মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:৪০ পিএম
সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মারধর
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া গ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দৈনিক ভোরের আকাশের ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-২ এ সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত শারমিন এর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি ওই আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী (পেসকার) ফরিদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার রসুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহজালাল খান কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবৎ কবিরাজী চিকিৎসা ও জ্বিন ছাড়ানোর নামে বিভিন্ন অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এছাড়া নারীদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার নামে নারীদের নিয়ে তার নাচ গানের বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ সমস্ত ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন সংবাদ পত্রে নিউজ প্রকাশ করলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা হতে বাড়িতে ফেরার পথে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়ে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে কবিরাজসহ আরো কয়েকজন।
রোববার সাংবাদিক আনিসুর রহমান বলেন, আমি শাহজালাল কবিরাজের অপকর্ম নিয়ে অনেকগুলো নিউজ করেছি। দৈনিক ভোরের আকাশে, তা প্রকাশিতও হয়েছে। নিউজ করায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার আমি সিরাজদিখানে নিমতলায় একটি নিউজ করতে যাই। তার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে কবিরাজসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায়। শাহজালাল আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, পান কবিরাজ আগে পল্লি বিদ্যুতের লাইনম্যান ছিল। সে মিটার দেওয়ার কথা বলে অনেকের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। পরে হঠাৎ করে সে কবিরাজ বনে গিয়ে নারীদের বাড়িতে রেখে নাচগান করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এর আগে সে পবিত্র কোরআন ছুড়ে ফেলায় তার আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও সে প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় আবার আস্তানা গেড়ে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শাহাজালাল কবিরাজ বলেন, আমি নারীদের নিয়ে নাচগান করে অপচিকিৎসা দেই না, দুই নাম্বার চিকিৎসা করি না এবং কোনো সাংবাদিকেও মারধর করি নাই।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, আমার থানা ৫ আগস্টে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পান কবিরাজ থানায় একটি ল্যাপটপ নিয়ে আসে। আমি পান কবিরাজকে আগে চিনতাম না।
সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি; করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সিরাজদিখানের ইউএনও ও ওসিকে অবগত করলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১৫ ঘন্টা আগে
সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মারধর
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া গ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দৈনিক ভোরের আকাশের ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-২ এ সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত শারমিন এর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি ওই আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী (পেসকার) ফরিদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার রসুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহজালাল খান কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবৎ কবিরাজী চিকিৎসা ও জ্বিন ছাড়ানোর নামে বিভিন্ন অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এছাড়া নারীদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার নামে নারীদের নিয়ে তার নাচ গানের বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ সমস্ত ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন সংবাদ পত্রে নিউজ প্রকাশ করলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা হতে বাড়িতে ফেরার পথে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়ে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে কবিরাজসহ আরো কয়েকজন।
রোববার সাংবাদিক আনিসুর রহমান বলেন, আমি শাহজালাল কবিরাজের অপকর্ম নিয়ে অনেকগুলো নিউজ করেছি। দৈনিক ভোরের আকাশে, তা প্রকাশিতও হয়েছে। নিউজ করায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার আমি সিরাজদিখানে নিমতলায় একটি নিউজ করতে যাই। তার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে কবিরাজসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায়। শাহজালাল আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, পান কবিরাজ আগে পল্লি বিদ্যুতের লাইনম্যান ছিল। সে মিটার দেওয়ার কথা বলে অনেকের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। পরে হঠাৎ করে সে কবিরাজ বনে গিয়ে নারীদের বাড়িতে রেখে নাচগান করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এর আগে সে পবিত্র কোরআন ছুড়ে ফেলায় তার আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও সে প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় আবার আস্তানা গেড়ে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শাহাজালাল কবিরাজ বলেন, আমি নারীদের নিয়ে নাচগান করে অপচিকিৎসা দেই না, দুই নাম্বার চিকিৎসা করি না এবং কোনো সাংবাদিকেও মারধর করি নাই।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, আমার থানা ৫ আগস্টে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পান কবিরাজ থানায় একটি ল্যাপটপ নিয়ে আসে। আমি পান কবিরাজকে আগে চিনতাম না।
সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি; করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সিরাজদিখানের ইউএনও ও ওসিকে অবগত করলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ