ছবি: ভোরের আকাশ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক নবজাতক কন্যাশিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৃতদেহটি হাসপাতালের ভেতরেই উদ্ধার হলেও কর্তৃপক্ষ উল্টো থানায় অভিযোগ করেছে, “অজ্ঞাত কেউ লাশ ফেলে রেখে গেছে।”
স্থানীয়ভাবে এ ঘটনাকে হাসপাতালের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ লাশ উদ্ধার হলো হাসপাতালের ভেতর থেকে, অথচ মামলা করা হলো “অজ্ঞাত কেউ ফেলে গেছে” অভিযোগে। এ অবস্থায় প্রকৃতপক্ষে দায় কার, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
হাসপাতালের পরিচালক মো. শহীদ মুন্সি জানান, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের এক আয়া টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে ময়লার ঝুড়ির ভেতরে টিস্যু দিয়ে ঢাকা নবজাতকের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা দ্রুত সেখানে গিয়ে মৃতদেহ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন শিশুটি আগেই মারা গেছে।
শিশুটির মুখে সাদা টিস্যু গুঁজে দেওয়া ছিল এবং নাভির নাড়ি প্রায় দুই ইঞ্চি ওপরে ছেঁড়া অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাই। পাশাপাশি হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালের পরিচালক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে এখন যেহেতু জানলাম, ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
রংপুরে গৃহবধু ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় স্বামী সোহান মিয়াকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে পঞ্চগড় সদরের মিলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।শনিবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিন) তোফায়েল আহমেদ।তিনি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর বালাপাড়র গৃহবধু মিতু বানুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা হয়। এতে মিতুর স্বামী সোহান মিয়া, শ্বশুর রাজা মিয়াসহ চার জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়। মিতু বানুর মৃত্যুর পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপনে চলে যায়। শুক্রবার পঞ্চগড় পুলিশের সহযোগিতায় সোহানকে গ্রেফতার করা হয়।উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) তোফায়েল আহমেদ বলেন, মিতুর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সোহানের রিমান্ড চাওয়া হবে। এছাড়া যারা এখনও পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। দেশে নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর বালাপাড়ার গৃহবধু মিতু বানুর মরদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠে, শ্বশুরের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াসহ আপত্তিকর একটি ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মিতু বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নাটারাম গ্রামের মেনাজুল মিয়ার মেয়ে।ভোরের আকাশ/জাআ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কপালহর গ্রামের নিরীহ কৃষক আব্দুল মন্নাছের হত্যাকারী একই গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের পুত্র আবুল কালাম গংদের গ্রেফতার সহ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের কন্যা মাহমুদা আক্তার।শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুুুর ১২টায় নিহতের পরিবারের আয়োজনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নান্দাইল শাখার কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় মাহমুদা আক্তার বলেন, আমার বাবাকে ২০১৫ সনের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্মমভাবে পিঠিয়ে হত্যা করে, হত্যার পর থেকে আসামীদের ভয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত আমরা বাড়ি ছাড়া, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আবুল কালাম ও অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তাদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।ভোরের আকাশ/জাআ
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে “ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের” আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ শুরু হয়েছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) এ উপলক্ষে বেলা ১১ টায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।র্যালি পূর্ব সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন।চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোশফিকুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম.এন জামিউল হিকমা এবং চাঁদপুর কোস্ট কার্ড স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শওকত আহমেদ।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, চাঁদপুর মৎস্যবনিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক ও মৎস্যজীবী কামাল হোসেন।বক্তারা বলেন, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। এর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করা জাতীয় দায়িত্ব। এ সময়ে মা ইলিশ ধরা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইলিশের প্রাপ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সবাইকে সচেতন থেকে এ অভিযানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তারা।অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গবেষক, ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবীরা মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে যে কোন মূল্যে সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক নবজাতক কন্যাশিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৃতদেহটি হাসপাতালের ভেতরেই উদ্ধার হলেও কর্তৃপক্ষ উল্টো থানায় অভিযোগ করেছে, “অজ্ঞাত কেউ লাশ ফেলে রেখে গেছে।”স্থানীয়ভাবে এ ঘটনাকে হাসপাতালের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ লাশ উদ্ধার হলো হাসপাতালের ভেতর থেকে, অথচ মামলা করা হলো “অজ্ঞাত কেউ ফেলে গেছে” অভিযোগে। এ অবস্থায় প্রকৃতপক্ষে দায় কার, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।হাসপাতালের পরিচালক মো. শহীদ মুন্সি জানান, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের এক আয়া টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে ময়লার ঝুড়ির ভেতরে টিস্যু দিয়ে ঢাকা নবজাতকের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা দ্রুত সেখানে গিয়ে মৃতদেহ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন শিশুটি আগেই মারা গেছে।শিশুটির মুখে সাদা টিস্যু গুঁজে দেওয়া ছিল এবং নাভির নাড়ি প্রায় দুই ইঞ্চি ওপরে ছেঁড়া অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন পরিচালক।তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাই। পাশাপাশি হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালের পরিচালক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে এখন যেহেতু জানলাম, ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।ভোরের আকাশ/জাআ