কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার মামলায় রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আল মামুন আরজুকে (৪৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার কাজীবাধা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।শুক্রবার (২৩ মে) দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার রায়নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই বিকেলে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী দাবিতে রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা অবস্থান নেন।এ সময় একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়, যাতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে ৩০ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন।মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আল মামুন আরজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৫ মে ২০২৫ ০২:৫৬ এএম
গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ হাসান আর নেই
ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মোহাম্মদ হাসান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মোহাম্মদ হাসানের পরিবারের বরাত দিয়ে ফেসবুক পোস্টে জানান উমামা ফাতেমা।জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের সময় সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ হাসান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পরও তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।৫ আগস্ট টাইগারপাসে আন্দোলনের সময় মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয় যা সম্ভাব্য ব্রেইন ড্যামেজের কারণ হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার খাদ্যনালি ও কণ্ঠনালি এক করে লাইফসাপোর্ট দেওয়া হয়। এ সময় ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে তার মস্তিষ্কে, এবং শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৩ মে ২০২৫ ০৫:৩৭ পিএম
হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে তার দল থেকে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ পাঠানো হয়।নোটিশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২০ মে) ধানমণ্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ওই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনজনিত কারণে অব্যহতি প্রদান করা হয়। এতদ্বসত্ত্বেও, আপনি সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনের মুচলেকা প্রদান করে থানা থেকে তাদেরকে জামিন করিয়েছেন।নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত বিবরণ আগামী তিন দিনের মধ্য শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।হান্নান মাসউদের ব্যাখ্যা : এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে হান্নান মাসউদ এর কারণ ব্যাখ্যা করেন।সেখানে হান্নান মাসউদ লেখেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআ’র আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মবসৃষ্টির চেষ্টাকালে, যার ফলে বৈবিছাআ’র পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল।’‘এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি। যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেননি এবং করতেও চাচ্ছিল না।’প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিলেন, যেটি পরবর্তীতে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত আটক করা হবে।’ডিএমপিকে তাদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে বলেও লেখেন হান্নান মাসউদ।এর আগে সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে একজন পাবলিসার্সকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তার বাসার সামনে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।পরে মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি মডেল থানার ওসি ক্যশৈনু।এই প্রসঙ্গে হান্নান মাসুদ বলেন, ‘এমনি খোঁজ-খবর নিতে এসেছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটা মীমাংসা করা হলো। এই ঘটনায় বাইরের অনেকেই জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’ভোরের আকাশ/আজাসা