বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে শ্রমিক নির্যাতন, প্রতিবাদে মাঠে নামছে শ্রমিক সংগঠন
নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পাঞ্চলে বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিক। অভিযোগ উঠেছে, তাকে কারখানার ভেতরে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এবং ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিক সংগঠন মাঠে নেমেছে এবং আগামী রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
নির্যাতনের শিকার মো. হেলাল, যিনি বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি মাসদাইর আঞ্চলিক কমিটির সদস্যও বটে, এ ঘটনায় গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ন্যায়বিচার ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী শ্রমিক মো. হেলাল (২১) দীর্ঘদিন ধরে টেক্সলাইন গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন। নিয়ম মেনে চাকরি ছাড়লেও গত মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। অবশেষে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বেতন দেওয়ার কথা বলে তাকে বিসিক শিল্পাঞ্চলের ১নং গলিতে অবস্থিত কারখানায় ডেকে আনা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কারখানায় ঢুকেই টেক্সলাইন গার্মেন্টসের মালিক তরিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই শিহাব (৩০) এর নেতৃত্বে অন্তত ১০-১২ জন মিলে হেলালকে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তাকে কড়া হুমকি দেওয়া হয়. ঘটনা বাইরে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি জানিয়েছে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। সংগঠনটির নেতারা বলেন, “বেতন দাবি করাটা শ্রমিকের মৌলিক অধিকার। অথচ সেটাকেই অপরাধ বানিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দায়ীদের শাস্তি চাই।”
ঘটনাটি শ্রমিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। অনেকে বলছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আটকে রেখে এমন নির্যাতন শ্রম আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এখন সবার নজর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে এই অভিযোগ কতদূর তদন্ত হয় এবং শ্রমিক হেলাল প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার পান কিনা, তা নিয়েই আলোচনা চলছে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় মেঘের বাড়ি রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পর্যটন ঘাটে একটি র্যালী আয়োজন করা হয় এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার জন্য বিভিন্ন স্থানে ময়লার ঝুড়ি স্থাপন করা হয়।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদাপাথরে আগত পর্যটকদের জন্য নৌকা ভাড়ায় ২৫% ছাড় এবং প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি সুবিধা প্রদান করা হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা বিএনপি নেতা, প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাদাপাথর পর্যটন বাজারের ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য স্থানীয়রা।উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যটনকে টেকসই উন্নয়নের অংশ হিসেবে সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
বৃহত্তর খুলনাবাসীর উদ্যোগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খুলনা মহানগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর থেকে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে “মশকনিধন ও পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন অভিযান” শুরু হয়।অভিযানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার মোঃ অহিদুজ্জামান খান ও ১৯ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক মুকুল।সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রোটারি সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও নিয়মিত পরিস্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এবং মশা প্রজনন স্থান ধ্বংস করে রোগের বিস্তার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার মানুষদের সচেতন করে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ইট ভাঙা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে দুই ভাই নিহত হয়েছেন।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের মমিন বকশি পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো আব্দুল হক (৬৫) ও তাজরুল ইসলাম (৫৫), তারা রাজারহাট সদর ইউনিয়নের কৌলাস কুঠি এলাকার বাসিন্দা।স্থানীয়রা জানান, কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তার পাশে পড়ে যায়। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান, অপরজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোরের আকাশ/হ.র
রাজবাড়ীতে পুলিশের উদ্যোগে হারানো ১০৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মোবাইলগুলো হস্তান্তর করা হয়।পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন থানায় করা জিডির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদর থানা থেকে ৫২টি, গোয়ালন্দঘাট থেকে ১৪টি, পাংশা মডেল থেকে ১২টি, কালুখালী থেকে ১৪টি এবং বালিয়াকান্দি থানা থেকে ১২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যাচাই শেষে সেগুলো মালিকদের হাতে ফেরত দেওয়া হয়েছে।এ সময় পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি হারানো মোবাইল উদ্ধারে রাজবাড়ী পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের একটি বিশেষায়িত টিম এ কাজে নিয়োজিত।”মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেক মালিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবু রাসেল, ডিবি’র ওসি মফিজুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/হ.র