রাকসুর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক নজরুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন-২০২৫ এর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এক জরুরি বৈঠকে এ নিয়োগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম পূর্ব থেকেই অন্যতম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করার পর শূন্য পদে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হককে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আমজাদ হোসেন পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। উপাচার্য সেটি গ্রহণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদটি শূন্য হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।নির্বাচন কমিশন জানায়, এবারের রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৮৬০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসু নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয় তুলে ধরে। কমিশন জানায়, ভোটাররা তিন ধাপের যাচাই শেষে ভোট দিতে পারবেন। প্রতিটি ধাপে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, কারচুপি ঠেকাতে শুধু অমোচনীয় কালি নয়, আমরা থ্রিডি লেভেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রথম ধাপে যাচাই করা হবে ভোটারের শিক্ষার্থী আইডি কার্ড, দ্বিতীয় ধাপে দেখা হবে ইউনিক আইডি নম্বর, এবং তৃতীয় ধাপে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা থেকে যাচাই শেষে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।তিনি আরও জানান, কোনো ধাপে সন্দেহ দেখা দিলে ভোটারের তথ্য বিশেষ কিউআর কোড স্ক্যান করে যাচাই করা হবে।প্রযুক্তিনির্ভর ভোটগ্রহণ ও গণনাভোটগ্রহণে ব্যবহার করা হচ্ছে ওএমআর মেশিন ও বিশেষ সফটওয়্যার। ছয়টি মেশিন ও সমপরিমাণ স্ক্যানারের মাধ্যমে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। নির্বাচন কমিশনের আশা, ভোটগ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, "আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং বিতর্কমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে চাই। প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।"ব্যালট পেপার ছাপা ও নিরাপত্তানির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। প্রতিটি ভোটারের জন্য পৃথক সিরিয়াল নম্বরযুক্ত ব্যালট প্রস্তুত করে তা গোপনীয়তা রক্ষা করে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, "ব্যালট পেপার মুদ্রণ থেকে বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট মুদ্রণ করা হয়নি।"নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা ভোটনির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে ২,৩০০ পুলিশ সদস্য, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি। সহায়তায় থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের স্বেচ্ছাসেবক দল। ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।বুধবার থেকেই শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র বা পাসকোড ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে আমরা পরিকল্পনা করেছি। সাইবার জগতেও আমরা সজাগ রয়েছি, যাতে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, সে জন্য আমাদের একটি আলাদা সাইবার টিম কাজ করছে।"তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিন সাতটি প্রবেশপথ খোলা থাকবে, যেখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কেউ যদি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোট পরিচালনায় প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারাভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন ২১২ জন শিক্ষক, যাঁদের আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।ফলাফল প্রস্তুতিতে বিশেষ কমিটিভোটের ফলাফল তৈরিতে রয়েছে ৪৩ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, "আমরা ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রাকসুতে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আরও সতর্ক হয়েছি। তাড়াহুড়ো করে ভুল বা অগ্রহণযোগ্য কোনো ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।"পর্যবেক্ষণে প্রশাসনের কমিটিনির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত হয়েছে ১০ সদস্যের একটি কমিটি। এই কমিটির সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। গত ৬৩ বছরে মোট ১৪বার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নেতৃত্বে ফিরেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে৪টায় সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবিরের মো. ইব্রাহিম হোসেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিলের শিক্ষার্থী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্যানেলের সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটাররা নির্বাচনে অসাধারণ উৎসবমুখর অংশগ্রহণ করেছেন।চাকসুতে ২৬টি পদে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান। তিনি এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোছন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট। এ ছাড়া সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জিতেছেন তামান্না মাহবুব নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।চাকসু নির্বাচনে শিবিরের সর্বশেষ জয় এসেছিল ১৯৮১ সালে। ওই নির্বাচনে ভিপি হন জসিম উদ্দিন সরকার আর জিএস হন আবদুল গাফফার। দুজনই ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন নেতা।এরপর দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আবারও শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা সেই নেতৃত্বের আসনে ফিরলেন।আশির দশক থেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের আমলে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ হারায় সংগঠনটি।এরপর প্রায় এক দশকের নীরবতা কাটিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট আবার প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফেরে ছাত্রশিবির। তাদের এই প্রত্যাবর্তনের এক বছর না যেতেই চাকসু নির্বাচনে এমন বিজয় ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।এখন পর্যন্ত চাকসু নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার— ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৯০ এবং এবার ২০২৫ সালে।১৯৮১ সালের নির্বাচনে ছাত্রশিবির পেয়েছিল প্রথম জয়। এরপর ১৯৯০ সালের নির্বাচনে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’র কাছে হেরে যায় তারা।এরপরের দীর্ঘ তিন দশক চাকসু নির্বাচনই হয়নি। বন্ধ ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম।নতুন প্রজন্মের ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে চাকসু। প্রথমবার ভোট দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি, কিন্তু চাকসুতে দিয়েছি— এটাই আমাদের গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতার শুরু।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে টানা ৩৫ বছরের অপেক্ষা। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। বিকেল পাঁচটা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে ফল গণনা শুরু হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়া।” তিনি জানান, ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার রাকসু নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে নারী ৩৯.১০ শতাংশ, পুরুষ ৬০.৯০ শতাংশ।রাকসুর ২৩টি পদে ৩০৫ জন, সিনেট প্রতিনিধি ৫টি পদে ৫৮ জন, আর ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।ভিপি পদে মূল লড়াইসহসভাপতি (ভিপি) পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও ছাত্রদল সমর্থিত শেখ নূর উদ্দীন আবীরের মধ্যে। এছাড়া বাম সমর্থিত ফুয়াদ রাতুল ও ছাত্র অধিকার প্যানেলের মেহেদী মারুফও আলোচনায় রয়েছেন।জিএস পদে ত্রিমুখী লড়াইসাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিবিরের ফাহিম রেজা, ছাত্রদলের নাফিউল ইসলাম জীবন ও সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দীন আম্মার।এজিএস পদেও হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাসহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদলের জাহীন বিশ্বাস এষা ও শিবিরের সালমান সাব্বির মুখোমুখি লড়াইয়ে রয়েছেন।নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ২১২ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং ও বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব। প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, “প্রত্যেক ভোটারকে ছয় পৃষ্ঠার ব্যালটে ভোট দিতে হবে। ভোট শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে গণনা শুরু করে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফল ঘোষণা করার চেষ্টা করা হবে।”তিনি আরও বলেন, “ব্যালট পেপার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে, এতে আট স্তরের নিরাপত্তা চেক করা হয়েছে। মোট ভোটারের সমান— ২৮,৯০১টি ব্যালটই ছাপানো হয়েছে, একটিও বেশি বা কম নয়।”রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে রাকসু নির্বাচনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট। ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল।ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাঈদ বিন হাবিব জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে চাকসুতে ৪৪ বছর পর নেতৃত্বে ফিরেছে ছাত্রশিবির।এ প্যানেলের বাইরে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এবং সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি জয় পেয়েছেন।ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রনি ভিপি পদে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট। জিএস পদে জয়ী ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট। আর ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে বিজয়ী বাকিরা হলেন- খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শাওন; সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হারেস মাতাব্বর; সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদ আহনাফ; দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান; সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত; সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক তাহসিনা রহমান; গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক তানভীর আঞ্জুম শোভন এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।এছাড়া ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা; সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা; স্বাস্থ্য সম্পাদক আফনান হাসান ইমরা; মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক মোনায়েম শরীফ; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সোহান; যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া; সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ওবায়দুল সালমান; আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ফজলে রাব্বি তাওহিদ এবং পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ জয়ী হয়েছেন।সেই সঙ্গে পাঁচ নির্বাহী সদস্য পদে শিবির প্যানেলের জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা, সালমান সাকিব, আকাশ দাশ, সোহানুর রহমান সোহান ও আদনান শরিফ নির্বাচিত হয়েছেন।চাকসু নির্বাচনে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হয়। এজন্য ছিল ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৭ জন ভোট দিয়েছেন। মোট ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ।ভোরের আকাশ/মো.আ.