ব্যর্থতা সত্ত্বেও লিটনের ওপরই আস্থা রাখছেন প্রধান কোচ সিমন্স
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ভুগছেন লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজে একমাত্র ওয়ানডেতে শূন্য রান এবং প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬ রানে আউট হয়ে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
তবুও তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন প্রসঙ্গে আশাবাদী কণ্ঠে কথা বলেন তিনি।
সিমন্স বলেন, “আপনিই তো তার পারফরম্যান্স নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে দিলেন (হাসি)। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে লিটনের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক নিচে। তবে আমরা জানি, ওর সামর্থ্য কতটা। আমরা তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি এবং চেষ্টা করছি তাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে। আশা করছি, সে আগামী ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারবে।”
দলের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিমন্স বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগের ম্যাচে যেখানে খারাপ করেছি, সেসব জায়গায় উন্নতি করা। আমাদের আরও বেশি রান করতে হবে এবং বিশেষ করে প্রথম ছয় ওভারে আরও ভালো বোলিং করতে হবে। যদি প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়তে চাই, তাহলে এসব জায়গায় উন্নতি আনতেই হবে। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা নিয়ে কাজ করেই যাচ্ছি।”
ডাম্বুলার মাঠ ও কন্ডিশন নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক মাঠেই আমাদের খেলোয়াড়রা আগে খেলেনি। এখানে উইকেট ভালো, গ্রাউন্ড বড়—এই ভিন্ন ধরনের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ক্যান্ডিতে আমরা এ নিয়ে কাজ করেছি। মিরপুরের তুলনায় এখানের বড় মাঠে কীভাবে বেশি রান তোলা যায়, সেটা নিয়েও পরিকল্পনা করছি। আজ আবারও মাঠ পরিদর্শন করে কালকের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব।”
প্রধান কোচের বক্তব্যে স্পষ্ট, ব্যর্থতার মধ্যেও লিটনের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন না টিম ম্যানেজমেন্ট। এখন দেখার পালা, লিটন নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কি না মাঠের পারফরম্যান্সে।
কালের সমাজ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। তবে এই টুর্নামেন্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এসব বিষয় নির্ধারণের লক্ষ্যে আগামী ২৪ জুলাই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়—ভারত অংশ না নিলেও সভা বাংলাদেশেই আয়োজন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন,“আমরা ঢাকায় এসিসির নির্বাহী সভা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। সভাটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি, সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত থাকবেন।”তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতিনিধি এই সভায় অংশ নেবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে মিঠু বলেন,“বিসিসিআই প্রতিনিধি আসবেন কি না, সেটি পুরোপুরি তাদের বোর্ড ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আমরা অবশ্যই তাদের অংশগ্রহণ আশা করছি। তবে তারা যদি সরাসরি না আসেন, তাহলে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ তাদের জন্য রাখা হয়েছে।”এর আগে, ভারত বাংলাদেশে এসিসির সভা আয়োজন নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় প্রতিনিধি উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক, সভা ঢাকাতেই আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এসিসি।উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ আয়োজন, সূচি, ভেন্যু, সম্প্রচার স্বত্বসহ নানা বিষয়ে এই নির্বাহী সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।কালের সমাজ//হ.র
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ভুগছেন লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজে একমাত্র ওয়ানডেতে শূন্য রান এবং প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬ রানে আউট হয়ে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।তবুও তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন প্রসঙ্গে আশাবাদী কণ্ঠে কথা বলেন তিনি।সিমন্স বলেন, “আপনিই তো তার পারফরম্যান্স নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে দিলেন (হাসি)। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে লিটনের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক নিচে। তবে আমরা জানি, ওর সামর্থ্য কতটা। আমরা তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি এবং চেষ্টা করছি তাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে। আশা করছি, সে আগামী ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারবে।”দলের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিমন্স বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগের ম্যাচে যেখানে খারাপ করেছি, সেসব জায়গায় উন্নতি করা। আমাদের আরও বেশি রান করতে হবে এবং বিশেষ করে প্রথম ছয় ওভারে আরও ভালো বোলিং করতে হবে। যদি প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়তে চাই, তাহলে এসব জায়গায় উন্নতি আনতেই হবে। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা নিয়ে কাজ করেই যাচ্ছি।”ডাম্বুলার মাঠ ও কন্ডিশন নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক মাঠেই আমাদের খেলোয়াড়রা আগে খেলেনি। এখানে উইকেট ভালো, গ্রাউন্ড বড়—এই ভিন্ন ধরনের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ক্যান্ডিতে আমরা এ নিয়ে কাজ করেছি। মিরপুরের তুলনায় এখানের বড় মাঠে কীভাবে বেশি রান তোলা যায়, সেটা নিয়েও পরিকল্পনা করছি। আজ আবারও মাঠ পরিদর্শন করে কালকের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব।”প্রধান কোচের বক্তব্যে স্পষ্ট, ব্যর্থতার মধ্যেও লিটনের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন না টিম ম্যানেজমেন্ট। এখন দেখার পালা, লিটন নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কি না মাঠের পারফরম্যান্সে।কালের সমাজ//হ.র
লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ডিউক বল নিয়ে ফের বিতর্কের জন্ম হয়েছে। মাত্র ১০.৩ ওভার পর দ্বিতীয় নতুন বল বদলানোয় অসন্তুষ্ট হয় ভারতীয় শিবির। বিশেষ করে, প্রথম দফায় নতুন বলে যশপ্রীত বুমরার দুর্দান্ত বোলিং প্রথম ১৪ ডেলিভারিতে ৩ উইকেট এর পর বল বদলের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন ভারতীয়রা। বল বদলের পর পুরো সেশনেই ইংল্যান্ডের ৭ ও ৯ নম্বর ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি ভারত।বলের কার্যকারিতা নিয়ে অসন্তোষ: ইএসপিএনক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, পুরোনো বলটি গড়পড়তা ১.৮৬৯ ডিগ্রি সুইং ও ০.৫৭৯ ডিগ্রি সিম মুভমেন্ট করছিল। বদলি বলের সুইং কমে দাঁড়ায় মাত্র ০.৮৫৫ ডিগ্রি, যদিও সিম কিছুটা বেড়ে হয় ০.৫৯৪ ডিগ্রি। মূলত বলটি দ্রুত নরম হয়ে যাওয়াতেই ভারতের অসন্তোষ। অধিনায়ক শুভমন মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, দাবি করেন আম্পায়ারদের বেছে নেওয়া বলটি আগেরটার চেয়ে বেশি পুরোনো ছিল। ৮ ওভার পর সেই বলও আবার বদলানো হয়।সাবেক ক্রিকেটারদের ক্ষোভ: ধারাভাষ্যকক্ষে কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলেন, এটা কোনো ১০ ওভার বয়সী বল নয়, অন্তত ২০ ওভার খেলা বলের মতো লাগছে। যদি ভারতে এমন হতো, ব্রিটিশ মিডিয়া বিশাল কাণ্ড বাঁধিয়ে দিত। ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ২০২০ সালেই অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রায় প্রতিটি ইনিংসেই বল বদলাতে হচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ডিউকসের সত্যিই একটা সমস্যা আছে, ওদের এটা ঠিক করতে হবে।স্কাই স্পোর্টসে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেইন বলেন, ডিউকস বল নিয়ে গুরুতর সমস্যা আছে। কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, বল খুব তাড়াতাড়ি আকার হারাচ্ছে। এখন খুব সহজেই বল বদলে ফেলি, অথচ একটু পুরোনো বা নরম হওয়া স্বাভাবিক।বিতর্কের মূল কারণ: বল দ্রুত নরম হয়ে যাওয়া, আকৃতি পরিবর্তন এবং কার্যকারিতার ঘাটতি। আম্পায়ারদের বেছে দেওয়া বদলি বলের মান নিয়ে প্রশ্ন। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মতে, ডিউক বলের মানোন্নয়ন জরুরি একটা বল ৮০ ওভার টিকে থাকার কথা, ১০ ওভার নয়।এই বিতর্কে ক্রিকেটবিশ্বে ডিউক বলের মান ও ব্যবহার নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধান দাবি করছেন খেলোয়াড় ও বিশ্লেষকরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বৃষ্টিভেজা ক্যারিয়াচিকার ক্লেবার আন্দ্রাদে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে এক অন্যরকম ফুটবল রাত উপহার দিলেন ব্রাজিল ফুটবলের রাজপুত্র নেইমার। দীর্ঘদিনের বিরতির পর ফিরে আসা এই তারকা নতুন হেয়ারস্টাইলে মাঠে নামেই দেখিয়ে দিলেন, তার জাদু এখনও অক্ষুণ্ণ।ভিটোরিয়া কাপের সান্তোস বনাম দেসপোর্তিভা ফেরোভিয়ারিয়ার প্রীতি ম্যাচে নেইমার প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে দুর্দান্ত একটি গোল করেন, এরপর আরও একটি গোল ও একটি চোখ ধাঁধানো ‘নাটমেগ’ উপহার দেন দর্শকদের। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরবোর্ডে ছিল সান্তোসের ২-০ লিড।নেইমারের উপস্থিতি ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার ঢেউ তোলে, স্টেডিয়াম ছিল প্রায় হাউসফুল। মাঠে তার প্রতিটি স্পর্শ এবং চাল ছিল ভক্তদের জন্য এক উদযাপন।২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর এটি ছিল নেইমারের প্রথম ম্যাচ। শুরু থেকেই তিনি জানান—এই দলেই তার হৃদয়। গোল করা, খেলা নিয়ন্ত্রণ করা আর ভক্তদের মাতানো তারই ধরন।নেইমারের পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন গিলহেরমে, যিনি এবার সান্তোসের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৩ গোল)। দুইজনের মধ্যে এক নতুন আগুন ছড়িয়েছে মাঠে।বৃষ্টি সত্ত্বেও স্ট্যান্ড ভর্তি ছিল উন্মুখ দর্শক নিয়ে, যারা পেয়েছেন এক অনন্য ফুটবল সন্ধ্যা—গোল, নাটমেগ এবং নেইমারের মায়াময় ছোঁয়া।আগামী ১৬ জুলাই সান্তোস মুখোমুখি হবে ফ্লামেঙ্গোর, যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি। অপরদিকে, দেসপোর্তিভার সামনে রয়েছে ১৩ জুলাই রিও ব্রাঙ্কোর বিপক্ষে কোপা এসপিরিতু সান্তোর কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি ম্যাচ।ভোরের আকাশ//হ.র