স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৭ এএম
পিছিয়ে পড়েও ডি ব্রুইনার নৈপুণ্যে সিটির বিশাল জয়
ম্যানসিটির অভিজ্ঞ খেলোয়ার বেলজিয়াম তারকা ডি ব্রুইনার দ্যুতিতে ৫-২ বিশাল ব্যবধানে হারালো পয়েন্ট টেবিলের বারো নম্বরে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসকে। অথচ ২১ মিনিটেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বর্তমান ও টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি মৌসুমে খেই হারিয়ে ফেলা সিটি জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের সন্দেহ ছিল।
কিন্তু ম্যানসিটিতে যে কেভিন ডি ব্রুইনার মতো অভিজ্ঞ এক খেলোয়াড় আছেন, তা হয়তো কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। দর্শকদের নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ দিতে খুব বেশি দেরিও করেননি ডি ব্রুইনা। ৩৩ মিনিটের গোল করে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন তিনি। পরে করেছেন দুটি অ্যাসিস্টও। শনিবার ঘরের মাঠ ইতিহাদে ব্রুইনার দ্যুতি ছড়ানোর রাতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও ৫-২ ব্যবধানের বিশাল জয় পেয়েছে ম্যানসিটি। এতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলের চারে উঠেছে পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যাচ শেষে নিজের আকাঙ্খা প্রকাশ করে ডি ব্রুইনা বলেন, ‘আমি যখন থেকে এখানে আছি তখন থেকে প্রতি বছরই আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলছি, তাই আমি আশা করি আগামী বছরও তাই হবে। আমি শুধু আগের মতোই ভালো ফুটবল খেলতে চাই।’ সিটি নিজের পায়ে বল দখলে রাখলেও কিছু ভুলের সুযোগ নিয়ে প্রথম ২১ মিনিটেই দুটি গোল করে প্যালেস। ৮ মিনিটে ইসমাইলা সার একটি ক্রস দেন, যা স্লাইড করতে গিয়ে জোসকো গভারদিওলের নাগালের বাইরে চলে যায়। ফলে বলটি প্যালেসের ইংল্যান্ড উইঙ্গার এবারেচি এজের কাছে পৌঁছে। ফাঁকা থাকা এবারেচি গোলরক্ষক এডারসনের পজিশনিং ভুলের সুযোগ নিয়ে বল জালে জড়ান। এটি চলতি মৌসুমে এবারেচির তৃতীয় লিগ গোল।
দ্বিতীয় গোল করতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি প্যালেসকে । ১৩ মিনিট পরে অ্যাডাম হোয়ার্টনের নিখুঁত কর্নার থেকে ক্রিস রিচার্ডস কাছ থেকে হেড করে প্যালেসের দ্বিতীয় গোল করেন। ২৯ মিনিটে এবারেচি আবারও গোল করেন, কিন্তু অফসাইডের ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। প্যালেসের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ৩৩ মিনিটে সিটির হয়ে প্রথম গোল করে দলকে উজ্জীবিত করেন অধিনায়ক ডি ব্রুইনা গোল করেন।
প্যালেসের দাইচি কামাডা গোলবারের ২৫ গজ দূরে নিকো গঞ্জালেজকে ফাউল করলে ডি ব্রুইনা ডান পায়ের নিখুঁত ফ্রি-কিক নেন। যা রুবেন দিয়াস এবং গঞ্জালেজের তৈরি করা দেয়াল পেরিয়ে প্যালেসের জালে প্রবেশ করে। ৩ মিনিট পরেই সিটি সমতা ফেরায়। জেমস ম্যাকঅ্যাটি বক্সে একটি ক্রস দেন, যা ডি ব্রুইনের কাছে যায়। সেখান থেকে ইলকায় গুন্দোগানকে বল দেন ডি ব্রুইনা। কিন্তু গুন্দোগান ভুলভাবে বল মারেন এবং সেটি ওমার মারমুশের কাছে যায়, তিনি সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাত্র ৮০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও গোল করে সিটি। ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট থেকে গোলটি করেন মাতিও কোভাসিচ। ৯ মিনিট পর সিটি গোলরক্ষক এডারসনের লম্বা পাস প্যালেসের রক্ষণের পেরিয়ে জেমস ম্যাকঅ্যাতির কাছে চলে যায়। অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে বক্সে ঢুকে প্যালেসের গোলরক্ষক হেন্ডারসনকে কাটিয়ে খালি জালে বল পাঠান ম্যাকআতি। এতে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। সিটির হয়ে ৭৯ মিনিটে শেষ গোল করেন নিকো ও'রেইলি। শিরোপা জেতার দৌড়ে সিটির সম্ভাবনা একদম ক্ষীণ। পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে আগামী চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলাই এখন মূল লক্ষ্য।
ভোরের আকাশ/বিব
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ৫ দিন আগে
আপডেট : ৫ দিন আগে
পিছিয়ে পড়েও ডি ব্রুইনার নৈপুণ্যে সিটির বিশাল জয়
ম্যানসিটির অভিজ্ঞ খেলোয়ার বেলজিয়াম তারকা ডি ব্রুইনার দ্যুতিতে ৫-২ বিশাল ব্যবধানে হারালো পয়েন্ট টেবিলের বারো নম্বরে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসকে। অথচ ২১ মিনিটেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বর্তমান ও টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি মৌসুমে খেই হারিয়ে ফেলা সিটি জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের সন্দেহ ছিল।
কিন্তু ম্যানসিটিতে যে কেভিন ডি ব্রুইনার মতো অভিজ্ঞ এক খেলোয়াড় আছেন, তা হয়তো কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। দর্শকদের নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ দিতে খুব বেশি দেরিও করেননি ডি ব্রুইনা। ৩৩ মিনিটের গোল করে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন তিনি। পরে করেছেন দুটি অ্যাসিস্টও। শনিবার ঘরের মাঠ ইতিহাদে ব্রুইনার দ্যুতি ছড়ানোর রাতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও ৫-২ ব্যবধানের বিশাল জয় পেয়েছে ম্যানসিটি। এতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলের চারে উঠেছে পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যাচ শেষে নিজের আকাঙ্খা প্রকাশ করে ডি ব্রুইনা বলেন, ‘আমি যখন থেকে এখানে আছি তখন থেকে প্রতি বছরই আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলছি, তাই আমি আশা করি আগামী বছরও তাই হবে। আমি শুধু আগের মতোই ভালো ফুটবল খেলতে চাই।’ সিটি নিজের পায়ে বল দখলে রাখলেও কিছু ভুলের সুযোগ নিয়ে প্রথম ২১ মিনিটেই দুটি গোল করে প্যালেস। ৮ মিনিটে ইসমাইলা সার একটি ক্রস দেন, যা স্লাইড করতে গিয়ে জোসকো গভারদিওলের নাগালের বাইরে চলে যায়। ফলে বলটি প্যালেসের ইংল্যান্ড উইঙ্গার এবারেচি এজের কাছে পৌঁছে। ফাঁকা থাকা এবারেচি গোলরক্ষক এডারসনের পজিশনিং ভুলের সুযোগ নিয়ে বল জালে জড়ান। এটি চলতি মৌসুমে এবারেচির তৃতীয় লিগ গোল।
দ্বিতীয় গোল করতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি প্যালেসকে । ১৩ মিনিট পরে অ্যাডাম হোয়ার্টনের নিখুঁত কর্নার থেকে ক্রিস রিচার্ডস কাছ থেকে হেড করে প্যালেসের দ্বিতীয় গোল করেন। ২৯ মিনিটে এবারেচি আবারও গোল করেন, কিন্তু অফসাইডের ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। প্যালেসের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ৩৩ মিনিটে সিটির হয়ে প্রথম গোল করে দলকে উজ্জীবিত করেন অধিনায়ক ডি ব্রুইনা গোল করেন।
প্যালেসের দাইচি কামাডা গোলবারের ২৫ গজ দূরে নিকো গঞ্জালেজকে ফাউল করলে ডি ব্রুইনা ডান পায়ের নিখুঁত ফ্রি-কিক নেন। যা রুবেন দিয়াস এবং গঞ্জালেজের তৈরি করা দেয়াল পেরিয়ে প্যালেসের জালে প্রবেশ করে। ৩ মিনিট পরেই সিটি সমতা ফেরায়। জেমস ম্যাকঅ্যাটি বক্সে একটি ক্রস দেন, যা ডি ব্রুইনের কাছে যায়। সেখান থেকে ইলকায় গুন্দোগানকে বল দেন ডি ব্রুইনা। কিন্তু গুন্দোগান ভুলভাবে বল মারেন এবং সেটি ওমার মারমুশের কাছে যায়, তিনি সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাত্র ৮০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও গোল করে সিটি। ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট থেকে গোলটি করেন মাতিও কোভাসিচ। ৯ মিনিট পর সিটি গোলরক্ষক এডারসনের লম্বা পাস প্যালেসের রক্ষণের পেরিয়ে জেমস ম্যাকঅ্যাতির কাছে চলে যায়। অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে বক্সে ঢুকে প্যালেসের গোলরক্ষক হেন্ডারসনকে কাটিয়ে খালি জালে বল পাঠান ম্যাকআতি। এতে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। সিটির হয়ে ৭৯ মিনিটে শেষ গোল করেন নিকো ও'রেইলি। শিরোপা জেতার দৌড়ে সিটির সম্ভাবনা একদম ক্ষীণ। পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে আগামী চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলাই এখন মূল লক্ষ্য।
ভোরের আকাশ/বিব