আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১৫ পিএম
নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে মুগ্ধর বাবার আহবান
‘দলীয় স্বার্থে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে সেগুলো আপনারা দেখবেন। আমি চাই যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিচার হোক।’
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শহীদ মুগ্ধ'র বাবা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে কিছু করতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশেই মুগ্ধ'র নামে বিভিন্ন স্থাপনা নামকরণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া- বিজয়নগর সড়কটি মুগ্ধের নামে নামকরণ করার কথা বললে আমি ওই সড়কটি শহীদ ওমরের নামে করার জন্য প্রস্তাব করেছি।
শহরের ফ্লাইওভারটি মুগ্ধর নামে করার বিষয়টি সম্মতি দিয়েছি। তাছাড়া বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় একটি মুগ্ধ চত্বর হবে। মুগ্ধের স্মৃতি এভাবেই নামের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে।' এ জন্য তিনি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে মুগ্ধের নামে 'মুগ্ধ পানি কর্ণার' করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'জুলাই-আগষ্ট এর আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২০ জন শহীদ, অনেকেই আহত হয়েছেন।' নিহত এবং আহতদের স্মরণ রাখতে কিছু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে প্রাণ হারান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ঘটনার পরপরই একটি ভিডিওতে দেখা যায় পানি নিয়ে হাঁটছে মুগ্ধ। বলছেন, ‘পানি লাগবে কারো পানি।’ এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মুগ্ধ। সংসারে ৩ ভাইয়ের মধ্যে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ যমজ। মুগ্ধর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ায়। তবে তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার উত্তরায়। ঢাকাতেই মুগ্ধ বেড়ে উঠেন।
এ সময় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ওবায়দুর রহমান, ডিআইও-১ (ডিএসবি) মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম এবং মিডিয়া উইং ইনচার্জ উত্তম কুমার শর্মা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৮ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে মুগ্ধর বাবার আহবান
‘দলীয় স্বার্থে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে সেগুলো আপনারা দেখবেন। আমি চাই যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিচার হোক।’
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শহীদ মুগ্ধ'র বাবা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে কিছু করতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশেই মুগ্ধ'র নামে বিভিন্ন স্থাপনা নামকরণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া- বিজয়নগর সড়কটি মুগ্ধের নামে নামকরণ করার কথা বললে আমি ওই সড়কটি শহীদ ওমরের নামে করার জন্য প্রস্তাব করেছি।
শহরের ফ্লাইওভারটি মুগ্ধর নামে করার বিষয়টি সম্মতি দিয়েছি। তাছাড়া বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় একটি মুগ্ধ চত্বর হবে। মুগ্ধের স্মৃতি এভাবেই নামের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে।' এ জন্য তিনি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে মুগ্ধের নামে 'মুগ্ধ পানি কর্ণার' করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'জুলাই-আগষ্ট এর আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২০ জন শহীদ, অনেকেই আহত হয়েছেন।' নিহত এবং আহতদের স্মরণ রাখতে কিছু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে প্রাণ হারান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ঘটনার পরপরই একটি ভিডিওতে দেখা যায় পানি নিয়ে হাঁটছে মুগ্ধ। বলছেন, ‘পানি লাগবে কারো পানি।’ এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মুগ্ধ। সংসারে ৩ ভাইয়ের মধ্যে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ যমজ। মুগ্ধর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ায়। তবে তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার উত্তরায়। ঢাকাতেই মুগ্ধ বেড়ে উঠেন।
এ সময় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ওবায়দুর রহমান, ডিআইও-১ (ডিএসবি) মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম এবং মিডিয়া উইং ইনচার্জ উত্তম কুমার শর্মা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ