ছবি- সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বঙ্গভবনের পৌঁছান তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের পর আজ সন্ধ্যায় কিংবা ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে জন্য জাতির উদ্দেশে সিইসির একটি ভাষণ রেকর্ড করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার।
এর আগে, গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি। এ সপ্তাহের মধ্যে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তফসিল ঘোষণার বিষয়টি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তফসিল ঘোষণায় যে আনুষ্ঠানিকতা প্রয়োজন, সবই সম্পন্ন করেছে ইসি। বুধবার পুরো কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। সেদিনই সিইসির ভাষণ রেকর্ড হবে, যেখানে থাকবে নির্বাচনের তফসিল; পরে তা প্রচার করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর শোক নেমে এসেছে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) তার মরদেহ দেশে আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকারী এই মহান বিপ্লবীকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করার কথা উল্লেখ করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল পেজ থেকেও তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা করেছেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শনিবার সকল সরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। শুক্রবার দেশের মসজিদ, মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ে হাদির জন্য প্রার্থনা করা হবে। সবাই আপনারা শরিক হবেন।ওসমান হাদির সন্তান ও স্ত্রীর দায়িত্ব সরকার নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এই বিষয়ে কোনও ধরনের শিথিলতা দেখানো হবে না বলেও জানান তিনি।এর আগে, গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টা দিকে মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন।গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ওই পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।গত ১২ ডিসেম্বর মতিঝিলে জুমার নামাজ পড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন হাদি। এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে ওই দিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার পাঠানো হয়।পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ মারা যান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আগামী রোববার (২১ ডিসেম্বর) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।সভায় দেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নির্বাচনের আগে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে যৌথ বাহিনীর ভূমিকা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ। প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রণীত ‘আচরণ বিধিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখা এবং বিধি বাস্তবায়ন ও বিবিধ বিষয়ে পর্যালোচনা।যাদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে; সভার গুরুত্ব বিবেচনায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণ; প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি); এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকরা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার। ভোরের আকাশ/এসএইচ