সংগৃহীত ছবি
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন নুরুল হক নুর। এর আগে গত বৃহস্পতিবার গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জানান, নুর সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালে শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। সেখানে তিনি মোট ১২ দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। দেশেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সিঙ্গাপুর সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল।
নুরুল হক নুরের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আজ বিকেলে বিমানবন্দরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন নুরুল হক নুর। এর আগে গত বৃহস্পতিবার গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জানান, নুর সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালে শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। সেখানে তিনি মোট ১২ দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। দেশেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।সিঙ্গাপুর সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল।নুরুল হক নুরের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আজ বিকেলে বিমানবন্দরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি ধর্মভিত্তিক দলের অনুগতদের বসানো হচ্ছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।নতুন ইস্যু তৈরি করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভ্রান্ত কথা বলে ও মিথ্যা পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। গত ১৫ বছর কারা আপোষহীন লড়াই করেছে, তা সাধারণ মানুষ জানে।তিনি আরও বলেন, দল অনুগত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জনগণ প্রস্তুত, তারা পূর্বের মতো ডামি নির্বাচন চায় না।এ সময় ভারতের পূজামণ্ডপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিকৃতি করার সমালোচনাও করেন এই বিএনপি নেতা।মরা দেখতে পেলাম যে, ভারতে ড. ইউনূসসহ আরও কয়েকজন বিশ্বনেতার মূর্তি বানানো হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়, এটা একেবারেই একটা অপসংস্কৃতির পরিচয়।ভোরের আকাশ/তা.কা
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বাকিরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের। কিন্তু আমরা এখানে ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নই। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় উলামা কমিটির উদ্যোগে দেশের দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ। আল্লাহভীরু মানুষ সমাজের নেতৃত্বের আসনে বসলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।একজন শিক্ষিত মানুষ জাতির যে ক্ষতি করতে পারে, তা হাজার মানুষ মিলেও করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে জাতিকে ওলামায়েদের পথ দেখাতে হবে। নিজের জ্ঞানকে কোরআন-হাদিসের আলোকে জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে।পরস্পরবিরোধী দ্বন্দ্বে না লিপ্ত হয়ে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে আমির বলেন, বাংলাদেশের আলেমরা শুধু মসজিদের নেতৃত্ব নয় জাতিরও নেতৃত্ব দেবে। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে আলেম সমাজকে পথ দেখাতে হবে। দেশের আলেমরা সমাজ পরিচালনায় অংশ নিলে দেশ থেকে সকল ধরনের দুর্বৃত্তায়ন দূর হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
তরুণ ও নারীসহ সকল শ্রেণি-পেশার ভোটার আকর্ষণে মাঠে নামছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার আকর্ষণে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে রয়েছে বলে দলটির সূত্রে জানা গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচন হবে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। এ নির্বাচনে জয়ের টার্গেট নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেও মাঠে ছিল বিএনপি।এছাড়া, সভা-সেমিনারসহ বিভিন কর্মসূচি হাতে নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর রয়েছে নিজ-নিজ এলাকায়। তরুণ ও নারী ভোটারদের কাছে টানতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলে নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে। এছাড়া, ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ ১৪ অক্টোবর থেকে ভোটের মাঠে থাকবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।দলের এক সূত্রে জানা যায়, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩১ দফা সম্পর্কে তরুণ ও নারী ভোটারসহ সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। ভোটারের আস্থা পুনরুদ্ধারে জনমত গঠন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকার নিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতেই দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত বিএনপির। দলীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন কাজ করছে দলটি।জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বৈঠক, সমাবেশ ও আলোচনা মাধ্যমে এই প্রচারণা পরিচালিত হবে। প্রার্থী ঘোষণার পূর্বেই দলীয় কোন্দল অথবা কারো প্রতি অসন্তোষ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির শীর্ষ নেতারা। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে সে বিষয়টিও নজরে রয়েছে দলটির। তাই দলের সমন্বয় জোরদার ও কৌশলগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে নজর দিচ্ছে দলটির শীর্ষ নেতারা। কাজেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পাশাপাশি তরুণ ভোটার আকর্ষণে ব্যস্ত রয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।বিএনপি মনে করছেন, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে তরুণরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। দেশে তরুণ ভোটার ৩ কোটি ৪ লাখ ৭ হাজার। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছর। মোট ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ভোটারের ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশই তরুণ। বড় অংশই শিক্ষার্থী। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা হবেন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ভোটের হিসাবনিকাশ তারা পালটে দিতে পারেন। কাজেই বিএনপির টার্গেটও তরুণ ভোটার।বিএনপির এক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সকল নেতারা স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার জনগণকে নিয়ে সভা-সেমিনার করছে। একইসঙ্গে তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, তরুণদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করাসহ বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে।সেমিনারে কর্মসংস্থান, বহুমাত্রিক শিল্পায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার, কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং নাগরিক সমস্যা নিয়ে তরুণদের বক্তব্য ও মতামত শুনছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মূলত তরুণদের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতেই এ উদ্যোগ।এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ প্রায় ১৫০০ পরিবারের আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন বলে সংগঠনটির সূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও মাইল স্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনার আহত-নিগত ও জুলাই অভ্যুথানে আহতদের সুচিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারের পাশে থাকছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে জটিল রোগাক্রান্ত মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।নেতারা জানান, বিএনপি আগামীতে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। জনগণ সেটি যাতে বোঝে, জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়, বিএনপি সেই ধরনের কর্মসূচি আগামীতে অব্যাহতভাবে পালন করে যাবে।দলটির সূত্র জানায়, বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে, যাতে দলের পদপদবির পরিচয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী না হতে পারেন। যদিও এখন প্রায় প্রতিটি আসনে বিক্ষিপ্তভাবে একাধিক প্রার্থী প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ার আগপর্যন্ত যাতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতে না জড়ান, সে জন্য কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে নানামুখী অপপ্রচার চলছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের ভিত্তিতে দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পরে দেখা গেছে, অভিযোগের সব সত্য নয়। যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপি এখন মনে করছে, এই সাংগঠনিক পদক্ষেপে দলের অভ্যন্তরে একটা শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয়েছে।বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, এবারের নির্বাচনে তরুণ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এ তালিকা করতে মাঠপর্যায়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি টিম কাজ করছে। যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে, বিগত আন্দোলনে ছিলেন, দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে এবং দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন- এমন নেতাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় রাখতে চায় দলটির হাইকমান্ড। সেই সঙ্গে ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া জনপ্রিয় প্রার্থীদের মূল্যায়নও করা হবে বলে জানা গেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে প্রতিটি সভা-সমাবেশ ও দলীয় ফোরামেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আসছে নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ হবে না; দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। এমন বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে দলের ভেতরে শক্তভাবে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে বিএনপি।দলটির বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পর ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় জরিপ চালিয়ে ত্যাগী, বিতর্কমুক্ত, জনপ্রিয়, শিক্ষিত ও শক্তিশালী প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারেক রহমানকে। এছাড়া যেকোনো অন্তঃকোন্দল শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিএনপি এই নির্বাচনে নারী নেতৃত্বের প্রসার ও নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী করতে সচেষ্ট।বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। বিএনপির প্রস্তুতি আছে। আমাদের নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়েও জনগণের পাশে থাকবেন।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু একটি বড় রাজনৈতিক দল, তাই একেকটি আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ নিয়ে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা গ্রুপিং না হয় সে বিষয়েও এবার কঠোর থাকবে দল। নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে নতুন চমক নিয়েই এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ভোরের আকাশকে বলেন, তরুণ প্রজন্মই হবে বিএনপির প্রধানত শক্তি। তারুণ্যের শক্তি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বিএনপির নীতিমালা গড়ে উঠেছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে জাতি আরও এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক, সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীজন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করবে।তিনি বলেন, শুধু তরুণ ভোটারই নয়, সারাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে উম্মাদনা দেখা যাচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, জনগণের রায় নিয়েই বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর সুখী, সমৃদ্ধশালী ও স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ভোরের আকাশকে বলেন, দেশে তরুণ ভোটার সারে ৩ কোটির ওপর। তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু চিন্তাভাবনা আছে। যে কোনো কাজে তরুণদের প্রাধান্য দিতে চাই। দেশের তরুণদের স্বপ্ন, মেধা, জ্ঞান, শক্তি এবং সাহস ধারণ করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে আমরা কাজে লাগাতে চাই।ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ভোরের আকাশকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চান তরুণরা সব সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করুক। সেজন্য তার নির্দেশনায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দলের সঙ্গে তরুণদের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছি। কর্মসূচিতে তরুণদের ভাবনা শুনছি। দলের পলিসি বা সংস্কারসহ যে কোনো বিষয়ে তরুণদের দ্বিমত পোষণেরও সুযোগ থাকছে। এ পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হতে পারে তার ধারণাও দেওয়া হচ্ছে।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের সংগঠিত করে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নারী কর্মীরা। আগামী ১৪ অক্টোবর খুলনা বিভাগ থেকে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’- এর নারী সদস্যরা এই কর্মসূচি শুরু করবেন। মূল লক্ষ্য বর্তমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নৈতিক অবক্ষয় থেকে বের হয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।এ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর খুলনা থেকে কাজ শুরু করবে সংগঠনটি। তিনি বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপি কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে তা নারী ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে। তৃণমূল পর্যায়ের নারীদেরকে নিয়ে আমরা ধানের শীষের পক্ষে জনমত তৈরি করব। নারী ভোটারদের সচেতন করব। নারীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে কথা বলব। নারীদের কিভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা হবে সে পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ১৪ অক্টোবর খুলনা জেলা ও মহানগরের পাশাপাশি বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরার বিএনপি সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় হবে। পরদিন ১৫ অক্টোবর বৃহত্তর যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের সাবেক এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভা হবে।১৬ অক্টোবর কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় হবে। এসব কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট জেলার বিএনপি সভাপতি বা আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিবদের যুক্ত করা হবে।সংগঠনটির সূত্রমতে, সম্প্রতি এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভাচুর্য়ালি নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের শীর্ষ দুই নেতা বেগম সেলিমা রহমান ও অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের সংগঠিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।এরপর থেকেই দেশজুড়ে গণসংযোগের উদ্যোগ নেয় নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। পাশাপাশি সারা দেশে নির্বাচিত সাবেক ও বর্তমান নারী জনপ্রতিনিধির নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে সেই তালিকা সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেত্রীর কাছে দিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ