টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট দত্তপাড়া এলাকার মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
এতে করে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে মহাসড়কটি ব্যবহারকারীরা। টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, দত্তপাড়ায় অবস্থিত বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানে দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। গত এপ্রিল মাসের বেতন এখনও পায়নি কারাখানাটির শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ ছিল।
প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকালে কারখানাটিতে প্রবেশ করে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে কারখানা থেকে বের হয় তারা। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ বিষয়ে জানতে কারখানার মালিক মো. ইকবাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ টঙ্গী অঞ্চলের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক বন্ধ করে রেখেছে। সমস্যাটি সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন ও বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) সকালে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এ মানববন্ধন করেন।এ সময় তারা প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন করে ঈদ-উল আযহার পূর্বে প্রকল্পের সকল জনবলের ৫ মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়া, প্রকল্পের গ্রেডভূক্ত জনবলকে রাজস্বভূক্ত করা, সপ্তম পর্যায়ের বিদ্যমান জনবলকে অষ্টম পর্যায় প্রকল্পে স্বয়ংক্রীয়ভাবে স্থানান্তর করা, কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভুক্ত করে বেতন প্রদান করা, শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি সম্মানজন হারে বৃদ্ধি করার ৫ টি দফা দাবি করেন।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ফিল্ড অফিসার রেজা মো. মহসিন বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, আলেমদেরকে রমজানের সময় মাঠে নামিয়েছেন, এরপরে প্রচন্ড রোদের ভেতরে আলেম-ওলামা সহ বিভিন্ন স্তরের মা-বোনেরা তাদের সন্তান নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে । আমাদের বকেয়া বেতন কোরবানির আগে বোনাস না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিব। দরকার হলে ঢাকায় রাজপথ অবরুদ্ধ করব। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ মোল্লা, জেলা ফিল্ড অফিসার রেজা মো. মোহসীন, মঠবাড়িয়া ফিল্ড সুপারভাইজার মো. ওমর ফারুক, ইন্দুরকানী মডেল কেয়ারটেকার মো. আব্দুল জলিল, নেছারাবাদ উপজেলার কেন্দ্র শিক্ষক আরাফাত রহমান প্রমুখ।ভোরের আকাশ/আজাসা
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বজ্রপাতে এক কৃষকের গরুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারীর মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শহিদুল মিয়া (৩২) ওই এলাকার বাসিন্দা। গরুটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় লাখ টাকা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় কৃষক শহিদুল মিয়া মুন্সিপাড়ার ওয়াফদা বাঁধ এলাকায় ঘাস খাওয়ার জন্য গরুটিকে (বকনা গাভী) রেখে আসেন। এরই মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। পাশাপাশি শুরু হয় বৃষ্টির বজ্রপাতও। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গরুটি।গরুর মালিক কৃষক শহিদুল মিয়া বলেন, বৃষ্টি শেষ হলে গরু আনতে যাই। গিয়ে দেখি বজ্রপাতে আমার গরুটি মারা গেছে। আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালাই পাশাপাশি গরুটি লালন পালন করছিলাম। আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খুশু বলেন, বাঁধের ওপর ফাঁকা জায়গায় (বকনা গাভী) গরুটি বাধা ছিল। ওই সময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে গরুটি মারা যায়।ভোরের আকাশ/আজাসাা
সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটিকে ৩ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বর্তমান কমিটি কার্যক্রম স্থগিত করেন। অভিযোগ রয়েছে গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেআইনীভাবে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন করিয়ে আনেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মনি। এর পর অধ্যক্ষের পদ দখল করে নেয় ২টি হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী মনিরুজ্জামান মনি। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কলেজের উপাধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু সে বিধির তোয়াক্কা না করে সিনিয়র শিক্ষকদের টপকিয়ে ১৩ নং সিরিয়ালে থাকা মনিরুজ্জামান অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করেন। অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করতেই বিধি বর্হিভূতভাবেই উক্ত কমিটি পাশ করিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলেজের অভিভাবক সদস্য টিপু সুলতান উচ্চ আদালতে রিটপিটিশন দায়ের করেন। যার পিটিশন নং-৫১৭৫/২৫। আদালত পিটিশনটি গ্রহণের পর পর্যালোচনা করে উক্ত কমিটি বৈধ প্রক্রিয়ায় হয়নি বিধায় ৩ মাসের জন্য উক্ত কমিটির কার্যক্রম স্থাগিত করেন।এবিষয়ে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নওশাদ আলম এবিষয়ে অফিসে গিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানান।ভোরের আকাশ/আজাসাা
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সাত গ্রামের প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকো। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বার বার প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো কাজে আসেনি।স্থানীয় জানান, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। এ নদী পেঁয়াজ চর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। এ দুই গ্রামসহ আশপাশের বাহিরচর, লেছরাগন্জ, দিয়াপাড়, কামারপাড়া ও নিমতলী গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে সাঁকো। যা যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পেঁয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো ব্যবহার করে। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে আহত হন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো খুবর বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে। কোথাও বাঁশ ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।স্থানীয়রা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।পেঁয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।(৬০) বছরের বৃদ্ধ মহিলা মরিয়ম বলেন বাবারে মরার আগে ব্রিজটা দেখে যেতে পারব কিসামিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জানান, কলেজে যাওয়ার সময় কয়েকদিন আগে সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পরে যাই। এরপর স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুরা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবেভোরের আকাশ/আজাসাা