মাজাহারুল ইসলাম
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম
ছবি- সংগৃহীত
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোটের আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার পরিবর্তে আরো মতানৈক্য বাড়ছে- এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের দৃষ্টিতে, সরকারের দেওয়া এক সপ্তাহের সময়সীমা গত রোববার শেষ হলেও সংস্কার নিয়ে গণভোটের সময়সূচি, বাস্তবায়নের আদেশ ও নোট অব ডিসেন্টের বিষয়ে কোনো দলই অবস্থান বদলায়নি। উল্টো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকা দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি আরও স্পষ্ট হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে- মনে করছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি অভিযোগ, সংস্কার ও গণভোট চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট হতে পারবে না বলে সরকারকে দাবি জানিয়েছে দলটির শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে, নির্বাচনের আগেই গণভোট-এই দাবিতে কঠোর হুসিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থি আট দল। গণভোট ঘিরে তৈরি হওয়া বিরোধ নিরসনে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জোর দাবি করে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কাজেই জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। এই সংকট সমাধান এখন সরকারকেই করতে হবে- ভাবছেন রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
সদ্য বিলুপ্ত ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে বলা নেই, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ কে জারি করবে ও গণভোট কখন হবে। এই দুই সিদ্ধান্ত তারাও সরকারের ওপর দিয়েছে। যার ফলে শেষমেষ চাপটা সরকারকেই নিতে হচ্ছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, গণভোট হবে আদেশের ওপর। গণভোটে তা অনুমোদিত হলে আগামী নির্বাচনে দ্বৈত ভূমিকার সংসদ গঠন হবে। সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত কনস্টিটুয়েন্ট ক্ষমতার ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ সনদ বাস্তবায়ন করবে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সরকার নিজ উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকারের সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৈরি খসড়া আদেশ চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সমঝোতা না হওয়ায় সরকারই ঠিক করবে আদেশে কী কী থাকবে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তা উত্থাপন করা হতে পারে। গণভোট কখন হবেÑ এ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
একাধিক উপদেষ্টা বলেছেন, গোপনীয়তায় আদেশ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। উপদেষ্টারাও জানেন না, এতে কী কী থাকছে। জুলাই সনদের বাইরে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে ‘সনদে স্বাক্ষরকারী’ কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরও অমীমাংসিত বিষয়গুলো গায়ের জোরে চাপিয়ে দিতে চাইলে এর দায় বিএনপি নেবে না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণ মানুষ বোঝেন না এবং বিএনপিও এটা গ্রহণ করবে না। পিআর হলো ‘বিভ্রান্ত করা’ এবং ‘ভোট পেছানো’ মনে করছেন দলটির মহাসচিব।
তিনি বলেন, জোর করে হামাক পিআর চাপাই দিবা চাহাছে। পিআর বুঝেন? মুই বুঝিনা। আমরা এটা চিনি না আমরা দীর্ঘকাল শত বছর ধরে ভোট দিয়ে আসতেছি। মোর ক্যান্ডিডেট দাঁড়াবে তাকে তার মার্কা দেখে ভোট দিব। এটাই তো হয়ে আসছে।
জামায়াতে ইসলামীর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা পিআর আইন করতে চাইছে। তিনি মনে করেন, এগুলো হচ্ছে শুধু বিভ্রান্ত করা, ভোট পিছানো।
মির্জা ফখরুল বলেন, এবার যদি নির্বাচনটা পিছিয়ে যায় তাহলে এই দেশটা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বিএনপি কেবল ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর পক্ষেই থাকবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত বিষয়াদির বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্য বাধকতা থাকবে না। সেই ক্ষেত্রে সকল দায় দায়িত্ব সরকারের উপরই বর্তাবে। এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবৎ আলোচনার ভিত্তিতে কতিপয় নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ বিগত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয় এবং দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সকলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনো কোনো বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যে সব বক্তব্য দিচ্ছেন তা বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্যেরভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত আগ্রাহ্য করার সামিল।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নিজেদের সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, যাদের যে কথা বলার এখতিয়ার নাই তারা সেই কাজ করছে, অসাংবিধানিক কাজ করছে, বেআইনি কাজ করছে। শেখ হাসিনা সংবিধান, আইন মানত না। এখনও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংবিধান, আইন মানতে চায় না।
তিনি বলেন, কেউ কেউ রাস্তায় নেমে জোর করে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চান। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। যারা রাস্তায় নেমে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্যেরভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করলে সব দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সাংবিধানিক আদেশ জারির বিষয়ে তাদের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল না। তিনি বর্তমান সংবিধানের প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের আদেশ জারির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান গৃহীত হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির আর কোনো বিধান রইলো না, সেটা বিলুপ্ত হলো।
তিনি আরও বলেন, এখন যদি কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করা হয় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, তবে সেটা আইন হবে না।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের ওপরে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য তারা রাজি হয়েছিলেন। তবে সরকার আলোচনার জন্য আহ্বান জানালে, সে ক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে- তবে রাজপথে নয়।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তির পাটাতন তৈরি হবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি না হলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আর জাতীয় নির্বাচনের বৈধতার জন্য গণভোটের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারির আগেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, জুলাই সনদে জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের দাবি পূরণ না করতে পারছি, ততক্ষণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণভোট না হলে জাতীয় নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে।
আযাদ আরও বলেন, কেউ কেউ বলেন সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারই সংবিধান সংশোধন করে গণভোটের ধারা বাতিল করেছে। এখন যারা বলেন সংবিধানে গণভোট নেই, তারা কি তাহলে হাসিনার সুরে কথা বলেন না?
জামায়াতের এই নেতা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংকট সমাধানের পথ জনগণ বন্ধ করেনি, সরকারই রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে আলোচনা ও সমঝোতার দরজা বন্ধ করেছে।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে, সংকট আরও গভীর হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা চাপ তৈরির রাজনীতি করছে এবং রাজনৈতিক কৌশলে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটলে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। দলগুলো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালে সেটা দেশের জন্য ভালো হবে। কিন্তু তা না হলে বাংলাদেশ নতুন সমস্যায় পড়বে। সেটার সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনের ওপর মনে করছেন তিনি।সরকারের এমন ভূমিকার সমালোচনা করেছে সনদে সই না করা এনসিপি। দলটি বলছে, উপদেষ্টারা এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণভোট ঘিরে বিরোধ নিরসনে সিদ্ধান্ত সরকারেরই নিতে হবে।’
দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘যে ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার ক্ষমতায়, এর অন্যথা করা যাবে না। জনগণের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি, ফলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হচ্ছে।
কী সেই পদক্ষেপ, তা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জানানোর আশা দিয়েছেন তিনি বলেন, সব দলের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, ভালো কিছু হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা থাকলেও সরকারও প্রস্তুতি রেখেছিল জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রত্যাশা করেই বসে থাকিনি। সরকার নিজেদের মতো কাজ করেছে। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে। একটি বইয়ের মধ্যে কতগুলো ভালো ভালো কথা লিখে রাখলেই সবকিছু ভালো হয়ে যাবে না। সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য কমিশন এত আলোচনা করেছে, অথচ সংস্কার নেই, পণ্ডশ্রম হয়েছে, এমন দোষ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অপপ্রচারের মাত্রা এমন জায়গায় চলে গেছে যে ২৫ লাখ টাকা খাবারের বিল বানিয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। সবকিছুতে সীমা থাকা উচিত।
সংস্কার ভাবনার ক্ষেত্রে সবকিছু সংবিধানের মধ্যে আটকে গেছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, একদল মানুষ পাগল হয়ে গেছে। মানে, সমস্ত সংস্কার শুধু সংবিধানে করলেই হবে। অন্য সংস্কার কোনো কিছুই ইম্পর্ট্যান্ট না। আমাদের এই দেখার মানসিকতার একটু পরিবর্তন প্রয়োজন আছে।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সবার মানসিকতার পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজে আসে না, এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, একটি বইয়ের মধ্যে কতগুলো ভালো ভালো কথা লিখে রাখলেই সবকিছু ভালো হয়ে যাবে না। সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয়।
আইন মন্ত্রণালয়ে ‘বড় বড় কাজ’ হয়েছে দাবি করে আসিফ নজরুল বলেন, চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছে, আমারটা আমি খুব ভালো জানি। আমারটা বলছি, যেখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সংস্কার ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে, যে জিনিসটা হয়েছে, সেটা কেউ লক্ষ করে না। যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে হাহাকার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ