ছবি : সংগৃহীত
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১০০ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়।
ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। অপর দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য সক প্রস্তুতি সম্পর্ণ করেছে আমদানিকারকরা।
হিলির বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েখ জন ক্রেতা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশেই তো পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। কিন্তু দেশের মোকামে কিছু কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দেয়। এতে করে আমাদের সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। তাহলেই খুচরা বাজারে দাম কমে আসবে। ইতি মধ্যে কিছুটা দাম কমেছে, তবে দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকার মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে করে আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি এবং কম দামে খুচরা বাজারে বিক্রিও করছি। বর্তমানে হিলির বাজারে প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রনালয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মোক্ত কে দেওয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ আগস্ট থেকে ভারত হতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও বাড়ছে চাপ ভোক্তাদের ওপর। গত এক সপ্তাহ ধরে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে দাম কিছুটা কমলেও কমেনি দামের ঝাঁজ। সয়াবিন তেলও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। পুরোনো পেঁয়াজের দামে চড়া ভাব বজায় রয়েছে। তবে স্বস্তির জায়গা হলো—সবজির বাজার তুলনামূলক নিম্নমুখী, ডিমের দামও আগের চেয়ে কম।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মুগদা, শ্যামপুর, সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। যদিও এখনও নাগালের বাইরে রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, মাসের শেষ দিকে সবজির দাম আরও কমতে পারে।ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কয়েকবার চেষ্টা করার পর ৭ ডিসেম্বর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়েছে। নতুন দরে এখন এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়, আর ৫ লিটার ৯৫৫ টাকায়।এদিকে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে ১৫০ টাকার পিঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ঢুকতে শুরু করলেও দাম খুব একটা কমছে না। কেজিতে ১১০–১২০ টাকা। পুরোনো পেঁয়াজের দাম আরও বেশি— ১৩০-১৪০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে।বাজারে নতুন আলুও এসেছে। তবে দাম এখনও বেশি। নতুন সাদা আলু কেজিতে ৪০–৫০ টাকা, আর নতুন লাল আলু ৭০ টাকার আশেপাশে। কয়েক দিন আগেও এসব আলুর দাম ছিল একশ’ টাকার ওপরে। সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। পুরোনো আলু পাওয়া যাচ্ছে ২০–২৫ টাকায়।এদিনের বাজার ঘুরে জানা যায়, বেশিরভাগ সবজির দাম এখনো প্রতি কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। অন্যদিকে, মাছের দামেও কোনো স্বস্তি নেই।মাঝারি আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও, বেগুন, গাজর, শসা, কাঁচা মরিচ এবং নতুন আলু প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, ঝিঙা ও শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং বরবটি ও করলা ১০০ টাকার ঘরে রয়েছে। অন্যদিকে, মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারি) ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা এবং বড় চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এই চড়া দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের বাজেটের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছে।এদিকে বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা আমিল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, শীত আসলে সবজির দাম কমে যাওয়ার কথা, কিন্তু এবার উল্টো। দাম বেশি হওয়ায় আগে যেসব সবজি এক কেজি করে কিনতাম, এখন তার অর্ধেক কিনতে হচ্ছে। পরিবারের বাজেট সামলানো কঠিন।মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা শহিদুল ইসলামের ভাষ্য, বছরের সব সময় ধরেই মাছের দাম খুব বেশি থাকে। এত বেশি দামে মাছ কিনে খাওয়া সাধারণ ক্রেতাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য।অন্যদিকে, বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ ঘাটতি এবং পরিবহন ব্যয়ের কথা। মালিবাগ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আসাদ আলী জানান, পাইকারি বাজারেই সরবরাহ কম, ফলে আমরা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছি।বাজার বিশ্লেষকদের মতে, শীতের শুরুতেই সবজির বাজার চড়া থাকায় ক্রেতাদের খরচ বেড়ে গেছে। মৌসুমি সবজি উঠলেও সমন্বিত বাজার ব্যবস্থাপনা এবং নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত না হলে এই উচ্চমূল্যের চাপ ভোক্তাদের বয়ে বেড়াতেই হবে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই উচ্চমূল্যের চাপ রয়ে যাবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়। ঢাকায় অধিকাংশ মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্তকরণসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, দাবি না মানা হলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি (এমবিসিবি) এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়ীদ পিয়াস বলেন, রোববার সকাল থেকেই সারাদেশে দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিটিআরসির সামনে জড়ো হচ্ছেন এবং সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়িত হলে লাখো ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের দাবি, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে কেবল একটি বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধা পাবে এবং করের বোঝা বাড়ায় গ্রাহক পর্যায়েও মোবাইল ফোনের দাম বৃদ্ধি পাবে।ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার ৭০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার যাদের হাতে, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেই এনইআইআর চালু করা উচিত। তারা এনইআইআরের বিরোধী নন—তবে কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি, সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত প্রতিযোগিতার স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের মতামত না শুনেই একতরফাভাবে এনইআইআর চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে।তাদের অভিযোগ, কোনো পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ এনইআইআর বাস্তবায়নের ঘোষণা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এর ফলে প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। বৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তারা—এবং বর্তমানে তাদের স্টকে কোটি কোটি টাকার হ্যান্ডসেট রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক অবিক্রিত হ্যান্ডসেট বিক্রি করা সম্ভব নয়। দাবি না মেনে কিছু ব্যবসায়ীকে একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া হলে তারা পথে বসবেন বলেও দাবি করেন।এমবিসিবির নেতারা জানান, এনইআইআরের বর্তমান কাঠামো অপরিবর্তিত থাকলে শুল্ক ৫৭ শতাংশ হোক কিংবা শূন্য শতাংশ—কোনোভাবেই বৈধ উপায়ে মোবাইল ফোন আমদানি সম্ভব হবে না। কারণ বিটিআরসির নীতিমালায় বলা আছে, কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড যদি স্থানীয়ভাবে পণ্য সংযোজন করে, তবে সেই ব্র্যান্ডের কোনো মডেল অন্য প্রতিষ্ঠান আমদানি করতে পারবে না।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই নীতিমালা বাজারে মনোপলি ব্যবসার পথ খুলে দিচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মোবাইল ফোন বাজারের নিয়ন্ত্রণ গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাবে। একই সঙ্গে স্মার্টফোনের দাম বেড়ে গিয়ে সাধারণ গ্রাহক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১০০ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়।ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। অপর দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য সক প্রস্তুতি সম্পর্ণ করেছে আমদানিকারকরা।হিলির বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েখ জন ক্রেতা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশেই তো পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। কিন্তু দেশের মোকামে কিছু কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দেয়। এতে করে আমাদের সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। তাহলেই খুচরা বাজারে দাম কমে আসবে। ইতি মধ্যে কিছুটা দাম কমেছে, তবে দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকার মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।হিলি বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে করে আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি এবং কম দামে খুচরা বাজারে বিক্রিও করছি। বর্তমানে হিলির বাজারে প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রনালয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মোক্ত কে দেওয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ আগস্ট থেকে ভারত হতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দেশের বাজার সহনীয় রাখতে আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে।শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে যে সব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।জানা গেছে, মাসখানেক আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার মতো বেড়ে যায় দাম। প্রতি কেজির দর ওঠে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দর কিছুটা কমতে থাকে। ধীর ধীরে কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় নেমে আসে।গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। নতুন পেঁয়াজও শিগগিরই বাজারে চলে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের এমন পদক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদার ব্যবসায়ীরা। ফলে ফের দাম বাড়ছে।তবে টিসিবির হিসাবে, গত বছরের চেয়ে এখনও ১০ শতাংশ কম দর রয়েছে পেঁয়াজের। এদিকে বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ না এলেও পাতাযুক্ত পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা হবে না এমন খবরে দর বেড়েছে। মজুতদার ও কৃষক পর্যায়ে দর বাড়ার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত ৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বাজারে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। তারপরও যদি আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.