ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্দিবিনিময়
একজন করে বন্দী বিনিময় করেছে পাকিস্তান ও ভারত। দুজনই দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বুধবার (১৪ মে) আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত দিয়ে অসাবধানতাবশত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ান পূর্ণম কুমার শ। পাকিস্তান তাদের হাতে আটক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানকে আজ সকালে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত।
৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পরদিন সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে চলে যান। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ওই হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ণম কুমার ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন। বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উভয় দেশের নিয়ম অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও দুই দেশের রীতি মেনে হয়েছে বলে দুই দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
একজন করে বন্দী বিনিময় করেছে পাকিস্তান ও ভারত। দুজনই দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বুধবার (১৪ মে) আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় হয়েছে।গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত দিয়ে অসাবধানতাবশত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ান পূর্ণম কুমার শ। পাকিস্তান তাদের হাতে আটক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানকে আজ সকালে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত।৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পরদিন সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে চলে যান। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ওই হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ণম কুমার ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন। বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উভয় দেশের নিয়ম অনুযায়ী এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও দুই দেশের রীতি মেনে হয়েছে বলে দুই দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে। আমরা বাংলাদেশে অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে জোরালো সমর্থন জানাই।এর আগে, গত শনিবার শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ওই দিন রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামি লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।পরে সোমবার বিকেলের দিকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।ভারতের টার্গেট ছিল, কোনোভাবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হবে। তবে ছাত্র-জনতার চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করায় আওয়ামী লীগের পক্ষে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। বিষয়টি ভারতকে চরমভাবে হতাশ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।প্রসঙ্গত, গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ভারত সে দেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। সূত্র: বিবিসি ভোরের আকাশ/এসআই
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখনো কমেনি। যার ফলে আজও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ৮টি শহরের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ভারতের উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো।মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স মঙ্গলবার সাতটি সীমান্তবর্তী শহরে তাদের ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এই শহরগুলো হলো শ্রীনগর, জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, জোধপুর এবং রাজকোট। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা জম্মু, লেহ, জোধপুর, আমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে ও তাদের দিকে যাওয়া ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইন্ডিগোও জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর এবং রাজকোটের ফ্লাইট বাতিল করেছে।এর আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার, তবে সোমবার থেকই ওই সব বিমানবন্দরই আবার চালু করে দেওয়া হয়েছিল।মূলত যেসব বিমানবন্দর সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যেই রয়েছে সেইসব বিমানবন্দরও যেখানকার বিমান বাতিল করার কথা জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ১১ জন সেনা সদস্য এবং ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ সেনা। মঙ্গলবার (১৩ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা হতাহতের সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে নিন্দনীয় কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে।আইএসপিআর বলছে, ‘এই বর্বর হামলায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু। এ ছাড়া আরও ১২১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ১০ জন নারী এবং ২৭ জন শিশু।’ এই ভয়াবহ আগ্রাসনের জবাবে পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং জানিয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী মারকা-ই-হকের পতাকাতলে দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে। অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুসের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এবং উন্নত প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তাদের বাহিনী।বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১১ জন সদস্য অনুকরণীয় বীরত্বের সাথে মাতৃভূমি রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন এবং ৭৮ জন আহত হন। জানা গেছে, নিহত সেনারা সবাই ১০ মে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে আইএসপিআর।পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিহতরা হলেন: নায়েক আব্দুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লাহ, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর, সিপাহী নিসার। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যরা হলেন: স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, প্রধান টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক, সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।আইএসপিআর জানিয়েছে, শহীদদের মহৎ আত্মত্যাগ সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের এক স্থায়ী প্রতীক - যা জাতির স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই করা আছে। এর আগে রোববার (১১ মে) এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে তাদের পাঁচজন সৈন্যকে হারিয়েছে তারা।পেহেলগামের হামলার পর ভারতের অভিযোগের তীর ছিল পাকিস্তানের দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান চালায় ভারত। এরপর পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা, সীমান্তে গোলাগুলি এবং বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় থামে দু’দেশের মধ্যকার সংঘাতময় পরিস্থিতি।ভোরের আকাশ/আজাসা