রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমতের আলোকেই হবে জুলাই সনদ: আলী রীয়াজ
সংস্কার কার্যক্রমে কমিশনের দেওয়া কোনো প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে পরিবর্তিত প্রস্তাব নিয়েই আগামী জুলাই মাসে জাতীয় সনদ (জুলাই সনদ) প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, আমরা চাই এমন কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অন্তত ন্যূনতম পর্যায়ের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করা যায়। সেটাই এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে, তবে প্রত্যেক দলই তাদের নিজ নিজ অবস্থান, দলীয় ইশতেহার এবং রাজনৈতিক অভিপ্রায় ধরে রাখবে। তবে কোনো দল যদি অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করতে চায়, তাদের সেই মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।
জাতীয় সনদে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় সনদে আমরা কেবল সেসব প্রস্তাবই অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেগুলোতে আপনাদের সম্মতি থাকবে। আমরা আলাদাভাবে প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্মিলিত সংলাপের পথ বেছে নিয়েছি, যাতে পারস্পরিক যুক্তি-বিশ্লেষণের মাধ্যমে অবস্থানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই বিবেচনায় একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাই আমরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
৮ জুন আজ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবস। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোতে হওয়া ধরিত্রী সম্মেলনে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে বছরই প্রথমবারের মতো দিনটি পালন করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৬৩তম অধিবেশনে দিবসটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় এবং ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ৮ জুন আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। দিবসটির মূল লক্ষ্য সাগর ও মহাসাগর সম্পর্কে বিশ্ববাসীর সচেতনতা বৃদ্ধি করা।সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের তাপমাত্রা এখন রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মহাসাগরগুলোর তাপমাত্রা ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে এবং ২০২৪ সাল ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাবই এ উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।সমুদ্রের উষ্ণতা বাড়ার ফলে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে। অসংখ্য সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে।তাছাড়া, প্লাস্টিক দূষণও সমুদ্রের জন্য একটি বড় সংকট হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার জানিয়েছিল, প্রতি বছর আট মিলিয়ন টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১৭১ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক কণা বিশ্ব মহাসাগরে ভাসমান বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা পরিবেশগত ভারসাম্য ধ্বংস করছে।উপকূলবর্তী দেশ বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা ও বিপুল সম্ভাবনাময় নীল অর্থনীতি রয়েছে। তবে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন কার্যকর পরিকল্পনা ও শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো। দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানী ও গবেষকরা তাই ’সমুদ্র মন্ত্রণালয়’ নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বর্তমানে নির্দিষ্ট অভিভাবক না থাকায় বিশাল সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীলতা ও সমন্বয়ের অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরকে বাঁচাতে হলে এ মুহূর্তে একটি ‘মেরিন কনজারভেশন অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করা জরুরি। কারণ, আলাদা মন্ত্রণালয় না থাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, নেভি, কোস্টগার্ড, সাগর গবেষণা ইনস্টিটিউট ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতো সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে।পরিবেশ রক্ষায় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই সমুদ্রব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে এখনই সচেতনতা, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে তৈরি হওয়া আরও ২৪টি সরকারি স্কুলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। উপসচিব রহিমা আক্তারের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে সংশোধিত নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।পরিবর্তিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাঁশখালী সরকারি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বাঁশখালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙ্গুনিয়ার পোমরা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম পোমরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালীর রুবীরহাট বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিবর্তন করে রুবীরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।বরিশাল সদরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন থেকে রূপাতলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ আরজুমনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন থেকে কাউনিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পার্বতীপুরের ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে তজুমদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত হবে।এছাড়াও দিনাজপুরের বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম পার্বতীপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, দেবীগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে চিলাহাটি প্রামানিকপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিবর্তন করে টেপ্রীগঞ্জ হাজিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মেলান্দহের শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে চিনি তোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বাহুবলের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনেছা মুজিব সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে বাহুবল মডেল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।ঢাকার লালবাগের শহীদ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে হাজারীবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন থেকে ঢাকা বিমানবন্দর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জুরাইন শেখ কামাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে জুরাইন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত হবে।গাজীপুরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাই স্কুল এখন থেকে চন্দ্রা সরকারি হাই স্কুল, শিবচরের শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে শিবচর ময়নাকাটি সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে মাটলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে সরকারি জেলা স্কুল, টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে টুঙ্গিপাড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভেদরগঞ্জের চরভাগা বঙ্গবন্ধু সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে চরভাগা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত হবে।ফকিরহাটের সরকারি বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখন থেকে নোয়াপাড়া সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের দি ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল গভ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এখন থেকে চাইরবাড়ীয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং গোপালগঞ্জের শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এখন থেকে গোপালগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নামে পরিচিত হবে।নতুন নামগুলো অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে ৬৮ সরকারি কলেজের নাম বদল করা হয়েছিলো। ১৩ এপ্রিল ১৬টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৪ এপ্রিল ১৬টি স্কুল, তিনটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দুইটি কলেজসহ মোট ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়। এছাড়াও ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়, ছয়টি মেডিকেল কলেজ ও ১৪টি হাসপাতাল থেকে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর ২৯ মে নাম পরিবর্তন করা হয় ৬৮ সরকারি কলেজের।ভোরের আকাশ/জাআ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মাস্ক পড়ার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।রোববার (৮ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।এতে বলা হয়, সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ পরবর্তী ট্রেন যাত্রায় সব যাত্রীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য এবং মাস্ক পরার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ জানানো হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল উভয় জোনের অধীনে থাকা ট্রেনগুলোর একাংশ ঈদের দিন বন্ধ ছিল। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) অনেক ট্রেনই চলাচল করবে। মূলত, যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্বাঞ্চলে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল জোনে ঈদের দ্বিতীয় দিনে চলবে অন্তত ২০টি আন্তঃনগর ট্রেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৭০৯/৭১০ পারাবত এক্সপ্রেস, ৭০৭/৭০৮ তিস্তা, ৭৩৫/৭৩৬ অগ্নিবীণা, ৭৪৯ ও ৭৫০ নম্বর এগারোসিন্ধুর গোধূলী ও প্রভাতী, ৭০৩/৭০৪ মহানগর গোধূলী/প্রভাতী, ৭১৮/৭৩৯ জয়ন্তিকা/উপবন, ৭৪৫/৭৪৬ যমুনা, ৭৪৩/৭৪৪ ব্রহ্মপুত্র, ৭৪১/৭৪২ তূর্ণা, ৭২৯/৭৩০ মেঘনা, ৭১৯/৭২০ পাহাড়িকা, ৭২৩ উদয়ন, ৭৮৫/৭৮৬ বিজয়, ৭১১/৭১২ উপকূল, ৭৭৮/৭৭৭ হাওর, ৮১৩/৮১৪ কক্সবাজার, ৮১৫/৮১৬ পর্যটক এক্সপ্রেস, ৮২১/৮২৪ সৈকত এবং ৮২২/৮২৩ প্রবাল এক্সপ্রেস।এছাড়া পূর্বাঞ্চলে সব মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ২২৪ নম্বর একটি ট্রেন বন্ধ থাকবে। আর পশ্চিমাঞ্চল জোনে ঈদের দ্বিতীয় দিনে চলবে- ৭০৫/৭০৬ রূপসা, ৭১৩/৭১৪ সাগরদাঁড়ি, ৮১০ নকশিকাঁথা, ৭১৫/৭১৬ চিত্রা, ৭৩৩/৭৩৪ সীমান্ত, ৭৪৭/৭৪৮ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, ৭৫৬/৭৫০ বনলতা, ৯৬০৭৭৮৯, ৯৯০, ৭২৫ পদ্মা, ৭৮০ ধলেশ্বরী, ১০৯, ১১০, ৮২৫/৮২৬ মধুমতি এক্সপ্রেস, ৮২৭/৮২৮ রাধিকা, ৭৮৩/৭৮৪ লালমনি, ৭৯৪/৭৯৩ রূপান্তর এবং ৮০৩ নম্বর আরও একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এছাড়া সব মেইল এক্সপ্রেস, কমিউটার ও লোকাল/মিক্সড ট্রেনগুলো চালু থাকবে।অবশ্য, ঈদের ছুটিতে যাত্রীচাপ মোকাবিলায় পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০) ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে দুটি কোচ- ডাব্লিউ-ই-সি-০১ ও ডাব্লিউ-জে-সি-০১। এতে অতিরিক্ত ৮০ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা হবে। তিস্তা এক্সপ্রেসেও (৭০৭/৭০৮) একই ধরনের দুটি কোচ যুক্ত হওয়ায় বাড়ছে সমানসংখ্যক আসন। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে (৭৩৫/৭৩৬) একটি ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ সংযোজনের মাধ্যমে ৬০টি আসন বাড়ানো হয়েছে।উপবন এক্সপ্রেসে (৭৩৯/৭৪০) যুক্ত হচ্ছে একটি ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ, এতে আসন সুবিধা বাড়ছে আরও ৬০টি। মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০)-এ ডাব্লিউ-ই-০১সহ অন্যান্য মিলে যুক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক অতিরিক্ত আসন, যা প্রায় ৩৯৮টি। পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে (৭১৯/৭২০) দুটি ভিন্ন ধরনের কোচ- ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ এবং ডাব্লিউ-ই-সি-০১ যুক্ত হয়ে যাত্রীরা পাচ্ছেন প্রায় ৬০টি আসন সুবিধা।জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে (৭১৭/৭৪০) একটি ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ, বিজয় এক্সপ্রেসে (৭৮৫/৭৮৬) দুটি ডাব্লিউ-ই-সি-০২ কোচ এবং উপকূল এক্সপ্রেসে (৭১১/৭১২) একটি ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ কোচ সংযোজন করা হয়েছে। এতে প্রতিটি ট্রেনে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি আসন বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়া হাওর এক্সপ্রেসে (৭৭৮/৭৭৭) দুটি ভিন্ন ধরনের কোচ- ডাব্লিউ-এফ-সি-০১ ও ডাব্লিউ-ই-০১ যুক্ত হয়ে এসেছে প্রায় ৬০টি আসন। রাধিকা এক্সপ্রেস (৭৯৪/৭৯৩), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬) ও সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১/৮২৪)-এও যুক্ত হচ্ছে ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ, প্রতিটিতেই রয়েছে ৬০টি করে আসন।ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে (৭৪৩/৭৪৪) ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ কোচ যুক্ত হয়ে এসেছে প্রায় ৫৫টি আসন। কক্সবাজারগামী জনপ্রিয় ট্রেন ৮১৩/৮১৪ নম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ডাব্লিউ-আই-সি-০২ এবং ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ কোচ যুক্ত হয়ে প্রায় ৯৫টি অতিরিক্ত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটক এক্সপ্রেসে (৮১৫/৮১৬) ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ ও ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ যুক্ত হয়ে এসেছে মোট ১১৫টি অতিরিক্ত আসন। প্রবাল এক্সপ্রেসেও (৮২২/৮২৩) রয়েছে ডাব্লিউ-এফ-সি-০২ কোচ, যা যুক্ত করেছে প্রায় ৩৬টি আসন।বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, এই অতিরিক্ত কোচগুলো যুক্ত হয়েছে গত ৩ জুন, যা সেবা দেবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ