শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ০৩:৫৪ পিএম
ছবি- ভোরের আকাশ
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে একশ্রেণির অবৈধ বালুখেকো কর্তৃক বালু মহলের নামে উত্তোলিত বালু ব্যক্তি মালিকানা জমিতে এবং কৃষি জমিতে রাখায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা কর্মসূচি মানববন্ধন পালন করেছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এক মানববন্ধন হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কৃষকেরা কৃষক বাঁচাও, অবৈধ বালুখেকো হটাও লেখা ব্যানার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। এতে তারা ৭ দফা দাবিসমূহ তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে-
১। বিগত ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার গেজেট কর্তৃক প্রকাশিত “ড্রেজিং ও ড্রেজিং ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫" এর অনুচ্ছেদ ৬.০.৭ এর আলোকে বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ভাড়া প্রদান করতে হবে।
২। "ড্রেজিং ও ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫" এর অনুচ্ছেদ ৭.২.১-এর বিধান জনস্বার্থে আবশ্যিকভাবে পালনপূর্বক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনামূল্যে ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
৩। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে খননকৃত বালি রাখার প্রয়োজন হলে,- জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অবশ্যই জমির মালিক ও সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাধ্যতামূলক ৩০০ টাকার স্টাম্পে চুক্তি করতে হবে। উক্ত চুক্তি পরবর্তী বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ব্যবহার করতে পারবে।
৪। চুক্তিপত্র ব্যতিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তিগত/বেসরকারি জমিতে বালি স্তূপ করলে। উক্ত বালি জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টেন্ডারে বিক্রি করতে পারবে না। চুক্তিপত্র ব্যতিত ব্যক্তিগত জমিতে বালি ফেললে স্লোগান হবে- "জমি যার বালি তার"।
৫। ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে প্রকাশিত টেন্ডার অনুযায়ী বেসরকারি বা ব্যক্তিগত জমির মালিক যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত এবং অদ্যাবধি কোনো ক্ষতিপূরণ বা ভাড়া যেহেতু পায়নি, সেহেতু সরকারি মূল্য পরিশোধ পূর্বক বেসরকারি বা ব্যক্তিগত জমির মালিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিতে পারবে। যদি কেউ অনীহা প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে।
৬। কৃষকের জমির ভাড়া/ক্ষতিপূরণ প্রদান না করা পর্যন্ত, জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিগত ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে প্রকাশিত- "বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃক ড্রেজিংকৃত বালু/মাটি বিক্রয়ের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি” স্থগিত করতে হবে।
৭। বেসরকারি বা ব্যক্তিগত জমির মালিকগণ, যাদের জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বালি স্তূপ করে রাখা তাদেরকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান না করেই যদি অত্র টেন্ডার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে এবং তাতে যদি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ডাইকে যদি অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সূত্রপাত হয়। তাহলে, তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে বালি টেন্ডারকারী কর্তৃপক্ষের উপর বর্তাবে।
পরে দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুরনসহ বিভিন্ন দাবি সম্মিলিত এক স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.