ছবি: ভোরের আকাশ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় সার্বজনীন শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে উদযাপিত হওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপি। শনিবার সকাল ১১টায় কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগটনের নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারী ভক্তবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি,ব্যবসায়ী সমাজ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, এ বছর শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে, যা প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা, পূজা উদযাপন কমিটির কার্যকর পদক্ষেপ এবং সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতার ফসল।
বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরার সভাপতিতে উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক সদস্য আফজাল হোসেন বেপারীর সঞ্চালনায় মত বিনিময় সবায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ পাল, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, শ্রী শ্রী জয় কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার দাস প্রমূখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শাহীন ও শিক্ষক নেতা কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পূজা মণ্ডপগুলোতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সবার অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতার কারণে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। ধর্মীয় সম্প্রীতির এ উদাহরণ কাপাসিয়ার মানুষের জন্য গৌরবের বিষয়। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনগুলোতেও একইভাবে সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
অন্যদিকে, সভায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়। এছাড়াও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের নিরলস পরিশ্রম ও সহযোগিতা উল্লেখ করে তাদের প্রশংসা করা হয়।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কপালহর গ্রামের নিরীহ কৃষক আব্দুল মন্নাছের হত্যাকারী একই গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের পুত্র আবুল কালাম গংদের গ্রেফতার সহ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের কন্যা মাহমুদা আক্তার।শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুুুর ১২টায় নিহতের পরিবারের আয়োজনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নান্দাইল শাখার কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় মাহমুদা আক্তার বলেন, আমার বাবাকে ২০১৫ সনের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্মমভাবে পিঠিয়ে হত্যা করে, হত্যার পর থেকে আসামীদের ভয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত আমরা বাড়ি ছাড়া, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আবুল কালাম ও অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তাদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।ভোরের আকাশ/জাআ
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে “ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের” আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ শুরু হয়েছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) এ উপলক্ষে বেলা ১১ টায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।র্যালি পূর্ব সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন।চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোশফিকুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম.এন জামিউল হিকমা এবং চাঁদপুর কোস্ট কার্ড স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শওকত আহমেদ।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, চাঁদপুর মৎস্যবনিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক ও মৎস্যজীবী কামাল হোসেন।বক্তারা বলেন, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। এর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করা জাতীয় দায়িত্ব। এ সময়ে মা ইলিশ ধরা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইলিশের প্রাপ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সবাইকে সচেতন থেকে এ অভিযানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তারা।অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গবেষক, ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবীরা মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে যে কোন মূল্যে সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক নবজাতক কন্যাশিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৃতদেহটি হাসপাতালের ভেতরেই উদ্ধার হলেও কর্তৃপক্ষ উল্টো থানায় অভিযোগ করেছে, “অজ্ঞাত কেউ লাশ ফেলে রেখে গেছে।”স্থানীয়ভাবে এ ঘটনাকে হাসপাতালের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ লাশ উদ্ধার হলো হাসপাতালের ভেতর থেকে, অথচ মামলা করা হলো “অজ্ঞাত কেউ ফেলে গেছে” অভিযোগে। এ অবস্থায় প্রকৃতপক্ষে দায় কার, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।হাসপাতালের পরিচালক মো. শহীদ মুন্সি জানান, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের এক আয়া টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে ময়লার ঝুড়ির ভেতরে টিস্যু দিয়ে ঢাকা নবজাতকের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা দ্রুত সেখানে গিয়ে মৃতদেহ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন শিশুটি আগেই মারা গেছে।শিশুটির মুখে সাদা টিস্যু গুঁজে দেওয়া ছিল এবং নাভির নাড়ি প্রায় দুই ইঞ্চি ওপরে ছেঁড়া অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন পরিচালক।তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাই। পাশাপাশি হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালের পরিচালক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে এখন যেহেতু জানলাম, ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।ভোরের আকাশ/জাআ
চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাধারণ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, যেখানে জেলার ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজ্ঞান বেজ। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব।অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।উদ্বোধনী বক্তব্যে ডিসি বলেন, “বিজ্ঞান মানুষকে যুক্তিবাদী করে তোলে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশে এ ধরনের অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা জাতিকে উন্নত বিশ্বের কাতারে এগিয়ে নিতে সহায়ক। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।”তিনি আরও বলেন, “বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও আলোকিত বাংলাদেশ। এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন এবং অনুসন্ধিৎসা বাড়িয়ে তুলবে।”অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার, এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা।আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতেই এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে।প্রথম ধাপের এই জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা ছিল এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৩০ মিনিটের ২৫ নম্বরের পরীক্ষা। এখান থেকে ৫০ জন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আগামীতে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।ভোরের আকাশ/জাআ