মানিকগঞ্জে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত
অটিস্টিক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো ক্রীড়া উৎসব।
সোমবার (২ জুন) জেলা ক্রীড়া সংস্থার মিলনায়তনে এই আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর।
উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আক্তার বন্যা। বিভিন্ন বিশেষায়িত বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিশু-কিশোর এতে অংশ নেয়।
শেষে অংশগ্রহণকারী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অতিথিরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটির এসব স্থানে ওমিক্রনের একটি নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।রোববার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা গেছে, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে।বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। তিনি বলেন, আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে টাঙ্গাইলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৭ জুন) বিকেল পাঁচটায় সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের আয়োজনে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।খেলায় অংশগ্রহণ করে ধলেশ্বরী একাদশ বনাম লৌহজং একাদশ।ধলেশ্বরী একাদশ (৪-২) গোলে লৌহজং একাদশকে পরাজিত করে। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হোন বিজয়ী দলের অধিনায়ক রাকিবুল ইসলাম।উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শক উপভোগ করে খেলাটি।খেলা শেষে বিজয়ী দলকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, বিজিত দলের হাতে রানার্স আপ ট্রফি এবং ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ট্রফি তুলে দেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি শাহজাহান, পাঠাগারের সদস্য অনিক হাসান, জাহিদ হাসান, রাকিব হাসান, রিপন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, হামিদ হাসান, স্বপন মিয়া, সুমন চৌধুরী, মেহেদি মাহিম প্রমুখ।বিজয়ী দলের অধিনায়ক ও পাঠাগারের পাঠক রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা কোথাও ঘুরতে যেতে পারি, ঈদে তেমন আনন্দ করতে পারি না। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার এবার ফুটবল খেলার আয়োজন করছে শুনে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি।প্রসঙ্গত, “এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি” স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বিগত ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার।প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।ভোরের আকাশ/জাআ
কোরবানির ঈদের দিন মৌলভীবাজারের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই ভাইসহ চার জনের প্রাণ গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।শনিবার রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।উপজেলার শ্যামের কোনার কাছারি বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে ওই দুর্ঘটনায় কমরুল মিয়া (৩০) ও জুবেদ মিয়া (২৮) নামে দুজন নিহত হন।মাহবুব মিয়া নামে আরো একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত জুবেদ মিয়া শ্যামেরকোনা গ্রামের আনকার মিয়ার ছেলে। আর কামরুল কমলগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান বলেন, তিনজনকেই এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন আগেই মারা যায়। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।আরেক ঘটনায় একই দিনে শনিবার বিকেলে বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২২) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জনান, নিহত সুমন ও রুমন বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।জানা গেছে, বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণভাগের দিকে যাচ্ছিলেন সাহেদ। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওসমানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমনও মারা যান।দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।ভোরের আকাশ/জাআ
ঈদের দিন সুখ-আনন্দে ভাসছিলো তারা, মন্ত্রমুগ্ধ সেই মুহূর্তে এসে আছড়ে পড়ল এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা পরিবারে বয়ে আনলো শোক। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই সহোদর।শনিবার (৭ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখার কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই ভাই সাহেদ হোসেন (২৬) ও রুমন আহমদ (১৯)।সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে কোরবানি মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাহেদের মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন রুমন। তারা দক্ষিণভাগের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাস্থলে বিপরীত দিক থেকে আসা এক প্রাইভেট কারের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বড় ভাই সাহেদ। ছোট ভাই রুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখা গেলে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে সিলেটে রুমনেরও মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হয়।বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার বলেন, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের এই মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত দাফনের আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা আপন ভাই। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটির চালক পালিয়ে গেছেন। তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ