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্যই কিন্তু আপনি এ সরকার করেছেন। এ সরকারের আসলে কোনো ক্ষমতা নেই। এখনো যে টিকে আছে এটা বিরাট ব্যাপার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তিন খাত মিলিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।এনবিআর জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কাস্টমস ও ভ্যাট অণুবিভাগের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত আহরণ হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণে গত অর্থবছরের এসময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ।আলোচনায় অংশ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, চলতি অর্থবছরের শেষ সময়ে সবার লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব রাজস্ব আদায় করা। এক্ষেত্রে টার্গেট ভিত্তিক রাজস্ব আদায়ের ওপর তিনি জোর দেন। বকেয়া আদায়ের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে পরামর্শও দেন। তিনি সভায় অংশগ্রহণকারী কমিশনারদের কাছে আলাদা আলাদাভাবে তাদের অধিক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান এবং চলতি অর্থবছরের বাকি দিনগুলোতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত হন।এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব বেশি আদায় করা মানে দেশের ঋণ কমিয়ে আনতে সহায়তা করা। তিনি রাজস্ব আদায় বাড়াতে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় কাস্টমস ও ভ্যাট অণুবিভাগের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সবাই অর্থবছরের বাকি দিনগুলোতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শেয়ারবাজারে কারসাজি, প্রতারণা ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন সমবায় অধিদপ্তরের সাবেক উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (হিরু) ও তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মো. বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।এর আগে ১৭ মে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ এর ৪ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০(বি)/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক একটিভ ট্রেডিং, গেম্বলিং ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে বাজারে কারসাজি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারান। এ পদ্ধতিতে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা অপরাধলব্ধ অর্থ হিসেবে সংজ্ঞায়িত।এর মধ্যে আবুল খায়ের (হিরু) তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপন করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। এছাড়া তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আসামি মো. আবুল খায়ের (হিরু) শেয়ার বাজারে কারসাজি করে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিট্ডে এবং সোনালী পেপারস লিমিটেডের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেন। এতে সাকিব মার্কেট ম্যানুপুলেশনে সরাসরি সহায়তা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে শেয়ার বাজার থেকে আত্মসাৎ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ