মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
কোরবানির ঈদের দিন মৌলভীবাজারের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই ভাইসহ চার জনের প্রাণ গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
উপজেলার শ্যামের কোনার কাছারি বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে ওই দুর্ঘটনায় কমরুল মিয়া (৩০) ও জুবেদ মিয়া (২৮) নামে দুজন নিহত হন।
মাহবুব মিয়া নামে আরো একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত জুবেদ মিয়া শ্যামেরকোনা গ্রামের আনকার মিয়ার ছেলে। আর কামরুল কমলগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান বলেন, তিনজনকেই এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন আগেই মারা যায়। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আরেক ঘটনায় একই দিনে শনিবার বিকেলে বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২২) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জনান, নিহত সুমন ও রুমন বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণভাগের দিকে যাচ্ছিলেন সাহেদ। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওসমানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমনও মারা যান।
দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটির এসব স্থানে ওমিক্রনের একটি নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।রোববার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা গেছে, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে।বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। তিনি বলেন, আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কোরবানির ঈদের দিন মৌলভীবাজারের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই ভাইসহ চার জনের প্রাণ গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।শনিবার রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।উপজেলার শ্যামের কোনার কাছারি বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে ওই দুর্ঘটনায় কমরুল মিয়া (৩০) ও জুবেদ মিয়া (২৮) নামে দুজন নিহত হন।মাহবুব মিয়া নামে আরো একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত জুবেদ মিয়া শ্যামেরকোনা গ্রামের আনকার মিয়ার ছেলে। আর কামরুল কমলগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান বলেন, তিনজনকেই এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন আগেই মারা যায়। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।আরেক ঘটনায় একই দিনে শনিবার বিকেলে বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২২) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জনান, নিহত সুমন ও রুমন বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।জানা গেছে, বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণভাগের দিকে যাচ্ছিলেন সাহেদ। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওসমানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমনও মারা যান।দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।ভোরের আকাশ/জাআ
ঈদের দিন সুখ-আনন্দে ভাসছিলো তারা, মন্ত্রমুগ্ধ সেই মুহূর্তে এসে আছড়ে পড়ল এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা পরিবারে বয়ে আনলো শোক। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই সহোদর।শনিবার (৭ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখার কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই ভাই সাহেদ হোসেন (২৬) ও রুমন আহমদ (১৯)।সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে কোরবানি মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাহেদের মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন রুমন। তারা দক্ষিণভাগের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাস্থলে বিপরীত দিক থেকে আসা এক প্রাইভেট কারের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বড় ভাই সাহেদ। ছোট ভাই রুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখা গেলে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে সিলেটে রুমনেরও মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হয়।বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার বলেন, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের এই মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত দাফনের আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা আপন ভাই। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটির চালক পালিয়ে গেছেন। তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মারা গেছে। ডোবার পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা স্বাধীন ও আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।শনিবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার ৩নং কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- উপজেলার মলামারি এলাকার ইয়ানুর মিয়ার ছেলে স্বাধীন (৫) ও একই এলাকার শাহজালাল মিয়ার ছেলে আরশাফুল (৫)।নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে যায় শিশু স্বাধীন ও আরশাফুল। খেলার একপর্যায়ে বাড়ির পাশে জমে থাকা ডোবার পানিতে পড়ে যায় তারা।এসময় পরিবারের লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং ডোবাতে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে সেখান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিনাময়নাতদন্তে লাশ দাফন করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ