× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আরেক মামলায় খালাস তারেক রহমান রইলো বাকি দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ০৭:৩২ পিএম

আরেক মামলায় খালাস তারেক রহমান রইলো বাকি দুই

আরেক মামলায় খালাস তারেক রহমান রইলো বাকি দুই

এম বদি-উজ-জামান: বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ থেকে খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে তার ব্যবসায়িক বন্ধু হিসেবে পরিচিত গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকেও খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও মামুনকে খালাস দিয়ে রায় দেন। হাইকোর্টের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান আপিল না করলেও তিনি খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় খালাসের মধ্য দিয়ে সাজা হওয়া ছয়টি মামলার মধ্যে চার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান। ফলে এখন আর দুই মামলায় সাজা থাকলো তারেক রহমানের। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ২০ বছর, জিয়া এতিমখানা মামলায় ১০ বছর, জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ৯ বছর, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় ৭ বছর এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড হয় তারেক রহমানের। সবগুলো মামলায় তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৮টির বেশি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে মাত্র ছয়টি মামলায় সাজা হয়, যারমধ্যে চারটিতেই তিনি এরইমধ্যে খালাস পেয়েছেন। যে চারটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন সেসব মামলায় আরও আসামি ছিল। ওইসব আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় হয়েছে। যার সুবিধা পেয়েছেন তারেক রহমান। বাকি দুই মামলার মধ্যে একটিতে (জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ) তারেক রহমানের সঙ্গে আসামি আছেন তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান। অপরটিতে (শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগে মানহানির মামলা) তারেক রহমান এককভাবে আসামি। সাজা হয়নি এমন ৩২টির বেশি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে এখনও ৫৬টির কাছাকাছি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। 
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলাকে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু গত ছয়মাসে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এমন অবস্থায় আদালতের মাধ্যমেই তারেক রহমানের সব মামলা নিষ্পত্তির পথে হাটছেন তার আইনজীবীরা।   
এ বিষয়ে তারেক রহমানের আইনজীবী বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ভোরের আকাশকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই তিনি তার মামলায় আইনগতভাবে মোকাবেলা করার জন্য আইনজীবী টিমকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসী জানেন যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে তা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসামূলক। তাকে রাজনীতি ও দেশের সেবা করা থেকে দূরে রাখতেই এইসব মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে বেশ কিছু মামলায় আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন। কয়েকটি মামলা বাদীপক্ষ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে এখন যেসব মামলা রয়েছে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। 
যেসব মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান এক. রাজধানীর গুলিস্থানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি হত্যা মামলা। অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা। হত্যা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর নিম্ন আদালতে রায় হয়। রায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দি আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি একে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ১ ডিসেম্বর এক রায়ে তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেন। 
দুই. একই ঘটনা থেকে উদ্ভূত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়ও একই আদালত থেকে রায় দেওয়া হয় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায়ও ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দি আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি একে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ১ ডিসেম্বর এক রায়ে তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেন। 
তিন. বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ায় নিম্ন আদালতের বিচারক মোতাহার হোসেনকে দেশ ছাড়তে হয়। বিচারক মোতাহার হোসেনের অভিযোগ, হাইকোর্টের এক বিচারপতির বাসভবনে তাকে ডেকে নিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয়েছিল। এই মামলায় আপিল বিভাগ গতকাল এক রায়ে তারেক রহমান ও মামুনকে খালাস দিয়েছেন। 
চার. জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে তারেক রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়। এই মামলায় তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুদকের আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ কয়েকজনের আপিল করেন। সেই আপিল গ্রহণ করে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে গত ১৫ জানুয়ারি খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ। 
এখনও যে দুই মামলা সাজা রয়েছে পাঁচ. জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেয়।
ছয়. ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এই মামলায় নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। 
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তিনি। ওই ১৮ মাসে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তারেককে। ১৩ মামলায় ধাপে ধাপে তাকে জামিন দেওয়া হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আট দিন পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি লন্ডনেই আছেন।
২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলেই তারেকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলার সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৮টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় সকল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল, যা গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রত্যাহার করা হয়।
বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় আপিল বিভাগ থেকে খালাস বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় ঢাকার একটি আদালত ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এক রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। একইসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন মামুনও মামল থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। উভয় আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৬ সালের ২১ জুলাই রায় দেন। এই রায়ে বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতে মামুনকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।
হাইকোর্ট রায়ের আগে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরপর এ আপিলটি কার্যতালিকায় আসলে আদালত ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ পরিস্থিতিতে ওই বছরের ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া সম্পনের পর হাইকোর্টে শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর লিভ টু আপিল আবেদন করেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। এই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে তারেক রহমান ও মামুনের সাজা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আইনজীবীরা বলেছেন, মূলত মামুনের আবেদনে তার সাজা বাতিল হলেও আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন তার সুবিধা পাবেন তারেক রহমান। অর্থাৎ এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। 
নিম্ন আদালতে রায়ের আগে সংশ্লিষ্ট ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোতাহার হোসেনকে হাইকোর্টের বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দে’র বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জহিরুল হক দুলালসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তারেক রহমানকে সাজা দিতে বিচারক মোতাহার হোসেনের ওপর চাপ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় আগে থেকে লেখা একটি রায় তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে তা আদালতে পাঠ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই রায়ে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। বিচারক মোতাহার হোসেন সরকারের লিখে দেওয়া রায় নিতে সম্মত হন। কিন্তু যেদিন তিনি প্রকাশ্য আদালতে রায় দেন সেদিন তিনি নিজের লেখা রায় পাঠ করেন। তিনি তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে রায় দেন। রায়ে তারেক রহমানের ক্ষেত্রে বলা হয়, ওই টাকা খরচ করার কথা তারেক রহমান অস্বীকার করেননি। ২০০৭ সালে দুদকে দাখিল করা তারেক রহমানের হিসাব বিবরণীতে তার উল্লেখ রয়েছে। তিনি মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন-তা প্রমাণিত হয়নি। তাই তাকে খালাস দেওয়া হলো। এই রায়ের পর তিনি হুমকির মুখে ২০১৩ সালেই দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন। বিদেশে বসেই তিনি এসব তথ্য ফাঁস করেন। শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্তু তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। এরইমধ্যে দেশে তার স্ত্রী মারা গেলেও তার জানাজায় অংশ নিতে বা দাফন করতে পারেননি। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ওই বিচারক দেশে ফেরেন। 
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক রহমান ও মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তুলে তারেক রহমান খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
 

  • শেয়ার করুন-
 ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে কাজ করছে’

‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে কাজ করছে’

 হ্যাকারের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মোবাইল জব্দ

হ্যাকারের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মোবাইল জব্দ

 পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প অনুমোদনের দাবি

পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প অনুমোদনের দাবি

 'ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার'

'ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার'

 গাইবান্ধায় বজ্রপাতে মারা গেল কৃষকের গরু

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে মারা গেল কৃষকের গরু

 সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত

সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত

 সাত গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

সাত গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

 নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প

 বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে ১০ ও ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার

বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে ১০ ও ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার

 মশার উৎপাতে দিশাহারা রাজধানীবাসী

মশার উৎপাতে দিশাহারা রাজধানীবাসী

 অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 ৫৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ফুলবাড়ী বাইপাস সড়ক, ঘটছে দুর্ঘটনা

৫৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ফুলবাড়ী বাইপাস সড়ক, ঘটছে দুর্ঘটনা

 খুলনায় মাহিন্দ্রা-লরির সংঘর্ষে নিহত ৩

খুলনায় মাহিন্দ্রা-লরির সংঘর্ষে নিহত ৩

 প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সেমিনার অনুষ্ঠিত

 ১৭ বছর পর কানের লাল গালিচায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

১৭ বছর পর কানের লাল গালিচায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

 নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে ৮৫ শতাংশ রোগী

নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে ৮৫ শতাংশ রোগী

 মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

 ইপিএল : ইউনাইটেডকে হারাল চেলসি

ইপিএল : ইউনাইটেডকে হারাল চেলসি

 ‎পিরোজপুরে তিল ক্ষেতে মধু চাষে প্রথমবারেই সাফল্য

‎পিরোজপুরে তিল ক্ষেতে মধু চাষে প্রথমবারেই সাফল্য

সংশ্লিষ্ট

'ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার'

'ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার'

অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ভারতের পুশইন চাপে বাংলাদেশ

ভারতের পুশইন চাপে বাংলাদেশ