দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে করোনা আতংকে সতর্কতা
আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ও সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় বিজিবি-কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সতর্কতা অবলম্বন করে পাসপোর্ট যাত্রী ও তাদের কাগজপত্র সহ ব্যাগ ব্যাগেজ তল্লাশির কাজ করছেন।বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা
বুধবার (১১ জুন) দর্শনা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানালেন পাসপোর্ট যাত্রীদের সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে মুখে মাস্ক পরিধান করে এবং নির্ধারিত দুরত্ব বজায় রেখে পাসপোর্ট ও ব্যাগ ব্যাগেজ তল্লাশির কাজ করা হচ্ছে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের পর্যটকগন যাতায়াত করে থাকে। ভারত ফেরত ফরিদপুরের এক পাসপোর্ট যাত্রী শ্রী নীল কমল জানান, করোনা ভাইরাস ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে কিন্ত তাদের কাস্টমস ইমিগ্রেশনে বা বিএসএফের চৌকিতে পাসপোর্ট যাত্রীদের তেমন কোন সতর্কতা মুলক ব্যাবস্থা নেয়া চোখে পরেনি ।
দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ মোঃ রমজান আলি জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোন লিখিত চিঠি আমরা পায়নি, তবে বুধবার সকাল থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের সাবধানতা অবলম্বন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থল পথে যেভাবে অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে শোনা গেছে; সে তুলনায় দর্শনা ইমিগ্রেশনে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বা চিকিৎসক টিম বসানো হয়নি। এ কারণে ভাইরাসটি শনাক্তকরণে সমস্যা হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাঃ হাদি জিয়াউল আহম্মেদ জানান, চেকপোস্টে সতর্কতার সাথেই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, তবে ভয় বা আতংকের কিছু নেই,আমাদের জেলায় এখনো করোনা ভাইরাসের কোন পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
মোংলায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ।সোমবার (১৬ জুন) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তীর মাধ্যম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জনসাধারণের অধিকার সংরক্ষণ, হয়রানি রোধ এবং সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্য সেবার বাইরে কোনো আর্থিক চাপের সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে যাত্রীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার (১৫ জুন) বিকাল ৫ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে মোংলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ঐ এলাকায় মোংলা হতে চট্টগ্রামগামী জিএস ট্রাভেলস, ইভান পরিবহন, বিএম লাইন ও রয়েল পরিবহন কর্তৃক যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয় এবং আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হয়।পরবর্তীতে ঐ পরিবহনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে এবং জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান কোষ্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।ভোরের আকাশ/আজাসা
নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে চাষ করা পুষ্টিকর চিনাবাদাম যেন এখন কৃষকদের ‘গোপন রত্ন’। বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনছেন পদ্মার চরাঞ্চলের কৃষকরা, পদ্মার বালুচরে দিগন্তজোড়া সারিবদ্ধ সবুজ বাদাম ক্ষেত দেখে যেন নয়ন জুড়িয়ে যায়। এবছর ফলন ভালো হওয়ার কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠছে আশার প্রদীপ।কৃষি বিশভাগের তথ্যমতে এবছর লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে ৪৬০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত বিনা চিনাবাদাম ৬, বিনা চিনা বাদাম ৮, এবং বারি চিনাবাদাম ৮ আবাদ বেশি হয়েছে। চিনাবাদামের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগ হতে ২০০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড় বলেন, এবছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে যা হেক্টর প্রতি প্রায় ১.৯ মেট্রিক টন। এবছর ভালো ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে চিনাবাদামের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছি।সরেজমিনে উপজেলার বিলমাড়ীয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পদ্মার চর ঘুরে দেখা যায় তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাদম তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। বিশাল অঞ্চল জুড়ে সারি সারি চিনাবাদাম ক্ষেত দেখে মন জুড়িয়ে যায়।কথা হয় বিলমাড়িয়া মোহরকয়া গ্রামের বাদাম চাষী আফজাল হোসেনের সাথে, তিনি বলেন বাদাম চাষে বাড়তি কোন কীটনাষক বা যত্নের প্রয়োজন হয়না, আমি এবার ৩বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে আাশা করি এবার বাজার দর ভালো পাবো।একই এলাকার বাদাম চাষি মতিউর রহমান বলেন, আমাদের পদ্মার চরের বেলে মাটিতে রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামের ফলন ভালো হয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। তাছাড়া বাদাম এমন একটি ফসল যার চাহিদা থাকে প্রায় সারা বছরই। ভোরের আকাশ/আজাসা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রক্তদানকারী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন উই ফর ইউর ১৬তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার পরিষদ মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইব্রাহীম মো. সায়েমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি মো.জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোশাররফ হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল মাহমুদ, উই ফর ইউর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন ও উই ফর ইউর বার্ষিক স্মরণিকার সম্পাদক নোমান শিবলু ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রক্তদানে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা অন্য কিছুতে নেই। দল যার যার উই ফর ইউ সবার। ফেনী-নোয়াখালীর ভয়াবহ বন্যাকালীন সময় পানি বন্দী পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছে সংগঠনটি। রক্তদানে মানুষ বাঁচানোর এই আনন্দ হাজার বছর ছুঁয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন সবাই। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী রক্তদানকারী সামাজিক সংগঠন উই ফর ইউ ২০১০ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর থেকে ১৯ হাজার ব্যাগ রক্তাদানের মধ্যদিয়ে ১৬তম বর্ষে পদার্পণ করে। রক্তদান ছাড়াও সমাজের অসহায় হতদরিদ্রের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। মানুষের পাশে দাঁড়ানো এ সংগঠনটি একাধিকবার সম্মাননা পেয়েছে। নোয়াখালী ছাড়াও ঢাকা,চট্রগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভোরের আকাশ/জাআ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেললাইনে বসে মাদক সেবনের অপরাধে ৬ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৫জুন) উপজেলার খড়মপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনাকরেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটমো. ফয়সল উদ্দিন। ঢাকা-সিলেট রেললাইনের পাশ ঘেঁষে গাঁজাসেবনের সময় তাদের আটককরে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৭ দিনের বিনাশ্রমকারাদণ্ড ও ১০০ টাকাকরে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরাহলেন- মো: হোসেন আলীওরফে শেখ সাদী (৬৫), মো. ভুট্টু মিয়া (২৫), পিন্টু মিয়া (২৮), মো: রুবেল মিয়া (২৫) মো. জিয়াউর রহমান (৪০)ও মো: নাছিরউদ্দিন (৪০)। উপজেলাসহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ফয়সল উদ্দিনবলেন, "খড়মপুর মাজারের পশ্চিম পাশে রেললাইনের ওপরমাদক সেবনের সময় ৬ জনকেহাতেনাতে আটক করা হয়।পরে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ডাদেশ দেওয়াহয়।" তিনিআরও জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলামাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: নজরুল ইসলামউপস্থিত ছিলেন।ভোরেরআকাশ/আজাসা