সাভার (ঢাকা ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:২৬ পিএম
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২৪) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে আশুলিয়া থেকে অভিযুক্ত সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদীরপুর গ্রামের বাছের আলী মোল্লার ছেলে। নিহত তানিয়া আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাঘানগর মহল্লার নুরুল হকের মেয়ে।
রোববার ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা ভুক্তভোগীর পরিচয় নিশ্চিত করি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নিহতের স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ভুক্তভোগী তানিয়া বেগম ও তার স্বামী সোহাগ আশুলিয়া এলাকার এনএএইচ নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। তদন্তে ভুক্তভোগীর স্বামীকে সন্দেহ হওয়ায় প্রথম থেকে আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে গতকাল রাতে তাকে আমরা আশুলিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আসামির ভাষ্য অনুযায়ী পুলিশ জানায়, একই গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় তানিয়ার সঙ্গে সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং গত বছর তারা বিয়ে করেন। তাদের উভয়রই আগে বিয়ে হয়েছিল। তানিয়ার প্রথম সংসারের ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। মৃত্যুর সময় তানিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মূলত সোহাগ তার প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে এই বিয়েটি বরেছিলেন যা নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এ ছাড়া তানিয়ার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অপবাদও দেয় সোহাগ। এ ঘটনার পর গত ২৩ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে তানিয়াকে ঘুরতে নিয়ে যায় সোহাগ এবং কৌশলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সোহাগ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাভার (ঢাকা ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১৫ ঘন্টা আগে
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২৪) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে আশুলিয়া থেকে অভিযুক্ত সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদীরপুর গ্রামের বাছের আলী মোল্লার ছেলে। নিহত তানিয়া আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাঘানগর মহল্লার নুরুল হকের মেয়ে।
রোববার ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা ভুক্তভোগীর পরিচয় নিশ্চিত করি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নিহতের স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ভুক্তভোগী তানিয়া বেগম ও তার স্বামী সোহাগ আশুলিয়া এলাকার এনএএইচ নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। তদন্তে ভুক্তভোগীর স্বামীকে সন্দেহ হওয়ায় প্রথম থেকে আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে গতকাল রাতে তাকে আমরা আশুলিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আসামির ভাষ্য অনুযায়ী পুলিশ জানায়, একই গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় তানিয়ার সঙ্গে সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং গত বছর তারা বিয়ে করেন। তাদের উভয়রই আগে বিয়ে হয়েছিল। তানিয়ার প্রথম সংসারের ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। মৃত্যুর সময় তানিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মূলত সোহাগ তার প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে এই বিয়েটি বরেছিলেন যা নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এ ছাড়া তানিয়ার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অপবাদও দেয় সোহাগ। এ ঘটনার পর গত ২৩ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে তানিয়াকে ঘুরতে নিয়ে যায় সোহাগ এবং কৌশলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সোহাগ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ