ছবি: ভোরের আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উত্তর কাইতলা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের মো. সাদ্দামের ছেলে মো. শরীফ (৭) ও মেয়ে শিফা (৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ছোট ভাই শরীফ বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে গেলে বড় বোন শিফা তাকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু দুজনেই পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াগাঁও বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করে দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত নই, তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
টঙ্গীর কেমিক্যাল গোডাউনের ভয়াবহ আগুনে জীবন উৎসর্গ করা ফায়ার ফাইটার মো. নুরুল হুদার পরিবারে এক পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নেয় এই সন্তান। ফায়ারফাইটারের মৃত্যুর ১২ দিন পর এ সন্তানের জন্ম হলো। সন্তান পৃথিবীর আলো দেখলেও দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা বাবাকে কখনোই দেখা হবে না নবাগত শিশুর। ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে হাসপাতালে নবাগত সন্তানকে দেখতে এসেছেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত হয়ে গুরুতর দগ্ধ হন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা। পরে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টা ৪০ মিনিটে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন এই অগ্নিযোদ্ধা।নূরুল হুদার জন্ম ১৯৮৭ সালের ২১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তিনি ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চাকরিতে যোগ দেন ফায়ারফাইটার হিসেবে। নতুন সদ্যোজাত পুত্র সন্তান ছাড়াও নুরুল হুদার ১০ বছরের একটি কন্যা ও তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক প্যানেল স্পিকার আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন, ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার নির্বাচন। এই নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে শক্তিকে বিজয়ী করতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। এই বিশাল নারী সমাজ যদি দাড়িপাল্লার পক্ষে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়, তবে ইনশাআল্লাহ বিজয় নিশ্চিত।”শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, “নারী সমাজ কেবল ঘরের কাজেই সীমাবদ্ধ নয়—তারা জাতি গঠনে, ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে এবং ভোটের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় সুনিশ্চিত করতে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।”সোমবার সকালে সাতকানিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াতের উদ্যোগে মহিলা দায়িত্বশীলদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতকানিয়া জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মিসেস ফাতেমা ইয়াসমিন এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি তারেক হোসাইন।বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা আবুল ফয়েজ, উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল উদ্দিন, পৌরসভা আমীর অধ্যক্ষ হামিদ উদ্দিন আজাদ, সমাজসেবা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও বাইতুলমাল সম্পাদক রফিক উদ্দিন।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক পরিচালক মিসেস জোবাইদা মহসিন, দক্ষিণ জেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মিসেস গুলশান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিসেস কামরুন নাহার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মিসেস জুনাতুন নেছা, মিসেস ফেরদৌসুন নাহার ফারজু এবং পৌরসভা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মিসেস সালেহা বেগম।বক্তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে নারী সমাজকে ঘরে ঘরে ইসলামী দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে এবং দাড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানিতে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রম্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ী, সড়ক ও আমনের ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৫ হাজার পরিবার। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩ সেন্টিমিটার, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অন্যদিকে, ব্রম্মপুত্রের চিলমারী, নুনখাওয়া ও হাতিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
নারায়ণগঞ্জ শহরে ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান যানজট এবং নাগরিক ভোগান্তি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উদ্বেগ ও সমাধানের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জ নেতৃবৃন্দরা।সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে এনসিপি নেতারা শহরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। সভায় তাঁরা শহরজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।সাক্ষাৎকালে প্রশাসক এনসিপি নেতাদের উদ্বেগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন এবং জানান, ডেঙ্গু মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের চলমান কার্যক্রম আজ থেকেই দ্বিগুণ করা হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ, এবং ডোর-টু-ডোর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রশাসন ও নাগরিকদের যৌথ উদ্যোগই এখন সময়ের দাবি। শুধু ওষুধ ছিটালেই হবে না, মানুষকে সচেতন হতে হবে, নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।”এছাড়া শহরের দীর্ঘস্থায়ী যানজট সমস্যা সম্পর্কেও আলোচনা হয়। নাসিক প্রশাসক জানান, যানজট নিরসনে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই হাতে নেওয়া হয়েছে, যার সুফল অচিরেই নাগরিকরা দেখতে পাবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় সংগঠনগুলো একসাথে কাজ করলে শহরকে আরও বাসযোগ্য ও সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।নেতৃবৃন্দ জানান, “আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের বক্তব্য গুরুত্বের সাথে নেয়ার জন্য। এখন চাই বাস্তব পদক্ষেপ ও দ্রুত বাস্তবায়ন।” তাঁরা নাগরিকদেরও আহ্বান জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি নিজের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে।সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল আমিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ও অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক শওকত আলী, এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনু।ভোরের আকাশ/এসএইচ