ছবি- সংগৃহীত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বপ্নতরী উন্নয়ন সংস্থা ও শহীদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের উদ্যোগে শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানার বিহারী লাল আঁকড়ায় সকলের সমবেত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। গান শেষে মালাকারটোলা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বপ্ন তরী উন্নয়ন সংস্থার কোহিনুর বেগম ও শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি উত্তম চন্দ্র শীল।
কোহিনুর বেগম উপস্থিত শিশু কিশোরদের মাঝে বিজয় দিবসের গুরত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। ছোটদের দিবস সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর করে দিবসের প্রাসঙ্গিকতা বোঝান। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শহীদ পরিবারের সদস্য বেদনা সাহা।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল দে, সভাপতি লোহারপুল, মালাকাটোলা ১৯৭১ এর শহীদ স্মৃতি সংসদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত পাল, সাংবাদিক সুমন দত্ত, সংগীতশিল্পী কল্পনা খান, সংগীতশিল্পী প্রফুল্ল চন্দ্র দাস, সংগঠক তৈমুর খান অপু, ছাত্র ফ্রন্ট নেত্রী সুস্মিতা মরিয়ম, সংগঠক শামীমা আক্তারসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উত্তম চন্দ্র শীল, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহীদ স্মৃতি গ্রন্থাগার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর পুরান ঢাকার শাহাজাদা মিয়া লেন এলাকাবাসীর আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিভিন্ন খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবীন মুরুব্বি হাজী গনি মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মজিবর মিয়া, ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মাদ আলী, ফাতেমা খাতুন জামে মসজিদ কমিটির মোতোওল্লী হাজী রহমত উল্লাহ, হাজী ফারুক ও পুরান ঢাকা সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, পারভেজ, মতলা মিয়া, নাজু মিয়া, নুরু মিয়া, আনসার আলী, বাদানতলী ইউনিট বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন হাজী মাইনুদ্দিন, জনি, মনির, মন্টু, রাজিব চৌধুরী, বিশাল চৌধুরী, রনি, রাব্বি চৌধুরী।সবশেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আলী মিয়া ও মো: মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বপ্নতরী উন্নয়ন সংস্থা ও শহীদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের উদ্যোগে শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানার বিহারী লাল আঁকড়ায় সকলের সমবেত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। গান শেষে মালাকারটোলা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বপ্ন তরী উন্নয়ন সংস্থার কোহিনুর বেগম ও শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি উত্তম চন্দ্র শীল।কোহিনুর বেগম উপস্থিত শিশু কিশোরদের মাঝে বিজয় দিবসের গুরত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। ছোটদের দিবস সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর করে দিবসের প্রাসঙ্গিকতা বোঝান। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শহীদ পরিবারের সদস্য বেদনা সাহা।এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল দে, সভাপতি লোহারপুল, মালাকাটোলা ১৯৭১ এর শহীদ স্মৃতি সংসদ।বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত পাল, সাংবাদিক সুমন দত্ত, সংগীতশিল্পী কল্পনা খান, সংগীতশিল্পী প্রফুল্ল চন্দ্র দাস, সংগঠক তৈমুর খান অপু, ছাত্র ফ্রন্ট নেত্রী সুস্মিতা মরিয়ম, সংগঠক শামীমা আক্তারসহ আরো অনেকে।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উত্তম চন্দ্র শীল, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহীদ স্মৃতি গ্রন্থাগার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বার্ডের দুই মাস তো শেষ হল। ডিজি অ্যাওয়ার্ড (প্রথম পুরস্কার) ও পেলুম। ৮৯.০৬ শতাংশ স্কোর করি। তার থেকে অনেক অনেক বড় যেটা তা হল- 'BARD saved my life'। জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম সময়ে ঠিক কী করব, কই থাকব, এই ভেবেই ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এ কুমিল্লার বার্ডে নাম দেয়া। ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু করে এই দুই মাসে যে বেশ কিছু স্মৃতি হয়ে যাবে-কয়েকজন ভাল বন্ধুও পেয়ে যাব এটা ভাবনার বাইরে ছিল।আমার মনে আছে, ৩১ অক্টোবরের আগে আমার বার্ডেরই রুমমেট স্বর্ণা আপু আর লামিয়া মিলে আমাকে বুঝাচ্ছিল যে আমার সন্দেহ করা উচিত। আমি খুব রেগে যাচ্ছিলাম। না বুঝেই এত ভাল ছেলেকে নিয়ে জাজমেন্টাল কেন হচ্ছিল তারা। ১০ নভেম্বর DU ক্যাফেটারিয়ার ভিডিও দেখে ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য স্বর্ণা আপুকে জড়িয়ে ধরে আমার হাউ মাউ কান্না। থার্ড এক্সামের সময় দুই ঘন্টার পরীক্ষা দেড় ঘন্টায় দিয়ে আমার ঢাকায় এসে কোর্ট ফেইস করা। আমার মেন্টাল সিচুয়েশন বুঝে ডিরেক্টর স্যারের 'wellness concept ' নিয়ে ক্লাস নেয়া এগুলো না হয় বাদ ই দেই।বার্ডের লাইফটাই আমি চাচ্ছিলাম। ভোর ৫টায় উঠে পিটিতে যাওয়া, সারাটা দিন ক্লাস, বিকালে আবার গেইমস এন্ড স্পোর্টস। বেশির ভাগ দিন আমি ব্যাডমিন্টনই খেলতাম।আর সুইমিং এ তো দুই দিন যেয়েই চুবানি খেয়ে AOM বাঁধালাম। সন্ধ্যায় আবার লাইব্রেরি ওয়ার্ক। আমি আর স্বর্ণা আপু প্রথম দিকে ভাবতাম একশন রিসার্চ করব। বার্ডের সাথে কোলাব করে ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন্স নামিয়ে ফেলবো। কিছুই করতে পারি নাই, সারাদিন দুষ্টুমি করা ছাড়া। তবে, আমি যেখানে দৌড়ে অলওয়েজ লাস্ট হই, সেখানে আমি ৮ম হয়েছি ২৮ জনের মধ্যে।আরো কত কী যে করতাম-সিরিয়াস সময়ে এক কানে ইয়ার বাড দিয়ে গান শুনা। কিছু সময় পেলেই ঘুরতে চলে যাওয়া এদিক- সেদিক। ক্লাসে চিরকুট ছুড়াছুড়ি। রাত ১২টায় নীলাচলের পাহাড়ে ৭-৮ জন মিলে যাওয়া। আবার শিয়ালের ভয়ে গাছের ডাল ভেঙে প্রয়োজনে শিয়াল পিটানোর প্রস্তুতি নেয়া। প্রথম মাসে রাতে ফেয়ারি লাইটের দিকে তাকিয়ে হ্যারি পটার পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয় মাসে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটা সমিতি (হাঁস) এর হাঁটাহাঁটি। একটা কারণে ক্ষেপে যেয়ে বিশাল একটা চেয়ার ধরে আমার আছাড় দেয়া। পরীক্ষার আগের দিন ই সিলেবাস জেনে রাত জেগে পড়া। রাতে তিন জনের মিলে মুভি দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া। একটু পরেই দুই পাশে দুইজনের নাক ডাকাডাকি। রাত দেড়টা দুইটা পর্যন্ত বার্ডের ক্যাম্পাসে গান শুনতে শুনতে একা একা হাঁটা। পুকুর পাড়ে আড্ডা(শেষের দিন প্রায় ২৫ জন আসছিল)।কিছু হলেই 'তুই কই' মেসেজ দেয়া। দুই দুইটা কালচারাল টিম ওয়ার্ক করে উঠানো। বড় ভাইদের কাছ থেকে চা আদায়। আপুদের কোলে ধুম ধাম আমার শুয়ে পরা। অন্যদের স্পিকারের আওয়াজ কমাতে আমাদের স্পিকারে নষ্ট গান ছাড়া (আমি কোনভাবেই এতে দায়ী না)। মুনিরা আপুর ৫ এপিসোডের অস্থির লেভেলের পডকাস্ট। পিচ্চি জালালের রুমে লেট নাইট উনো খেলা। ৬টা ২০মিনিটে পিটি দরতে ৬টায় বাস থেকে কুমিল্লায় নেমে বার্ডের উদ্দেশ্যে সবার ভোঁ দৌঁড়। সেন্টমার্টিনে চাঁদের আলোয় সমুদ্রের পাশের চেয়ারে বসে কথা শুনতে শুনতে ঘুমায়েই যাওয়া। সব মিলিয়ে খুব ভাল সময় কেটেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কারিগরি শিক্ষার্থীদের মাঝে দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে ‘স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫’-এর খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই প্রতিযোগিতায় খুলনা অঞ্চলের ২৯টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬১ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থী ৮৭টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে। এর মধ্য থেকে সেরা ৭টি উদ্ভাবনী প্রকল্প আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কার সবার সামনে তুলে ধরার এই অনন্য প্রতিযোগিতাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন Accelerating and Strengthening Skills for Economic Transformation (ASSET) প্রকল্প আয়োজন করে।এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দেশব্যাপী ২১১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১০,০০০ শিক্ষার্থী ৩,২০৯টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩টি করে প্রকল্প আঞ্চলিক পর্বের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। প্রতিযোগিতাটির জাতীয় পর্ব আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এবং ৮টি অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত মোট ৫০টি উদ্ভাবনী প্রকল্প এতে অংশগ্রহণ করবে। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিনটি উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্ভাবকদের আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে।প্রতিযোগিতা উপলক্ষে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক একটি সেমিনার এবং দিনশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আবুল খায়ের মোঃ আক্কাস আলী, মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল হক, পরিচালক (ভোকশনাল), প্রকৌশলী মোঃ মাকসুদুর রহমান, পরিচালক (পিআইইউ) এবং মোঃ মিজানুর রহমান, আঞ্চলিক পরিচালক (উপসচিব), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা।খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোঃ নুরুন্নবী মোল্লা।প্রতিযোগিতাটি অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং খুলনা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এতে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি, মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, শিল্পকারখানা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ