বিকেলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।
সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৪টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলটির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রতিনিধি দলে আরও থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ও ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের যৌথ আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই ভালো ভালো জায়গা দখল করেছে, মন্ত্রী হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নিয়েছে। কিন্তু যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাদের দিকে কেউ তাকায়নি।তিনি বলেন, সংস্কার যদি মানুষের কল্যাণে না আসে, তাহলে সেই সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।মির্জা ফখরুল বলেন, গুমের শিকারদের ফিরিয়ে দিতে না পারলেও তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে সবার।এছাড়া, গুম কমিশনের আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে দল।তিনি অভিযোগ করে বলেন, গুম কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করলেও নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি।এ সময় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান দলটির মহাসচিব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তার দল, পরিবার কিংবা চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসার জন্য যেকোনো সময় তাকে আবার লন্ডনে যেতে হতে পারে।কিন্তু বেগম জিয়ার লন্ডনের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তাই তার জন্য নতুন করে লন্ডনের মাল্টিপল ভিসার আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তাও চেয়েছে বিএনপি। এ জন্য সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।বিএনপির একাধিক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার কালবেলাকে বলেন, ম্যাডামের লন্ডনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মাল্টিপল ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ম্যাডামের ফের লন্ডনে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ম্যাডামের লন্ডনে ফলোআপ চিকিৎসার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি।৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এর মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন তিনি। এর পরপরই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে বিশেষায়িত সেন্টারে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তখন বলেছিলেন, জরুরি ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার তা আমলে নেয়নি। প্রতিবারই সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তির ক্ষেত্রে দুই শর্তের একটি ছিল, খালেদা জিয়াকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে।পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পথ সুগম হয়। পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান তিনি।এরপর প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছান খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনও ছিলেন। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি হন। লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জন প্যাট্রিক কেনেডি ও ডা. জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে ২৫ জানুয়ারি কিংস্টনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যান খালেদা জিয়া।ছাড়পত্র দেওয়ার সময় অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বয়স বিবেচনায় লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা ম্যাডামের লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। প্রায় সাড়ে তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় থাকাকালীন লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বেগম জিয়ার চিকিৎসার ফলোআপ হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ চার মাস পর লন্ডন থেকে দুই পুত্রবধূকে সাথে নিয়ে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। বাসায় বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।তবে শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় গত ২৩ জুলাই দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে জরুরি ভিত্তিতে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই রাতেই আবার তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরে আসেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে থাকার সময় ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে আবার লন্ডনে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে তার মেডিকেল বোর্ডের কেউ কেউ আলোচনা করেন। এরপরই খালেদা জিয়ার জন্য নতুন করে লন্ডনের মাল্টিপল ভিসার আবেদন করা হলো।ভোরের আকাশ//হ.র
চিকিৎসার জন্য আবারও লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তিনি শিগগির সেখানে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার লন্ডনে চিকিৎসা ফলোআপকে অত্যন্ত জরুরি হিসেবে বিবেচনা করছেন। ইতোমধ্যেই এই সফরকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য যোগাযোগ করেছে বিএনপি।দলীয় সূত্র জানিয়েছে, শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পূর্ণ সুস্থতার জন্য তার নিয়মিত আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা নেওয়াই এখন প্রধান অগ্রাধিকার। তাই তাকে পুনরায় লন্ডন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াক আউট করার পর আবার আলোচনায় যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে যেন আর কখনও স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে।সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০তম দিনে এ মন্তব্য করেন তিনি।সালাহউদ্দিন জানান, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি, একটি স্বাধীন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন এটি-ও ইতিবাচকভাবে গৃহীত হয়েছে।’তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরাই বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সংসদ যদি সংশোধনী আনে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।’সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, আর কেবল দায়-দায়িত্ব থাকে, তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যকর হবে না।’বিএনপি নেতা বলেন, ‘সব বিষয়ে ঐক্যমত হওয়া সম্ভব নয়। ভিন্নমত থাকবে, সেটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কাউকে ঐক্যমতে বাধ্য করা গণতন্ত্র নয়। আমরা অংশ নিচ্ছি একটি গঠনমূলক চেতনায় তবে যেখানে মৌলিক মতভেদ রয়েছে, সেখানে মতপার্থক্য জানানোই যৌক্তিক।’বক্তব্য শেষে সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপি অংশ নেবে এবং ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ