ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, সোমবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ‘খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না’ জানিয়ে নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির প্রধান নেতা।রোববার (২৯ জুন) নারী নির্যাতন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষোভ করেন জামায়াত আমির।পোস্টে তিনি লিখেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন একান্তই লজ্জাজনক একটি ঘটনা। লম্পটদের যেকোনো মূল্যে পাকড়াও করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে।তিনি আরও লিখেছেন, খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না। অন্যথায়, এই সমাজ আপাদমস্তক একটি জংলি সমাজে পরিণত হয়ে যাবে।এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৮) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারও আগে ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিশেষ তিনটি দিবসের ঘোষণা দেয় সরকার। এই তিনটি দিবসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। প্রথমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা শুরু করলেও পরবর্তীতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোসহ গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রজনতাও সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন।ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। তীব্র সমালোচনা ও আপত্তির মুখে সরকার সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর যথাযথভাবে এ তিন দিবস প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এবং অপর দুটি দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে বলে তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। তবে এ খবর প্রকাশের পরপরই আপত্তি জানান গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) প্রথম সারির কয়েকজন নেতা।৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ করার ঘোষণায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম এবং আখতার হোসেন। তাদের মধ্যে আখতার হোসেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র সদস্য সচিব এবং সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ দলটির যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট নয়। সাধারণ ছাত্রজনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’সারজিস আলমও একই দিনে ফেসবুকে লেখেন, ‘৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি, বরং ওইদিন থেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’তিনি আরো লেখেন, ‘৫ আগস্টই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত হওয়া উচিত।’ হাসনাত ও সারজিসের বক্তব্যের পর এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও ফেসবুকে এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস সেদিনই হবে, যেদিন জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে এবং মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ গৃহীত হবে।’এবার ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফাইড আইডিতে গত শুক্রবার এক পোস্টে তিনি লেখেন, ৮ নয় ৫ই আগস্টকেই নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করা উচিত।তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিবসসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ঘোষিত তিনটি দিবস নিয়ে সরকারের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে।সরকার গঠনের দিন একটি বিশেষ দিবস হিসেবে পালিত হওয়া উচিত কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘উচিত কি উচিত না সেটা বলা আমার দিক থেকে ঠিক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিবসগুলোর বিষয়ে সরকার পুনর্বিবেচনা করছে। দুদিনের মধ্যে এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।আসিফ মাহমুদ জানান, ‘অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই যেকোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে নমনীয়। সবার মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করে আসছে।’এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান বলেন, ‘কেবল নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ ছাড়া এই দিনটির আর বিশেষ কোনো তাৎপর্য নেই। দিবস ঘোষণার মধ্যদিয়ে মূলত সরকার তার লিগ্যাসি (উত্তরাধিকার) রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু, সেটা তো করবে কাজের মধ্যদিয়ে। যদি অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, তাহলে এই সরকারকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে। তার জন্য একটা আস্ত দিবস রাখা তো অর্থহীন।’বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান তার ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে এই সিদ্ধান্তগুলোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নামকরণটিকে অনেকেই স্বৈরশাসন পরবর্তী আচরণের অনুরূপ বলে মনে করছেন।তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেই নিজের কর্মকাণ্ডকে গৌরবমণ্ডিত করছে, এটি শেখ হাসিনা শাসনামলের প্রতিচ্ছবি মনে করিয়ে দেয়।’আলোচনায় শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাই ‘আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা নিয়েও মতামত দেন তিনি। আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও আবেগঘন উল্লেখ করলেও তিনি মনে করেন, আলাদা দিবস ঘোষণার প্রয়োজন ছিল না। তার ভাষায়, ‘গণঅভ্যুত্থানে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সবার জন্য আলাদা দিবস করা হয়নি। তাই ভারসাম্য থাকা উচিত।’জাহেদ উর রহমান আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের ঘটনাকে যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত ও নামকরণ করা দরকার ছিল। এই দিনটির গুরুত্ব বিবেচনায়, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নাম নির্ধারণ করলে তা অধিক গ্রহণযোগ্য হতো।’বর্তমান সরকারের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা প্রকাশ করে তিনি মন্তব্য করেন, সরকার নিজেরাই নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করছে, এটা হাস্যকর। বরং একটি মাত্র দিন ৫ আগস্টকে গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে রেখে তাতেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বিলম্ব অথবা নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবেন, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়।বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মত মেনে নিতে হবে এমনটা ভাবলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সংস্কার কোনো বাইবেল নয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া।এর আগে, এদিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। জনগণের ভোটের অবমূল্যায়ন রুখতে সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। মহাসমাবেশকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ধিত অংশ ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।ছবি: সংগৃহীতঘোষণাপত্রে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে ৬টি কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করার বিষয়টি মূখ্য রেখে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবনাগুলোকে সক্রিয় বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আজকের মহাসমাবেশ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা হলো-১. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিরূপে পুনঃস্থাপন।২. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।৩. জুলাই সনদের ঘোষণা ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য।৪. ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও দলীয় কর্তৃত্ববাদ রোধে মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার।৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার ও পালাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক পদক্ষেপ।৭. পাচার করা অর্থ উদ্ধার ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।৮. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা।৯. ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ ও দেশবিরোধী চুক্তির বাতিল।১০. জাতীয় নির্বাচনের আগে সব পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন।১১. দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।১২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করা।১৩. ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।১৪. ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।১৫. জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা।১৬. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামের আলোকিত আদর্শ বাস্তবায়নের আহ্বান।ভোরের আকাশ/এসএইচ